অমিত কাশ্যপ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অমিত কাশ্যপ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

মুখ

দক্ষিণের জানালা খুলে বসেন রোজ 
বিনা আমন্ত্রণে ভাঙা রোদ আসে 
সামনে টেবিল চেয়ার, লেখার কিছু নেই 
কিবা লিখবেন, অনেক তো লিখেছেন 

এখন অবসর, রোজ বসেন, কেমন একটা টান
জানালা খুলে নরম সকাল, কী চমৎকার 
চোখ বুজে অনুভব করেন এই মুহূর্তটুকু
আগে অনেকেই আসত, এখন আর কেউ নেই 

নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন, আশ্চর্য, শহর থেকে দূরে 
একাকী, নিজেই সব করেন, বারান্দায় আসেন
যতদূর দেখা যায়, কতকিছুই মনে মনে বানান
তারপর সবই যেন কুয়াশামাখা, কেমন বর্ণহীন
মনে পড়ে মেলায় গিয়ে হারিয়ে যাওয়া
দিগন্ত ধরে হাঁটতে গিয়েছিল যে লোকটি
ফিরে আসেনি, সে লোকটির আশ্চর্য নীল মুখ 

 

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

মুখোশ

আজ সতের জুলাই, রুবি বোডিং-এর সামনে 
হঠাৎ মনে পড়ল, অফিসের মুখোশটাই পরা হয়নি 
অগত‍্যা রাতের মুখোশ, বাসি দাড়ি, গায়ে অশুচিতা নিয়ে 
কেমন কেমনভাবে মন্টুর পানের দোকানে
একটা পান মুখে দিয়ে মুখের গন্ধ দূর হল
এখন খুশি খুশি

নম্র পায়ে রিসেপশন থেকে যেতে গিয়ে 
'গুড মর্নিং স‍্যার' শুনতে হল, রাতের মুখোশ 
অশুচিতা ছাড়ছে না, অফিস কলিগ কেউ কেউ এসেছেন 
চেয়ারে না বসে সোজা টয়লেটে, নিজেকে আয়নায় ফেলে 
বিন্দাস মনে হল, মুখোশ ভুল থেকে আর একটা ভুল যেন না হয় 
সর্তকতার সঙ্গে ছুটির পর  সোজা বাড়ি

সান্ধ্য মুখোশটা ভীষণ জরুরি 

 

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

পঁচিশে বৈশাখ

এখনো বিকেল হয়নি, সূর্য ডুবে যায়নি 
ওই জলাশয়ে, এমন সময় কেমন এক স্তব্ধতা
দখিনী বাতাস স্কুল ছুটির মতো বয়ে আনছে পিঠে 
এপ্রিল শেষ করে পঁচিশে বৈশাখের ঘোর

পঁচিশে বৈশাখে কতবার কালবৈশাখী হয়েছে 
উদ্বোধনী সঙ্গীতের পরপরই হারমোনিয়াম সরে গেছে 
নৃত্যশিল্পীরা নেমে গেছে মঞ্চের পেছনে গ্রিমরুমে
হাহুতাশ করতে দেখা গেছে উদ্যোগতাদের

আপডেটে এখন আবাসনের বৃহৎ অডিটোরিয়ামে
জন্মদিন, শ্রাদ্ধশান্তি, ছোট গেট টু গেদার
পঁচিশ বৈশাখ, নজরুলজয়ন্তী
কোনো ঝঞ্ঝা নেই, নেই মাইক্রোফোনের যন্ত্রণা 

সাজিয়ে গুছিয়ে কবিগুরুকে নিয়ে আসা
গান-আবৃত্তির পর চণ্ডালিকা, আপ‍্যায়ণ সুনিশ্চিত

 

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

বসন্ত এল না 

পলাশের ছায়ায় ঢেকে আছে সাজেরবাড়ি স্টেশন 
কোকিলের ডাক মনে করে নেওয়া যাক
ধরে নেওয়া যাক দক্ষিণায়নের রোদ আর
নিরিবিলি গ্রাম‍্যপথ, দূরে দেখা যাক চমৎকার 

আমরা এখন পাশাপাশি বসে মনের মধ্যে কথা বলি
সাজেরবাড়ি চলে যেতে হলদিবাড়ি গল্পে ঢুকে পড়ল
সেবার খুব হামলা হল হাতির, পটকা ফাটল
বাজনা বাজল, রাত পাহারা হল খুব

