বিদিশা সরকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিদিশা সরকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

কবিতা

শীত নিয়ে গেল ....
ঘর জুড়ে ছড়ান ছিটানো ম্যাগাজিন
দুমড়ানো সিগারেট বাক্স
প্লেটে লেগে থাকা কিছু মাঞ্চুরিয়ান চিকেনের
গ্রেভি সস্

জানালাগুলো খুলে দিয়ে যায়
ওরা সব 
ফিরে যাওয়া দেখি 
আজানের আকাশেও
হঠাৎ ফেরারি কোনো স্মৃতির মলাট

কবিতা নিছকই কিছু স্তুতি আর সাইবেরিয়ান
 


প্যান্ডামিক

প্রতিটা শব্দই যেন কবরের নীচে 
আবছা আলোয় চাঁদ চশমা খুলে আই ড্রপ 
ঘষা কাঁচে অনুমান করে সব ব্যাধি 

এখন শহরে যেন কোনো প্রৌঢ় নেই 
নেই কোনো মলিনা মাসিমা ছায়াদেবী 
কাশি নেই যক্ষা নেই 
শীতের চ্যবনপ্রাস বেঁচে থাকে তলানিতে 

এতো ভয় নিয়ে বেঁচে থাকে সাগর মান্নার রাস্তা 
কাশি চেপে চেপে 
জ্বর নেই মিক্সচার অথবা জন্ম নিয়ন্ত্রণ 
মৃত্যু ভয়ে জড়সড় 
শুধু পরিসেবা
অ্যাম্বুলেন্স 
ডেডবডি 

শ্মশানযাত্রীরা হটস্টারে

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

কিছু রং দিও

তোমার চোটের অজুহাত থেকে তুলে নিলাম আতর মাখানো রুমাল। কিছু তো থেকেই যায়। যেমন সাবান সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন।

বিজ্ঞাপনের দাম্পত্য থেকে টুকে পাস করা রেবতী নদীটি পদবী মুছে দিয়ে নামসর্বস্ব।

জজকোর্টের সামনে জলের দামে বিক্রি হচ্ছে রুদ্রাক্ষের মালা আর বিবাহ বিচ্ছেদ। প্রত্যেকেই সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত। সম্পর্কের মেয়াদ বিষয়ে। মিশরের পিরামিডের মতন স্মৃতির ফলক থেকে চোখ সরালো দূরবীন। তারপর আকাশ বিষয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।আলোর উপলক্ষ্য রাতকে কী অনায়াসে দিন বানিয়ে দেয়। তোমার না জানা র়ংগুলোকেও। তার থেকে কিছু রং দিও। যত্নের লালনে ধুলো পড়ে না। শুধু দেয়াল লিখনের রংগুলো বাদে।

 

এই তরল প্রপাত বিষয়ে

এই তরল প্রপাত বিষয়ে ধারাবাহিক হতে হতে 

ঝর্ণা কলম হলাম

যদিও উপত্যকা বিষয়ে নীরবতা উর্ধতনের সদিচ্ছা


টুরিস্ট লজের বারান্দায় আলোছায়া

তোমার স্বীকৃত ভেজা তোয়ালের মতো শরীরী আতর 


ক্রমশ অবশ হয়ে যেতে যেতে 

একলা পথগুলো চৌমাথায় দাঁড়িয়ে

বাজার দর বিষয়ে কিছু আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছিল

সেই উৎসমুখ 


দোয়াতের ভিতরে সেই নীল সভ্যতা

ইতিহাসের পাতায়

এখনও খুব রাতে শোনা যায়

বুটের শব্দ

বশ্যতার চাবুকে প্রপাতের মুজরা 


আপাতত ওরা সেই উৎসবমুখর সন্ধানে

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

ঐচ্ছিক

এখন তো সব ইচ্ছা সব লেখা আকাশ তোমাকে,

বৃষ্টি এসে মুছে দিয়ে যাবে


তোমার মসৃণ নীলে পাল তুলে ভেসে যাচ্ছে মেহেক রুবাই 

সবই তো আয়াস আর আভাসের বাতুলতা ভেবে

কেউ দরজা বন্ধ করল 

খুলে দিলো জানলা কেউবা


ঘটমনে সব রক্ত ডোনেশনে গেছে

নেমে যাচ্ছে প্ল্যাটিলেট সিঁড়ি দিয়ে,ওকে যেতে দাও

লোয়ার বাজেট আর সস্তা ঘরে

সমাগম কম

নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায় 

লবণ হৃদ 

 


