রেজাউদ্দিন স্টালিন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রেজাউদ্দিন স্টালিন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রেজাউদ্দিন স্টালিন-এর কবিতা

অনন্ত শ্রাবণ

পৃথিবীর প্রথম বৃষ্টিধারা দশ লক্ষ বছর 
ধরে আবার ঝরুক
সৃষ্টির সাড়ে তিনশ বছর পর  অবিশ্রান্ত হোক 

রক্তের পাহাড় ধুয়ে দিতে 
দশ হাজার বছর পর 
পুনরাবৃত্তি হবে
স্বচ্ছ শুদ্ধতম জলধারা জীবাণুবিহীন 
তৃণহীন এ্যামিবারহিত

অমার্জিত দূষিত কলুস হিংস্র 
হত্যার বিরুদ্ধে অসীম প্লাবনক্ষম 
জলধারা প্রাণান্ত হোক 
এবং মানবের অগ্নিগর্ভ বিমূর্ত স্তোস্ত্র 

সমূহ শূন্যতা আর অন্ত্রের রিক্ত চিৎকার
হৃদয়ের ভগ্ন হাহাকার 
মননবৃক্ষের ঝরে যাওয়া পাতা
জলধারা জন্মদিক সহস্র জলধি 
যেন ভূমিষ্ঠ না হয় শিশু
আকাশের তারা হাত না বুলায় তার শিরোদেশে 
সমুদ্র চড়ে না বসে  কাঁধে 
জমিন জল পশুপাখি 
উঠে না বসে নূহের  চিন্তায়
মানুষ উর্ধ্বে থাক
আদম অবতরণের স্থান মাটি শূন্য হোক
হাওয়া হোক বাতাসে বিলীন
আর এ  জগৎ প্রাণ অপ্রাণের সীমান্ত

এতো রক্ত এতো মৃত্যু জননীর এতো অশ্রুজল
বৃথা গেলে পৃথিবী হোক প্রাণশূন্য 
অনন্ত শ্রাবণ

 

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

রেজাউদ্দিন স্টালিন-এর কবিতা

শ্রেণিকক্ষ

সামনে বেঞ্চে বসা মেয়েটির মুখ

ব্লাকবোর্ডের উপর  স্থির

পেছনে বসা ছেলেটির বীজগনিত

খাতার মাঝ বরাবর ভেঙে যায়

সে বিশ্বাস করে প্লাস বি হোলস্কয়ার 

আগুন নেভানোর সূত্র

মেয়েটি শিক্ষকের জিজ্ঞাসার জবাব দিলে

পৃথিবীর সব গাছ থেকে ত্রিভুজ ঝরে পড়ে

 

ছেলেটি প্রমাণ করে দেবে

শ্রেণিকক্ষের জানালায় নেমে আাসা

আকাশের তিন কোনের সমষ্টি

দুই সমকোনের সমান নয়

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

রেজাউদ্দিন স্টালিন-এর কবিতা

কর্মসূচি 

 

প্রতিটি বস্তুর আছে নিজস্ব কর্মসূচি 

গাছ ছড়াবে অম্লজান 

পা হেঁটে পৌঁছুবে গন্তব্যে 

এবং নদী প্রবাহিত হবে তৃষ্ণার দিকে

অন্তর্ভেদী চোখ দেখবে  জীবন জগৎ

মুখ মর্ম প্রকাশের জন্য

আর সূর্য সময়ের প্রতিনিধি 

প্রশ্বাস আয়ুর পরিমাপক

এবং চাঁদ জোয়ার ভাটার সান্ত্রি

 জিহ্বা ব্রহ্ম 

 এবং নক্ষত্র অসীমের স্থিতিস্থাপক 

প্রত্যেকে ছোটে তার উদ্দেশ্যের দিকে

 

কিন্তু আত্মা অনির্দিষ্ট 

যার কাজের পরিসমাপ্তি নেই

 

 

শনিবার, ১ মে, ২০২১

রেজাউদ্দিন স্টালিন-এর কবিতা


আত্মার আগুন

তোমার জীবনের সমস্ত বিষয় যদি

কবিতার উপজীব্য করি

আমার  সামান্য জীবনে 

যেটুকু কালির সঞ্চয়

তা দিয়ে দীর্ঘসূত্রী কাহিনীর সমাপ্তি হবে না- আর পৃথিবীতে সময় দুর্মূল্য

কত তুমিতো জানোই

 

সেই বৃদ্ধ মায়ের কথা ভাবো

তিনি সময়কে অতিক্রম করেছেন

অনেক আগেই

সারাদিন প্রার্থনার পাটিতে তোমার

কল্যাণ ছাড়া কিছুই চান না

এতোদূর নগরের অবাক পাথরে

তার আত্মার আগুন কোনোদিন ধ্বনিত হবে না

তবু সে বিলাপ শুনে কেঁদে ওঠে

ঝাড়বাতি   রেস্তোরা নগরভবন

হয়তো তুমিও কাঁদো তোমার গোপনে

আর তোমার স্বার্থপর বন্ধু আমি

জানি না কি করে ক্ষুদ্র কবিতার হাতে

তুলে দেবো বিশাল জীবন

 

আমাদের গলায় আত্মহত্যার দড়ি

টান টান বাঁধা

মাথার উপর ঘন হচ্ছে আনবিক মেঘ

মৃত্যুর ঢেউ এসে কেড়ে নিচ্ছে গ্রাম

যদি পারো এসে দেখো

এশিয়ার সবকটি ঘরে সন্ত্রাস নিত্যপণ্য

জীবনের এইসব টুকরো টুকরো ছবি

কবিতার কঠিন কোলাজ

ভালোবাসি বলে হৃদয়ের ক্ষতে ছিটাবো না নুনের চিৎকার

তবু সত্যের শাসন অমান্য করতে গিয়ে হাত কাঁপছে -ঠোঁট