বসন্ত এল না, ঘুমের পাশ থেকে স্বপ্ন যেমন সরে 
নদী আসে, শীর্ণকায়া, ঝমঝম সেতুর নীচে শুয়ে 
আকাশ দেখে, বাতাসে জড়িয়ে যায় চোখ
তেমন প্রাচীন সিঁড়ি ভাঙা ঘাট, বসন্ত এল না 


 

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

জন্মদিন

আশ্বিনে হঠাৎ স্বচ্ছ অভিযান এসে পড়ল
রাস্তা সাফাইয়ের সঙ্গে স্মৃতি ইরানি বসে গেলেন
রাস্তা ধারের চায়ের দোকান জমে উঠল
জনসংযোগ, চন্দ্রবিজয়ে যেমন উল্লাস হল
বইয়ের পাতা যেমন সামনে এগিয়ে চলে 

প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে মনে রাখা যেতে পারে 
গতকাল মানে অতীত, তারপর ইতিহাস 
তুমি যেমন জন্মদিন ভাব, এগিয়ে রাখে
রঙিন ক‍্যানভাস উৎসব করবে জন্মদিনের
কেক কাটবে, বেলুনে বেলুনে ছয়লাপ হবে 

জন্মদিন একটা সংখ্যা, আশ্বিন খুলে গেল
আশ্চর্য সোনালি সকাল, স্বচ্ছ হল চারদিক 

 

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

গল্প

গল্প কেমন সর্পিল রেখাপথে হাঁটে, আশ্চর্য 
তুমি একটা গল্প বললে, পরক্ষণেই বাঁকবদল
চড়াই-উৎরাই নদীনালা, কখনো আলো-অন্ধকার
তুমি ভাবছ গরুমারা অরণ্যের অগোছালো রোদ
ঢুকে এল ওদলাবাড়ির হাতির পাল জনপদে

ভাটিখানার গন্ধে বাড়ি জঙ্গল পাটখেত নির্মম 
তচনচের গল্প একটা সূচনা পর্ব হতে পারে 
সেলফোনে ম‍্যাসেজ, মা'র অবস্থা খারাপ 
তোমার মা, আমার শাশুড়ি, অভিভাবকস্বরূপ
নার্সিংহোমের কোনো নাম নেই যে খোঁজা যাবে 

বুলবুলির ধান খাবার মতো সরকারমশাই
পেটি আর্দালি, মুনসেফ, বেলিফম‍্যান, অন‍্যান‍্য
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কলকাতা ভাসতে ভাসতে 
ঠেক খেল ধর্মতলায়, তখন গল্প সরে গেছে 
ফোন এল, পুজোভ্রমণে মা থাইল্যান্ড যাচ্ছে 

 

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

পঁচিশে বৈশাখ 

যেতে যেতে প্রান্তিক স্টেশনের কথা 
ঝুপ করে নিরালা হোটেলের সামনে রাস্তা ধরে 
শান্তিনিকেতনী হাতের কাজের দোকানগুলো 
বোলপুরের বৈশাখী রোদে হন্যে হয়ে ঘুরি
ঠাকুরের পায়ের পাতার শব্দ একদা ছুঁয়েছিল

যতবার এসেছি মন বলেছে গুরুদেব শব্দটা
কেমন করে এগিয়ে এসেছে সোনাঝুরির হাটে
পৌষমেলায়, দোল উৎসবে ঝুরঝুরে হাওয়ায়
কঙ্কালিতলায় যে সুর তুলেছিল বীণে বৃদ্ধ বাউল
'ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে'

তপ্ত ধোঁয়া উঠে আসছে কঙ্কালিতলার শ্মশানে
বৈশাখ ভাবতে ভাবতে এলোমেলো চিন্তা 
পঁচিশে বৈশাখ রোজই ঠাকুর হোক জীবনে 
বাইশে শ্রাবণ তাও নিরিবিলিতে হোক স্থাপন 

 

রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

চাঁদ কথা 

কাল রাতে শিক ধরে দাঁড়িয়েছিল যে চাঁদ 
সে খুব চেনা, আমাদের বসার ঘরে 
শোয়ার জায়গায়, ডাইনিং টেবিলে 
অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে কি যেন বলে 

আমি বুঝি না, ভূতগ্রস্ত কখনোই নয়
অন্য প্রকৃতির, তাও নয়, কেমন অগোছালো 
মন্দারমণিতে যেদিন চাঁদের হাট বসেছিল 
সেদিন হাটের সামগ্রী ছিল তট ভরে 

আমি নিরুপায়, চুপি চুপি এসে দাঁড়াই
তট ধরে রুপোলি ফানুস যত্রতত্র ওড়ে 
আকাশে এক অদ্ভুত মায়াজাল, চাঁদ কথায় 
চাঁদ কথা দিয়েছিল, টু দিয়ে যাবে

