প্রশান্ত গুহমজুমদার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রশান্ত গুহমজুমদার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা

অলকানন্দা 

এই যে শরীর হইতে জল। অথবা জল এবং শরীর। ক্রমে ব্যোম। পাখি ডাকে। যেহেতু অলকানন্দা ওইখানে। বর্ণ তাহার বাজিকর। রেণুসব প্রশ্নহীন। কেবল সিঁড়িসব বিকালের জন্য অশেষ। আর পথ। ন্যায়ের ঝান্ডায় নীল এবং স্যাফ্রন সভ্যতা। আত্ম এবং আধ্যাত্মিক পেটিকায় বর্তমানে। জলেই এইরূপ হয়। সেইখানেই ভাঙা আর্শি। বাহবা বাহিতে বাহিতে শিশু। লৌকিক হইতে ধীরে লৌহশকটে। বাজনা বাজিতে থাকুক।
 

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা

আহত মাগুর

নিস্পৃহ শব্দটি আপাত গোল। কৈশোরযথা। কয়েকটি তীর্যক চিহ্ন অতুল করিয়াছে উহাকে। হাতুড়ি এবং 

নেহাই মনে পড়ে। মনে পড়ে সময় এবং আগুন। পাঁচ আঙুল ক্রমশ স্পষ্ট। যন্ত্রণা। মৌচাক হইতে উড়িয়া 

গেল এক ছায়া। বিবাদী কেহ নাই। আহত মাগুরে ভাঙিয়া গেল স্বপ্ন। মূর্খশূন্যসাদা বালির অভ্যন্তরে 

হাড়হারিয়ে যাওয়া মাছের। খেলা করিমা আমাকে খেলা করেঅদ্ভুত ক্রীড়ায় দেখি সাপস্পৃহা লতায় 

লতায়। গোল নহে আর।



সেরিব্রাম


অবহেলার সে শব্দে প্রহার। অনিবার্য অথচ মাংসের ন্যায় অনির্দিষ্ট। সেরিব্রামে আঘাত করিল। তদবধি 

ত্রিমাতৃক দৃশ্যে অভ্যস্ত। অপরে। শূন্যের অদেখা পৃষ্ঠে। সৌর আখ্যাত জগতের বিপরীতে। প্রণামে। 

নাভিকুন্ডলিতে। কে আর কবে বৃদ্ধাশ্রমের দেয়াল দেখিয়াছে। আমি দেখিয়াছি। অন্ধকার। নগ্ন টেবিল। 

শিশ্নের অনাখ্যাত স্মৃতি।  


আলাপ

টেবিল হইতে পিরিচপেয়ালা এবং সাদা সরিয়া গেল। এবং সাদা দরজা আসিয়া টেবিলের উপর। ইহা 

একরকম সত্য। তাহার লাল অনুযায়ী ছিল কিছুযাহা স্বাভাবিক এবং উষ্ণ। মিথ্যা বলিতে কেবল রাত্রি 

যাহার অবসান ঘটে নিত্য প্রভাতে। লণ্ঠনেও ঘটে। লুণ্ঠনেও। অবগুণ্ঠন প্রয়োজন তাহার। আলাপে 

যেরূপ ভাসিতে থাকে চারটি চেয়ার। কৌতুক ভাসে। কৌতূহল কোহলে আনন্দ পায়। রেলগাড়ি ভাবে

চলিতেছে। বস্তুত ঘরসংসার এক জলাশয়জীববৈচিত্র লইয়া শরতে স্থির হয় স্মিত শালুকে। আমি

কেবল আমিই নিজের কাছেনিজেকে নিজের কাছেই চাবিকাঠি বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে খেলা করি

গোলাপী লইয়া।

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা

বেলাছোটোর ক্যাকোফনি

ক।৷ 
রহিল না। অপরাপরের আলোয় আজ বিস্মৃত। বহুদূরে কেবল বহনের শব্দ। নির্বিকার এবং অবারিত। ফটোর কোন বর্ণ নাই। জল তাহাকে। কত অরূপে তাহাকে দেখিতেছি। রৌদ্রে, ছায়ায়, অচিন্ত্যে। সিঁড়ি কি কেবল আবাহনের! আমি দীপ জ্বালি, আমি আগুন, আমি পতনের ইতিহাস বর্ণন করি। লাল সুতো কতখানি আর বন্ধনে উপযুক্ত! অপূর্ব ছুরি এক সন্ধান করিতেছি। 

খ।।
সে ঘরে কুয়াশা, জড়ির কলমা আর বিশদে হলুদ। ভাবিও না, মৃত্যুর সে গন্ধ উপভোগ্য ছিল না, বলিয়াছি। খুব বৃষ্টির পরে যে রিনিকঝিনিক, পায়ে সে ছন্দ তোমার, বাধিয়াছিলাম। অথচ চুম্বনে আলোক ছিল না। বস্তুত তুমি আগ্রহী ছিলে সিড়িতে, শ্যাওলার তিমিরে এবং পদ রচনায়। প্রথাগত নাভি এবং গন্ধের আলোকচিত্রে। সেইখানে অভিযান পাই নাই আমি।

গ।।
তৃণ বোঝে সেইসব। ওই আন্দোলন। ছায়া। প্রকৃতই অসামান্য নয়। কেবল জলের মনে হয়। নতুবা সে কেবল নতুন। ক্ষুধার্তের অন্য গল্প। শীতের, ঊষ্ণতার, ওমের। অথবা অনিকেতের। তুলসিমঞ্চের। কে যে কোথায় ভাল থাকে! ঝুঁকে পড়ে,  নিচু হয়। যাতায়াত অবিরত। অশ্রুর ধারাপাত। অদ্যাবধি অসমাপ্ত। বোধ করি, সাম্রাজ্য এবং সে বৃক্ষের বিরোধ ছিল কিছু। ফলত অক্ষরসব দৃঢ় হয়। বৃষ্টি হয়। কালোকোলো  বিন্দুসব ধরে রাখে শীষ। অসীম, এমত প্রাচীনে।

 

বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১

প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা


পেয়ালা

১০। আলোচনাগুলি। ঝিঁঝিট। বৈঠকের শেষে সেই পঞ্চাশের গলি। বেশ পাঠ্যপ্রতীতি হয়। শীতের অপরাহ্ন। সুখ লম্বা আলাপে পাখি ডাকে। মনে হয়ধারাপাতে বিঘ্ন কিছু ঘটিতেছে।  কি কেবলই কালক্ষেপবিস্তারে এত ভয়আর বিলম্ব করি না। ভৈরবী জপি। তাবৎ অনুষঙ্গ সহ। গন্ধে মনোগ্রাহী। কোলে নিয়ে চুপ বসি। একটা একটা ফুল। প্রাণের প্রতিটি আয়োজনে বিন্যস্ত করি। শুনিনিকটে বা দূরে। দেখিকৌণিকে। আহাবড়ো সাধ হয়। স্পর্শে কি কুরীতি ঘটিবে!