নীল বিষয়ক কিছু কথা

নীল বিষয়ক কিছু কথা 

লিখে রেখে গেছে ডিসটেম্পার করা দেওয়ালে কখন 

তারপর তালা বন্ধ তালা খোলা

বিবেচনাধীন


অন্ধকারে যারা ব্যবহার করে টর্চ 

তাদের শিকারী ভেবে রেখেছি তফাতে

মনে হয় শ্বাপদের ভয়ানক ভয় থেকে

ছুটে আসা বাণ অথবা কার্তুজ

আকাশকে বিদ্ধ ক'রে

প্রিলিউড ভাবে


আর জনারণ্য টেরই পেলো না

এক হাঁটু রক্তের বাগানে

অসফল ভ্রুণগুলো পথ খুঁজে খুঁজে সেই 

লবণ হৃদেই!! মৃত্যুও সহজ


চাহিদা আমারও ছিল 

আরেকটু সহজসাধ্য...

ক্যালেন্ডারের পাতা বদলে দিয়ে 

কয়েক বছর পরে অবিশ্বাস্য থেকে যাওয়া শেষের সারিতে

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

কলার টিউনে

কেমন স্বার্থপরের মত ছড়িয়ে দিচ্ছি লিফলেট 

জনে জনে বলছি আত্মহত্যার কারণ বিষয়ে

কিছু লেখা রয়েছে এখানে 

নাগ পন্ঞ্চমীর রাত 

হলাহলের শিল্পীত কিছু মুদ্রা 

ছায়া স্বরূপিনীর তৃকাল 

খোল করতাল নামাবলীর সঙ্গত কারণ 


সেইসব পড়েছ তুমিও 

নিভৃত যাপন রোগে প্লাজমা থেরাপি খুঁজে খুঁজে 

বেজেছিলে মোবাইল শহরে 

তোমার কন্ঠ শুনে কলার টিউনে এ শহর 

লিফলেট ভুলে গিয়ে 

তোমায় খুঁজেছে সারারাত 

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

প্রেমিকের রক্ষিতা 

ব্যালেরিনা জানে একটা পাখিও বেঁচে নেই 
ফেন্সিং ইয়ার্ডের সমান্তরাল রাস্তা 
সীডার, ওক আর পাহাড়তলীর সবুজ উপত্যকা 
ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে তুষারপাতে 
ফায়ার প্লেসের পাশে এক উপেক্ষিতা শীতজ্বর 
নিজের ভবিতব্যের বয়ান লিখবে বলে 
প্রথম স্কচের বোতলটা পাশে রাখল 
রিডিং গ্লাস আর অভিজ্ঞতা ব্যালেরিনার সঞ্চয় 
হাইবারনেশনের উপর্যুপরি রসদ 
একটা শিরোনামের অপেক্ষায় 
খুলে দিলো নিষিদ্ধ জানলা ––– 

পরিচিত কিছু বোবা ভাষা আর দূরত্বের সেই আলোকমালা 
তার রিংক্‌ল্‌ ফ্রি ত্বকে একটা চাবুক! 

এখন আয়নার সঙ্গেই কথা বলা 
নার্সিসাস অথবা ইজম্‌ –––
শিরোনামের শুরুটা হচ্ছে এভাবেই, 
"প্রেমিকের রক্ষিতা ব্যালেরিনার কবর এখানে" –––

 

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

জীবনমুখী

শব্দ থেকে শব্দান্তরিত

অপঘাতের আর্তনাদ শুনে ত্রান শিবির থেকে বেরিয়ে এসেছিল রাত্রি

কান্নার প্রতিধ্বনি থামিয়ে দিয়েছিল দ্বিতীয় সেতু'র আদান প্রদান

লজ্জাবস্ত্রের হুঁশ ছিল না রাত ন'টা পঁয়ত্রিশে

 

মঙ্গলসূত্র পীচ রাস্তায়

নুড়িগুলো বিঁধেছিল পাঁজরের শব্দ যন্ত্রণায়

আকাশ নিভিয়ে দিল আয়োজন

কুয়াশার ক্ষনিক সৌজন্যে

 

অ্যান্টেনা ছিঁড়ে গেলে শামুক জীবনে

আন্দাজের পরিক্রমা

মৃত মানুষের মুখ

হিম স্পর্শ শব্দ দমচাপা

 

সুরক্ষিত হেলমেট, লাইসেন্স

দরকার পড়েনি

অথবা বয়ান

শব্দ নিঃশব্দ হলে

আবার সিগন্যাল জ্বলে

শহর জীবনমুখী সুমনের গান!