অজস্র শৈশব এখন রাতের হাওয়ায় 
হইহই করে পালিত হবে আজ মায়ের জন্মদিন 

 

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

নবাবগঞ্জ 

ছুটে আসা ভোর যেন ছুঁয়ে দিচ্ছে 
নবাবগঞ্জ, নবাব ছিল হয়তো, এখন ঘাট
জাহ্নবী যেন উদার, গতিময়, স্নান সারছেন
কেউ কেউ, অনেকেই শীত ভোর মেখে ভাবুক

স্মৃতির গভীরে নেমে উথালপাতাল 
প্রিয়জনের অস্থি কি ভেসে যায় দূরে 
কুয়াশা কি ছুঁয়ে থাকে ওপার জুড়ে 
ভেঙে পড়া বন্ধ কারখানার মাথায় 

দূরে মাছ তোলে ডিঙি নৌকো কুয়াশা গভীরে 
একদা সাইরেন উঠত ফাস্ট শিফট চালুর সময় 
তারপর অতীত হল, অতীত ইতিহাস হল
গন্ধেশ্বরী জুট মিল মলিন হল, ভূতুড়ে হল

 

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

 

রবিবার 

ব্রজমোহন সরণি পেরিয়ে হালকা হলুদ রোদ
ঢুকে পড়ল নীলমণি দাস লেন, রবিবার 
হার্ডওয়ার, মুদিখানা, কসমেটিকসসহ
এখন অপরাহ্ন মেখে, মোহনচাঁদ, ডেলেবার
নরম শীতে অলসভঙ্গিতে শুয়ে আরাম নিচ্ছে 

অখণ্ড এক নীরবতা, কয়েকটা মানুষ হাঁটছে
তাদের কোনো তাড়া নেই, সাটার ফেলা দোকান 
কেমন অদ্ভুত সব, দূরে যাত্রী ডাকছে বাস
বাসের পেটের ভেতর ব‍্যস্ততা নেই, রাস্তায় 
নেই পুলিশ, সাটেল ট‍্যাক্সি শুধু ডিসেম্বর ছুঁয়ে 

মনোরম রবিবার কেমন এক ফাঁকা ফাঁকা 
নিশ্চুপ রোদ গুটিয়ে যাচ্ছে শহর থেকে 
বাড়ির কার্নিস থেকে সরে গুটি কয়ে গাছে 
ঝুমঝুম বিকেল পড়ে আসছে গঙ্গার পাড়ে 
আহা শীত, আহা বিকেল, আহা রবিবার 

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

কবিতা : অমিত কাশ‍্যপ

মুকুন্দপুর

ভাবতেই মন ভারি হল, সবুজ ছুঁয়ে যে গ্রাম‍্যজীবন
যে জনপথ যখন-তখন মাড়িয়ে লছমীদেবীর ঘরে গেছি 
যে মধুদার চায়ের দোকানে শীতের রোদ বসে থাকত
হারিয়ে যাবে স্টেশনে পোঁছতে পোঁছতে, মুকুন্দপুর গল্প হবে 

গ্রামের মিষ্টি মুড়ি আর লোকাল চানাচুর 
ট্রেনের খাদ্য হিসেবে যতক্ষণ চলবে খুলে থাকবে ছবি
কয়েকটা সেলফি আর খুচরো কিছু ছবি আর অনুরোধ 
'আসবেন স‍্যার' বারবার ভেসে যাবে 

দোকানি জানে, আমরাও জানি আশ্চর্য স্থান থাকবে 
আর কি আসা হবে, না আসা যায় 
এটা একটা জীবনযাত্রার ভ্রমণকথা, হারিয়ে যাবে  
প্রিয় মানুষ যেমন হারিয়ে গিয়ে কাল হয় 

 

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

নদীর গল্প

 

ঝমঝম রেলগাড়ি ছুঁয়ে আছে সেতুর মাথা 

দূরে গ্রামীণ গন্ধ ভেসে আসছে সাবলীল 

কিছু সরল প্রাণ মানুষ চলেছে প্রভাতকীর্তনে

আলপথ ভেঙে পথে নামছে দ্রুতগামী রোদ

 

সেতুর নীচে ঘুম ছেড়ে শুয়ে আছে যে নদী 

সে কেমন নজর কাড়ে, সাবলীল ওই শুয়ে থাকা 

নদীর অতীত ছিল অলংকার নিপুণ, রাজসিক

তার মনে এখন স্মৃতিচিহ্নটুকু লেগে আছে শুধু 

 

