ভেবো না
ভুলেছি...
পথে পথে পাথরের কণা
আলপনা’র মতো ছড়ানো
আহত পাতা, ফুলের কুঁড়ি ...
অনেক যত্নের নীড়,
কাতর দুটো পাখির ছানা —
ডানা মেলবার সময় এ নয়
হাওয়ায় হাওয়ায় জড়োসড়ো হিম,
কৃত্রিম রোদ মেঘের দেশে বসে ভাবছে বিভোর
এমন কুয়াশা-শীতে কে জাগে?
কে আর আলোর আশায় মিহিন পায়ে,
নূপুরে নূপুরে শিশির মাখায়!
বহুকাল কুমারীর চোখ
দ্যাখেনি পৃথিবী এই —
অবাক দৃষ্টির দূরে অজর অন্ধকার...
নীরব তারার মতো একাকী চমকায়,
ঘুম আছে চরাচর জুড়ে
চোখের তারায় শুধু নেই ।
একদিন ভুলের দেশে
নতুন ঘ্রাণের বেশে
চেনা-ফুল ফোটে অনায়াসে...
পূর্ণ চাঁদের রাত,
মেঘমগ্ন ভোরের
রঙিন-দিন হয়ে ওঠার ক্রমশ-প্রয়াস,
—- সন্ধ্যার, দিন রয়ে যাবার দীর্ঘ নিশ্বাস :
ঝড়ের পাতার মতো ক্লান্ত...
পথের মতো নিঝুম,
তার অযথা স্বর ।।
রেজা নুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রেজা নুর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শনিবার, ১ মে, ২০২১
রেজা নুর-এর কবিতা
সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
রেজা নুর
নিঝুম-৩ : সাঁতার
কখন যে জলে ভাসতে জেনেছি, মনে নেই,
স্বচ্ছ নিরেট সব তরলে তরঙ্গ তোলা
ঝরণার মতো অনাবিল হয়ে এলো অজান্তে ।
পুকুরের জল দুহাতের পরতে পরতে
মেলে যায় প্রজাপতির আল্পনাময় পাখার মতো,
ডুবে ডুবে শুনি জলমগ্ন নূপুরের ধ্বনি ।
দীর্ঘ দীঘি প্রতিদিন বিকেলে
কিশোরীর ডাগর আকুল চোখের আহবানে
ডেকে ডেকে নেয় ...
কী আছে সেই পুরু-পুষ্ট জলের অতলে !
তুলতুলে মিহিন ঢেউয়ের সমতলে
শুধু আমার সাঁতার ।
নদীও —
নারীর মতো একমুখি, পলায়নপর,
সুনিপুণ জলের মোহ বিছিয়ে রাখে
বোঝে না সে, জানে না সে, না মানে সে ...
কী ক’রে মোহন-পুরুষ হয় পর?
বহুদিন চরের ঘাটে
গলাজলে নেমে বুঝেছি স্রোতের দুলুনি ।
কি নিখুঁত স্বচ্ছ বালুতল !
সাগরের অসীমতা নেই, আয়না’র মতো আপন,
নির্মল অদূরের শোভন আহবান ।
গাঢ়-মনে সহসা-সন্তর্পণে
বুকে তুলে নেয় জলজ-প্রেয়সী
শরীরে তার সাত সমুদ্রের টান...
আমার বুকের নিচে নদী
জলের সুতো চিনে চলে প্রান্তর, গ্রাম
অচেনা দিগন্তের বাঁক ।
মিছে-মনে সে
সংগোপনে, নীরব-নিঝুম —
আপাত গোপনে
সয়ে যায়
তনু-সাহারার মধুর দহন ।।
কখন যে জলে ভাসতে জেনেছি, মনে নেই,
স্বচ্ছ নিরেট সব তরলে তরঙ্গ তোলা
ঝরণার মতো অনাবিল হয়ে এলো অজান্তে ।
পুকুরের জল দুহাতের পরতে পরতে
মেলে যায় প্রজাপতির আল্পনাময় পাখার মতো,
ডুবে ডুবে শুনি জলমগ্ন নূপুরের ধ্বনি ।
দীর্ঘ দীঘি প্রতিদিন বিকেলে
কিশোরীর ডাগর আকুল চোখের আহবানে
ডেকে ডেকে নেয় ...
কী আছে সেই পুরু-পুষ্ট জলের অতলে !
তুলতুলে মিহিন ঢেউয়ের সমতলে
শুধু আমার সাঁতার ।
নদীও —
নারীর মতো একমুখি, পলায়নপর,
সুনিপুণ জলের মোহ বিছিয়ে রাখে
বোঝে না সে, জানে না সে, না মানে সে ...
কী ক’রে মোহন-পুরুষ হয় পর?
বহুদিন চরের ঘাটে
গলাজলে নেমে বুঝেছি স্রোতের দুলুনি ।
কি নিখুঁত স্বচ্ছ বালুতল !
সাগরের অসীমতা নেই, আয়না’র মতো আপন,
নির্মল অদূরের শোভন আহবান ।
গাঢ়-মনে সহসা-সন্তর্পণে
বুকে তুলে নেয় জলজ-প্রেয়সী
শরীরে তার সাত সমুদ্রের টান...
আমার বুকের নিচে নদী
জলের সুতো চিনে চলে প্রান্তর, গ্রাম
অচেনা দিগন্তের বাঁক ।
মিছে-মনে সে
সংগোপনে, নীরব-নিঝুম —
আপাত গোপনে
সয়ে যায়
তনু-সাহারার মধুর দহন ।।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)