পিতা-পুত্র
পৃথিবীর যাবতীয় অন্যায় যুদ্ধ
থামাতে পারে মানুষের ঐক্যবদ্ধ শক্তি
আমার বাবা-র বাবা বলেছিলেন বাবা-কে---
তারপর দিন ফুরিয়েছে রাত গড়িয়েছে
এক কালের ঠাকুরদাদা
স্মৃতি রেখে জগৎ ছাড়া
অন্য আমি একটু একটু ক'রে পেয়েছি উপদেশ
পৃথিবী জুড়ে একদিন হবেই ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
আমার বাবা বলেছিলেন আমাকে ---
এই-ই এমন আমার বাবা , তাঁকে দেখেছি ন্যায়-নীতি আদর্শে
তাঁর বাবা-র পথ অনুসারী নিষ্ঠ মানুষ একজন
আজ তিনি , তাঁরা নেই ঠিকই
সশরীরে আমাদের ধারে কাছে সুখে-দুঃখে
রয়েছেন স্মৃতি জুড়ে আমাদের হৃদয়ের
অন্তরের কোথাও---
বুঝি, বেশ বুঝি আমার স্মৃতি-র পৃথিবী এঁদের ঘিরে
আশ্চর্য ভারবাহী আলোয় স্মৃতি উৎসুক
চিরকালের চিন্তার ঘনছায়া আমায় ঘিরে
অনন্ত অতীতের স্মৃতি-ভাষ্য ঢেউ, অনর্গল ঢেউ
বহে চলে আনন্দ যাত্রায়---
মনে মনে ভাবি, আমিও তো বাবা আমার সন্তান-কে বোঝাই পাখি-পড়ার মতো
বুঝিয়ে অন্তঃকরণ শুদ্ধ করি আন্তরিক ভাবনায়
উত্তরকাল আজকের এই দামামা-র যুগে
বলা-কওয়া-কে বুঝবে আর কত প্রজন্ম ?
কোথাও বাবা-র একটা জোরের জায়গা ছিল
বাবা বলতেন উল্টো কথা
'নিজের কথা বলবে না , লোকে বলবে,
বলবে অন্যেরা---
শুধু মানুষের কথা রেখো
মানুষের পাশে থেকো
জেগে জাগাও'---
এখন যুগ পাল্টে গেছে, একচেটিয়া এখন
এ সময়ের শ্লোগান
নিজের ঢাক ---
বরুণ চক্রবর্তী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বরুণ চক্রবর্তী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
বরুণ চক্রবর্তী-র কবিতা
যে এই সময়ের গান
যা ধুয়ে আয় শুদ্ধ জলে কাদায় মাখা হাত
পাতবো সবাই পাত
আসবে গরম ভাত
ভরলো উদর যেই তারপরেই উৎখাত
পাত্র ভরা জল দেদার খাচ্ছে ঘূর্ণিপাক
সেই আকারেই থাক্
শুনছি কীসের ডাক
বিরক্তিতে ভীষণ হ'য়ে ডাকছে অনেক কাক
যাচ্ছে চলে সময় স্মৃতি হচ্ছে ক্রমে গত
মৃত লোকের মতো
উঁচু মাথা নত
মাথার উপর সূর্য জ্বলে ছড়ায় আলো কত
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ছোট্ট ছেলে মেয়ে
আকাশ মুখী চেয়ে
যাচ্ছে শুধু নেয়ে
মুক্তি মাতাল সুরে সুরে উঠছে যে গান গেয়ে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)