প্রদীপ চক্রবর্তী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রদীপ চক্রবর্তী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

আকালের সন্ধানে যে গ্রাম 
( উৎসর্গ :  মৃণাল সেন) 

দৃশ্যদৃশ্যান্তর অন্নদানগর সবরকম জৈবঘটিত ফলাফল এখন বন্ধ|
বিস্তৃত কেউ দাঁড়িয়ে| কয়েকজন অপরিচিত| তবু তো শুরু হবে আলোড়িত জলের আকস্মিক ছায়ায় নিরুদ্দেশ সংবাদ| কয়েকজন 
বললেনও, এখানেই শুরু হয়েছিল মৃণাল সেনের "আকালের সন্ধানে" সিনেমার শুটিং | স্মিতা পাটিলের করতলভরা পলাশ তারই তো দেওয়া| ভিড়ের ভেতর থেকে বলতে বলতে ছেলের পাওয়া সবুজসাথী সাইকেল থেকে নেমে যে এলো তাকে দেখে চমকে গেলাম | এই চারদেয়ালে  বানভাসিদের একজন | প্রাচী কারুশিল্পের কিশোরীলাল | 
চেনামুখ, ছুপারুস্তম! 


মাটির ওপর গুটিকয় রংতুলি |  শূন্য সিঁড়ির জানলা দিয়ে সারিসারি কাঁচে টুকরো  আলো | একটা  অফলন্ত ভাবনার ফোঁটায় চলেছি |  নিশি ফুরনোর আগে কত পাখি ক্লাস পেরোয় আলো কমে কমে | চাঞ্চল্যজনিত নরম নখের গন্ধ, রুমালে সুমুদ্রিত ঘৃণা কার এবং কেন? সেই প্রশ্ন, খুব সামান্য সজল গণছবির ছায়াকলরোলে | কত কিছুরই তো বদল ঘটেছে | বাচাল বাড়ি,  ধানখেত, হুকে - আঁটা  জামার দেহ নেই | বলতে বলতে লোকটার চোখে  পড়ে ঘরময় লোহার জন্তুরা আদুল শ্যাওলাময় | কাঠের ভেতর থমকে আছেন  মৃণাল | ট্রপিক্যাল জল নামছে কাঠের জানলা বেয়ে ۔۔۔۔


সুবর্ণগোলক 

ফুল যেতে পারে স্ফুটিত |  আলোমতো যোগিয়াশুদ্ধ যেতে পারে , হারায়নি বাগিচা কিছুই | তার তাকে কুড়িয়ে বুঝে নেবে কে কার সমূহ 

যে সংকেত বিসর্জিত ,
ঘুণজুড়ে আদলে গড়া আরও লাগে 
বাদলে , অবসৈকতে 
তারপর ঢের থেকে খোলা 
নারকেল পর্যন্ত বাগানে শোঁ শোঁ করছে 
হাওয়া আঁকা চল - সমীর 

কারা যেন রক্ত গড়ালেও প্রশ্ন করে নি ,
দেবতার থানে সন্তর্পনে বেঁধে দিয়ে আসে ঢিল ,   
নিরালা ক্ষীরনহর 
কতকষ্টে কালাচাঁদ বাঁশি ছেড়ে বন্দুক কিনেছে 
টোটা এক ডজন 


সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং

মরীচিকার লয় মেখে তোমাকে আঙুলের নিষিদ্ধ কাঁটাতার , মৃত্যুর কাছাকাছি এসে প্রতিবার রক্তের ফোঁটাফোঁটা শিশির মাখিয়েছে কেবল | অলীক  হিমখাদে সহস্র খন্ডে ছড়িয়ে এই
 প্রতিহাওয়ায় পেঁজা পেঁজা তুলো তুলো মেঘ  ঊষা অরুণার দ্বিগ্বিদিকে ছড়িয়ে  পড়ে | 
তুমি কি বৃষ্টির রংতুলিতে  নৈঃশব্দের  ভেদরেখায় নিজেকে লুকোতে চাও ? অমানুষ উপাখ্যানে ভারী হচ্ছে আরশিনগর ! 

বহু ব্যবহারে ডোমউল্লাস ভাঙছে আগুনের ঘুম | রক্তাক্ত ক্ষুধার্ত প্রহেলিকা আর একটি রাত্রিতরু |
বর্ণমোহরের  আলো নিভিয়ে  শীলাভট্টারিকা বহুকাল যেন বা ঘুমোচ্ছে | হয়তো বিন্দুর মতো কিছুটা নিষ্প্রভ অব্যবহৃত ছায়ার মানুষ | ছায়ার বরতনুখানি শত চিৎকারে  উজার করে দিয়েছে 
অন্ধমানুষের পদঘুঙরু ...