 

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

ছেঁড়া অন্ধকার 

এইসব হাসিগুলো মোহর কুড়বো বলে 
এইসব রঙদার চটক দেখেই 
নবীকরণের জন্য খাতা খুলে ধরে 
পাতায় পাতায় আদ্যক্ষর -- 

প্রথম অক্ষরে সব থেমে থাকে 
বেড়াল কার্নিশে বসে 
বেচারি চড়াই -- 

কোনো দুঃখ বলেছি কি? 
কোনো পাশ ফেল? 
তবে কেন হাততালি? জোড়া গির্জা? 
রাতের ময়দান? 
কথা বলে অন্ধকারে 
"কত অন্ধকার বাবু চান" --- 

পাশের বিছানা খালি 
মন্ত্রবৎ ঢুকে গেল 
যেন খুব চেনা ঘরে 
ব্যাটারি সরিয়ে রাখা একটা রিমোট!

 

রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

প্রাসঙ্গিক

মাঝে মাঝে দুরত্বগুলো খুব স্পষ্ট হয়ে ওঠে
আমি রোদ্দুরকে বলি
এভাবে জ্বলতে জ্বলতে
কেন পুড়িয়ে দাও
অবগুণ্ঠনের অন্তরমহল ? ...
একান্ত বাথরুমে কত ভ্রুণ গর্ভপাতের কান্নার সঙ্গে মিশে গেছে
নর্দমার পাকজন্মে !
চৌর্যের অপরাধে অভিযুক্ত মুখগুলো
আজ নির্জন সৈকতে নুলিয়াকে উপচে দিয়েছে
সাংসারিক স্বচ্ছলতা –––
একটা ব্ল্যাক-পার্লের মালা মাড়িয়ে দিয়ে গেল
জরুরী ছিলকি

কয়েকটা বেডকভার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছি সমস্ত জানলা
কারণ এক্ষেত্রে পর্দা যথেষ্ট না
অথবা পর্যাপ্ত অন্ধকারও
চোখ বুজে অনুমান করছি
একজন দমন করছে তার প্লাবন
রোদ্দুরে বাষ্প হয়ে যাচ্ছে আরেক শূন্যতায়

যার বিষয়ে আমরা প্রায়শঃই আলোচনা করি।

 

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

বিদিশা সরকার-এর কবিতা


 শ্লীলতাহানির পর

তারপর জানলা খুলে দিল

অ্যালজাইমায় কেঁপে ওঠা পর্দায় প্রাণ সঞ্চার হোলো

উত্তুরে বাতাসে

 

সময় দাঁড়িয়ে থাকে? নাকি থেমে যায়!

সন্দিগ্ধ পড়শি চোখ

লাটাই বালক

রক্ষিতার জন্মক্ষণে মঙ্গলাচরণ!

 

সে সব অতীত!

বিন্ধ্য অবসরের বিকেলে

হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া পুরনো ডাইরির পাতায়

মিতালী ও সঙ্ঘ বিষয়ক কিছু আত্মকথা

বার্রনলের মত ক্ষত'য় প্রলেপ

 

শ্লীলতাহানির পর সেই দরজাটা

বন্ধই থেকে গেছে আজ পর্যন্ত!  

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

পরিধি 

উপহারের ফুলগুলোতে কুন্ঠা,
আমার বিষয়েও –––

এই অন্যমানে যদিও সন্দেহপ্রবণ নয়
তবুও পূর্ণিমা বিষয়ে আর কথা,থাক 
আজ থাক বাক্ স্বাধীনতায় সংযম 
যা আমাদের বরাবরই ঠেলে দিয়েছে
এক একটি প্রকোষ্ঠে
আমরা চাষ আবাদের মধ্যে 
জলসেচের প্রয়োজনে নিযুক্ত করেছি শ্রমিক মৌমাছি
মধুঃক্ষরণের আ্যাপিয়ারি থেকে অন্নদাসকে বরখাস্ত করেছি 
আচরণের বর্ণবৈষম্যে 
অভিবাদনের পালক টুপি 
হারিয়ে ফেলেছি
অনুশোচনায়
হয়তো তুমিও জানো বিষাদের কারণে অবগুণ্ঠন
সমস্ত জিজ্ঞাসার উত্তর যেখানে সংরক্ষিত থাকে সন খ্রিস্টাব্দ সহ

 

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

তর্কে বহুদূর 


এমন তাচ্ছিল্য করে প্রেম হয় নাকি 

এমন গোয়ালা ভোরে 

পর্দা সরিয়ে দিয়ে 

ফিরে যাওয়া মৌসিনরাম 

ছাতা নেই এমন পুরুষ 

কীভাবে পালিয়ে যায় 

বৃষ্টি সাড়া দিতে 

 

কলপাড়ে টাইমের জল 

কুলকুচি 

বিগত রাতের ছত্রাক 

এমন তাচ্ছিল্য সব 

তাবিজ কবজ খোয়া গেল 

সস্ত্রীক বেড়াতে গেল মেঘ-অদিতির বাড়ি 

 

যা রটে তার কিছু সত্যি তর্কে বহুদূর 

 

শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

প্রেরণা 


দেশের খবর বলতে সেরকম কিছু নয়
বিজ্ঞাপন দেখে কেনাকাটা
এই মরশুমে আগের বছরের গন্ধ
সোয়েটারে
ক্যালেন্ডুলার ক্রিমে দমবন্ধ নিষিদ্ধ প্রেরণা
আলাদা বিছানা থেকে অন্য ঘরে আসা যাওয়া করে

 

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

তুহিনা প্রলেপ

ঘুম নেই। বিষয় যদিও ঘুম নয়। বলা-- অতিবলা বাণ নিক্ষেপের পর জাগ্রত প্রহরীর মত একটা 
লাইটপোষ্টের আত্মকথা হয়ে।
মরশুমি ফুলের গন্ধ নেই, শুধু রং।হয়ত তাই রং নাম্বারগুলো নিজের গরজেই আসে অথবা ফিরে যায়। 
ফিরে যাওয়াও কোনো বিষয় নয়। বিষয় লক্ষ্মণরেখা। নির্দেশ পালনের চরিতার্থতা তৃতীয় সর্গের পরে 
ঝিমিয়ে পড়ছে। অতএব জাগরণের বাস্তবে আর্সেনিকগ্রস্ত একজন হয়ে তুহিনা প্রলেপ

 

রবিবার, ১ মে, ২০২২

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

কৌতুহল


এক  ঠাঁয় বসে আছে আয়না চিরুনি

 

হুটার বাজিয়ে প্রায় তিনজন চলে যাচ্ছে 

জানলা খুলে দেখা 

দেখে নেওয়া 

 

ওটুকুই মানবিকতা 

ওটুকুই এর বেশি অন্যের জন্য ভাবতে নেই 

ভুলেও কখনো নয় 

 

বায়াপসি রিপোর্ট খুলে পাস করে যাওয়া সেই মেয়ে 

একাই সেলিব্রেশন 

 

প্রতিবেশীচারণের কৌতুহল ফিরে যাচ্ছে নিজ নিজ কাজে

 

মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

সাবটাইটেল


সব সমুদ্রই তো অচেনা রয়ে গেল 

নামগুলো রঙের আন্দাজ 

বিদেশের ছবি বিদেশে বসেই 

সেইসব রঙের থেকে তোমাকে আলাদা করতে পারিনা 

 

তোমার শীতের গল্প লুকিয়ে ফেলেছ 

যদিও দস্তানা দুটো আমার কাছে 

সারা দুপুর রোদ নিয়ে এখন হিমে ভিজে যাচ্ছি 

দুই তালু ঘষে ঘষে 

নাম পদবি কিছুই নেই আর 

তোমার ঠিকানায় দুটো স্পীডপোস্ট শুধু 

 

জেগে জেগে কিছু অনুবাদ 

মাফিয়া আবেগ 

হেলিপ্যাড 

মানচিত্র 

লোয়ার বাজেট 

 

 বরফ চাঁদর আর ভেসলিন  

ডাইরি  ঘেঁষা কিছু সাবটাইটেল 


 

শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

বিদিশা সরকার-এর কবিতা

অসম 

বিরজু আসলে একটা নীল খাতা পছন্দ করে না কোনো মলাট। সমস্ত প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে গ্যালারি জুড়ে টাঙিয়ে রেখেছিল ইচ্ছে মাফিক বস্ত্র সঙ্কুলান। আমার ইচ্ছে ছিল একটা ঝর্ণা অথবা ঝোরা। যেভাবে সেলুলয়েড জুড়ে আভিজাত্যের নীল , চক্রাকারে শেষ বিকেলের মন্থন আর শরীর পেঁচিয়ে বেয়ে ওঠা ভাস্কর্যের মতো অন্তত কিছুক্ষণ।এই স্থায়িত্ব বিষয়ে কেউ কিছু জানে না।আগ্নেয় লাভায় একটা একটা করে আমার পারিজাত।কী নিঃসীম তার অতল ! চুম্বন ছুঁয়ে তার বুকেই অধঃপাত। 



পিঠের উপর তার অঙ্কনশৈলী। আধো ঘুমে আয়েস সর্বস্ব সমর্পণ। অথচ বিপরীতমুখী এই আয়োজন একটা চার্জার খুঁজছিল। ফুরসত আর পায়রা ঘরের রকম সকম এক বিদ্যুতেই সেই দূর্ঘটনা।ফাইল দিয়ে আমার নখগুলো ঘষে দিতে দিতে বাতলে দিয়েছিল প্রতি আক্রমনের সহজ পন্থা। অসম সময় দীর্ঘায়িত হলে কোম্পানির ঠেকে বসে থাকতে থাকতে একটা সন্ধ্যা হয়ে ওঠে শচীন কত্তার গান