ঘাট ছিল কোনো একটা, কোনো একটা জনপথ

মিশে ছিল নির্জনে কোনো একটা ভোরে 

পরিত্যক্ত এখন, পরিত্যক্ত ঘাটের গল্প 

প্রাচীন মানুষ শুনিয়ে শুনিয়ে ক্লান্ত এখন

 

বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

 

গোলোক বিহারী সরণি

 

শৌখিন মানুষ ব্রজগোপালবাবু

সকালে পরিপাটি চায়ে মুখ লাগিয়ে 

বাজারের দিকে হাঁটা লাগান

বেছে বেছে জিনিস এবং দর করেন

 

সেদিন করমচার ওপর নজর যেতে 

স্মৃতির দরজা যেন খুলে গেল 

তিনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শোভা দেখলেন

সাদার ওপর গোলাপী মিশ্রণ, কী চমৎকার 

 

অনেক সময় ব‍্যয় করে ফিরলেন 

তিনি নিজের অজান্তেই ব‍্যয় করলেন

কিছু করমচা ব‍্যাগের ওপর ভেসে উঠল

যেন স্মৃতির ওপরই ভেসে রইল 

 

গোলোক বিহারী সরণিতে প্রবেশ করে 

নিজেকে ভাগ্যবান বিজয়ী মনে হল

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

 

সুপ্রভাত

 

দূরে আছি বলে সরে আছি, ভেব না 

সুপ্রভাতে একজন ফুল দিয়ে লিখেছিল

হোয়াটসএ‍্যাপ কতকিছু কাছে করে 

কবিতা কোথা দিয়ে হাজির হল হঠাৎ 

 

সহকর্মী, না তো, আত্মার আত্মীয় 

পুরনো দিনগুলো ভাসিয়ে দিল, ছবির মতো

অজস্র মুখের সারির ভেতর ভেঙে পড়া কাহিনি 

দিনযাপনের আরেক নাম স্মৃতিভার

 

অনেক দিন পর পুরনো নামে কেউ ডেকে বসে 

যদি চিনতে পারিনি বলে, এড়িয়ে যাই

যদি ভেতরে ভেতরে ম্লায় হই, আর দুঃখ পাই

তুমি ভুল বুঝবে, বা বলবে কিপ ইট অন

শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

বর্ষাকাল


মেয়ের খাতায় সিনারি আঁকতে হবে, বর্ষাকাল

নানানভাবে মেঘ করা গেল, গ্রামের রাস্তা 

চালাঘর, গাছ, দূরে মন্দিরের চূড়া, ধ্বজা

ইত্যাদি প্রভৃতি দিয়েও ভরতি করা গেল না 

 

আমার সাতশো স্কোয়ারফিটের ফ্ল‍্যাটের মাথায় 

যে আকাশ দেখা যায়, তাকাই, নরম বিকেল

দূরে বাচ্চারা বল খেলে মাঠে, বয়স্করা পায়চারী

আরও দূরে সুউচ্চ আবাসন আকাশ ছোঁয়

 

আকাশ এখন ছোট্ট একটা নীল চাঁদোয়া

নিচে রাস্তা, দুপাশে গাড়ির সারি, শপিং মল

শহরের বর্ষাকাল রাস্তার জমা জল আর 

ব‍্যালকনি থেকে বাচ্চার হাতের কাগজের নৌকা 

 

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

অমিত কাশ‍্যপ-এর কবিতা

আজ আনন্দ 

 

দুপুর গড়িয়ে বিকেল আসতেই সেই হলুদমাখা শহর 

কতদিন দেখা হয়নি, বেরনই হয়নি 

অনেক দিন পর, ভিড় যেন সেই আগের মতো

অফুরান, দ্রুততাও, সেই আগের মতো

যেন ফিরে যাচ্ছে ব‍্যস্ত প্রেমে

 

আজ অনেক দিন পর শহরের মন খুশি খুশি 

যেন একটা অস্থিরতা লেগেছিল, থেমে গেছে 

থমথমে, ভয় ভয়, ভয়ংকর কিছু ঘটেছিল 

এখন আর নেই, মুহূর্তে পটপরিবর্তন, স্বাস্থ্যগাড়ির লাল সতর্কতা

এখন অনেক স্থিমিত, সেই কোণে কোণে যেন অদ্ভুত মুখোশের ছায়া 

আজ আর নেই, কেমন শান্ত হয়ে গেছে পৃথিবী 

এমনটাই তো আশা ছিল, এমনটাতেই তো আনন্দ ছিল