ইউসুফ মুহম্মদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইউসুফ মুহম্মদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইউসুফ মুহম্মদ-এর কবিতা

শান্তি

অন্ধকারের কথায় যে ঘুমিয়ে পড়েছিল

আন্তর্জালে সে লিখে রাখে ভালোবাসার গল্প।

টাইমলাইনের সাইনবোর্ডে কেউ

দুঃখনামা লিখে সুখ পায়

খুনসুটির মতোই অনেকটা।

 

লেখা থাকে মানুষেরা কে কোন্ পক্ষে নত

যে পক্ষই নিক, আস্তিক-নাস্তিক, পূজারি বা প্রার্থনা ওয়ালা,

ডান বা বাম, হতেই পারে।

সংশয়ে ত্রস্তদের কোনো পথই থাকে না,

তাদের দুচোখে ওড়ে ধোঁয়া।

 

কুয়াশার ভেতর নিজের পথে হেঁটে যাওয়া সহজ,

ভাঙা-গড়া যায় মাটির চেরাগ।

চেরাগের পূর্বসূরি মাটি দিয়ে গড়া ছিল বলে

তার কোনো দুঃখ নেই —

 

রোজ সন্ধ্যায় মা ঘরের বাইরে প্রদীপ জ্বালিয়ে নামাজে যেতেন,

বলতেন সন্ধ্যায় বাইরে আলো দিলে লক্ষী আসে দরজায় ...

কোনো তিথি দেখে লক্ষ্মী এসে

কখনো বসেছে কিনা জানি না, মায়ের মনে শান্তি ছিলো।

 

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইউসুফ মুহম্মদ-এর কবিতা

কৃষ্ণের না দেখা বৃন্দাবন

তিথি না বুঝেই হরিণেরা ঘাস খেয়ে
রেখে গেছে অর্ধেক পা,
পদ ছাপ —
কার দেহের সুবাসে মরে নগর গণিকা
কার পায়ে জমা হলো চোখ
ভুলে যাই পথের ঠিকানা।
জলের জঙ্গলে ডুবে আছে অনাসক্ত চুম্বন
চোখের আড়ালে কাঁদে বাঁশের বাঁশরী-রাই...
কাঁদে কোন সুদূরের মন

কৃষ্ণের না দেখা বৃন্দাবন।  


স্পর্শ

একদিন শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি

কপালের ঘাম মুছে বলেছে, ‘তোমার সঙ্গে কথা আছে’

ও-রকম ব্যাকুলতা ভ্রমরেরও ছিল

দ্বিধাহীন বাতাসে চঞ্চল হিজল-বকুল-চাঁপা।

 

বলবো বলবো করে কিছুই না বলে

যার হাত ধরে সমুদ্রের ও-পারে গেলো, সে...

তার ঝিণুকের  জল ফুঁড়ে

জুঁইফুল মুক্তো যে ফলায়, ও-কী করজোড় ভালোবেসে?

 

ঝিনুকেরও অনুভূতি আছে,

আছে বুক ভরা জ্বালা ও যন্ত্রণার দাগ

তিথি না মেনেই

মানকচু ফুল দিলো সে কোন মন্ত্রণা!

ভাতঘুমে রাধারমনের দিস্তানে পাতিয়া কান-

নকশি কাঁথায় স্যুঁই ফুঁড়ে কে যেনো ব্যাকুল

পুরাতন নয়ন ও শিবের বিচিত্র বুনে।

 

সেই বৃষ্টি-শ্রাবণ ফেরেনি আর

কে বেসেছে ভালো, কে পেয়েছে স্পর্শ, পূর্ণ-অধিকার।

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

ইউসুফ মুহম্মদ-এর কবিতা

তিথিকৃত্য : ১২

কোনো তিথি মেনে নয়

নীরবতার মুখোমুখি বসে তাকে শুধু দূর থেকে লিখি 

সুন্দরের সবটুকু ঢেলে তুলিতে এঁকেছে তারে

কোন সে শিল্পীর হাত!

 

আমি এঁকে রাখি গুচ্ছ গুচ্ছ অন্ধকার

সেই অন্ধকারে তানসেনের সুরের তারে

ফুটে ওঠো ঋতুমতি ফুলইরানি গোলাপ

আষাঢ়ী পূর্ণিমা রাতে

শ্রাবণের গান গেয়ে আমাকে মন্থন করে

অলকানন্দার জলগোলাপের তরুণ উত্তাপ



 

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইউসুফ মুহম্মদ-এর কবিতা

তিথিকৃত্য

চড়ুই পাখির কান্না অনুবাদ করে

বন পোড়ার দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম

দূরে কোথাও তিনটি কাক

চড়ুই পাখির ডিম নিয়ে খেলছিলো,

খেতলে খেলতে ভেঙে যায় পাখির সংসার

 

গলা বাড়িয়ে দেখলাম ভাঙা ডিম থেকে

বেরিয়ে আসছে মানুষের মতো কিছু...

লাল হয়ে য়ায় তিথি বুঝে ফুটে উঠা শিমুলের গাল

পঁচাগন্ধময় মানবতার গলিত লাশের ফাগ

যত দূর দেখি শুধুই মাকালশুধুই মাকাল

 

       

তিথিকে দেখিনি,

সুরের ধারায় তার কথা শুনে বোধি দুয়ার খুলেছে...

কুবুপাখি তার কথা বলে সুরবন্দি কানে

ত্রিবেণী সঙ্গমে হেঁটে যায় কালের পুরাণ

 

যাকে কখনো দেখিনি

তার কথা বয়ান করেছে গীতা  কোরআন

খৃষ্টের কলমপদছাপ আঁকে মানুষের ভিড়ে

জন্মদিনে যে কলম বাঁশি হয়ে বাজে যমুনার তীরে