গৌরাঙ্গ মোহান্ত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গৌরাঙ্গ মোহান্ত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১

গৌরাঙ্গ মোহান্ত-এর কবিতা


 সারিন হাতির মাহুত

নদীতীরে যারা শারদ শ্যামতায় সারিন্দাসুর ডেকে আনে, এবং যারা মাহুতের হৃৎকাঞ্চন-রূপে আচ্ছন্ন হয়, তারা কাশ-তরঙ্গে সাগরের রেখাচিত্র আঁকে। সারিন হাতির শুঁড়ের স্বর্ণচ্ছটায় সাগর-বেদনা প্রতিফলিত হয় বলে সোনার সাতনরি হার নিয়ে মাহুত ফিরে যেতে চায় কলস-শোভিত ঘাটে। সুবর্ণ কণ্ঠহার শুষে নিতে পারে না সমস্ত অশ্রুজল--ট্রেনে যেতে যেতে  গৌরীপুরের রাজকুমারী প্রত্যয়ের নির্ভুলতা নিয়ে ভাবতে থাকেন; বালুটিলটিল পক্ষীর ক্রন্দনের ভেতর দ্রুত অদৃশ্য হতে থাকে বিস্তীর্ণ মাঠের অস্তিত্ব।

১৬.০৯.২০২১

রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

গৌরাঙ্গ মোহান্ত-এর কবিতা


উত্তরাপরিধি

মানুষের মূঢ়তার জন্য গতিরুদ্ধ পরিবেশে ফুল ফোটে না জেনেও তোমাকে নিশ্চলতার ভেতর ডাকি, তোমার তরঙ্গরাগ কলাপাতার কোমলতাকে নৃত্যের মহড়ায় দৃঢ়তর করে তোলে, সজনেফুলের কামনাকে দ্বীপসিঁড়ির উজ্জ্বলতা দেখায়, উত্তরাপরিধিকে চিনিয়ে দেয় অতীত আত্রাইরেখা। তোমার গতিকল্পনায় বর্ষার উপাখ্যান রচিত হয় বলে পৃথিবী আর পাতার বর্ণে কোনো প্রভেদ থাকে না।

 

মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১

গৌরাঙ্গ মোহান্ত-এর কবিতা


মিরাপ্রবণ আকাশে তরঙ্গ

যে টিস্যু পেপারে দীর্ঘ পথের উচ্ছ্বাস আঁকা হয়েছিলো তা এখন আরব সাগরের ওপর সবুজ চন্দ্রাতপ। সৈকতে বসে যারা মার্মেইডের গান শুনছিলো তারা পাহাড়ি ফুলের গন্ধে আবিষ্ট হয়ে পড়ে কেননা শিল্পীর নীল বসনের ভেতর অসংখ্য পাহাড় গেঁথে দিয়েছিলো পুষ্পকস্তুরী। পৃথ্বী থিয়েটারের কাছে কস্তুরীর উন্মাদী কণায় বাতাস কেঁপে উঠতে থাকলে সময়-অতিবাহন অনিবার্য হয়ে পড়ে। রাত নেমে আসবার আগে অকর্মণ্য পথচারীদের দ্রুত অতিক্রম করে একটি তরঙ্গ মিরাপ্রবণ আকাশে উড়ে যায়।



১১.০৫.২০২১ 

সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

গৌরাঙ্গ মোহান্ত-র কবিতা


  

নৈঃশব্দ্যের শূন্যতা

 

শব্দের ভেতর দিয়ে নৈঃশব্দ্যের শূন্যতায় হাঁটি। তোমার পা-চেতনা থেকে বৃষ্টির ছবি ঝরে পড়ে। সিঁড়ির বাতাসে দীর্ঘতর হয় নাইটকুইন। দূর থেকে ছুঁয়ে দেখি ঘাসের জাগরণ। মাঠবাড়ির ধুলো নারকেলপাতায় চুমু খেয়ে আমার বুকের ভেতর শুয়ে থাকে। আমি ধুলোর গন্ধ ছড়িয়ে রাখি মেঘে। তিস্তা কিংবা আন্দামানের জলে জেগে থাকে সুবাসের স্বীকৃতি। ফুকেট শহরে বৃষ্টি হলে অভিনয়-শিল্পীর আঙুল গন্ধঢেউ-এর পরিচালক হয়ে ওঠে। আমি হেঁটে ভ্রমণের সূত্র শিখে ফেলি; হেঁটে বাড়ির দূর-বাসনায় ফিরে আসি।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

গৌরাঙ্গ মোহান্ত




 আনডিনের আঙুল

মৃত্যুকে যে অস্তিত্ব ডিঙিয়ে যায় তার নীলাভ তরঙ্গে ডুবে থাকি। তরঙ্গে ভেসে আসে যাত্রাকালের 

সংকটভাবনা, অনিদ্র প্রহর, রবীন্দ্র প্রশ্রয় আকুল ধ্বনির অনন্ততা। আমি এদের আঁকড়ে ধরি

অজলচর বলে থেকে থেকে নাসারন্ধ্রে টেনে নিই ধুলো ––– সিসার ঢাকাই চূর্ণ। আমার অদৃশ্য কম্পনের 

ভেতর ফুটতে থাকে নিশিপদ্ম ––– তার অশান্ত কেন্দ্রে জমে ভাঙনফেনার ঘোলাটে নির্যাস। তরঙ্গের

চন্দ্রকোষে জেগে ওঠে আনডিনের উজ্জ্বল আঙুল ––– তার পদ্মকোষ মুদ্রা নিশ্চিত করে জলকুসুমের

পুনর্বাসন।