 

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

"ঈষ ও উষ্ণীষে ধ্বনি লেগে থাকে"

এক. 
অরবধ্বনির খন্ডহর 
শূন্যপথের  পড়ন্ত 
পার্বতীপুরের বিকেল 
বৃষ্টির পরে  খালপোল ও টিনের ঘরে 
তার শ্বাসবায়ু হৃতফুলের মুখনিঃসৃত কুড়ানী
ব্যথা, অপ্রকাশিত রিরংসায় 
সেই মতো ব্যবহারিক 
আবক্ষ  মুরতি  নয় সমিধভূষণ 
 পরবাসী কোনও গ্রন্থি নয়, 
নেই  যূথবদ্ধ দারুমা সান 

তবুও হে কৈশোরযথা নৈশবিদ্যা 
বস্তুত বনস্থলী অক্ষরহীন 
ফোটে বন্ধুপত্নী 
এমন অন্তঃস্থ  সায়রা 
গুঁড়ো গুঁড়ো ক্যানভাস 
গুঁড়ো গুঁড়ো শ্বাপদ 
পাশের ফ্ল্যাটে নক্ষত্রলোক থেকে 
 অকূল চন্দ্রমল্লিকা ফুঁপিয়ে কাঁদছে ...
দ্বিবাহুতে জ্বালা 

বৃষ্টির পরে, পার্বতীপুর বিকেল হচ্ছে 


দুই.
হলুদ বাঘের অপেরা 

কণাটুকু  আলোর শব্দ 
আর ঘর 
খুলে যাচ্ছে  ঊর্ণনাভ 

নিরপেক্ষ  ফাঁদ 
পায়ের ধুলোয় তার ভঙ্গিটুকু 
কত বিহঙ্গে লহর 
অস্থির  বিষণ্ণ পাজি ছোকরারা 
ঢিল  ছুঁড়ছে মুলদেশে 
মূল আমূল উর্দ্ধপদে হেঁটমুন্ড 
এবং গার্হস্থ্যবিধি  
বুকের আরশিতে পানপাত্র, উদরের রতি, 
আজ  বড়ো কোমল নৈকষ্য ঢেলে মজিয়েছো লুলু 

পতনবিন্দুতে ঘোড়ার হর্সপাওয়ার 
লিঙ্গমূলে ঘন হয়ে উঠছে কত বুদ্ধিজীবী আলো
বিজনের সবুজ রক্ত খনিজ দুধ 
আমিষের  হৈয়াহো 
তুচ্ছ দলমন্ডল   আলোর সেলাই 
অধুনা কাঁপিতেছে জেলপুলিশসরকার 
এবং সেরিব্রাল,
 বিপুল তরঙ্গ রে 
 ওঠে শারীরিক ছায়ামায়ায় 
বর্ণ বিভাজন আর হিরণ্য উপাদান 
হিরণ্য আঁকা হরিণ 
মাঘের শীতে বাঘের ডাকে নড়ছে না!


তিন.
জতুগৃহ 

বিস্ফোরণে ছিটকে পড়ে হাওয়ার গাঁথুনি 
অথবা বিমূর্ত হাওয়ার স্নায়ুযুদ্ধে অভ্যন্তরীণ 
মানুষটা থামতে চাইছে, আঘাটায়  পড়ে থেকেছে হাওয়ার অষ্টপ্রহর 
 ধূলির আস্তরণ সরিয়ে শাশ্বতিক ছায়ালোকের নিবিড়ে কোথাও জিহাদের তুখোড় স্রোতে  নদী 
হারিয়ে রাগতরঙ্গিনী দম নিতে নিতে ফাঁস খুলতে খুলতে চিৎকার করে মধ্যস্থাপত্যে, ঊনপঞ্চাশমুখী হাওয়ার ভ্রান্তবিভাজনে 

বিবিধ মৃত্যুর মাঝে  বসন বল্কল খুলে সময়ের টুকরো, বৈরাগ্য বর্ষণে বায়ুর দক্ষিণপাড়ে 
 হাঁটছে গুমঘরের মানুষ, কুপি নিভছে নগরীর কদম্ব বনে, স্বয়ং জ্বলে ওঠা বাংলা ময়ূর ও স্বয়ং জ্বলে ওঠা বৃষ্টির ন্যায় অনির্দিষ্ট উপকরণগুলি মোহিতে পুলক  বসালো দূর প্রদেশের খোঁজে 

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

মৃগয়াভূমি 

এক .

বিষ পান করো  মীরা 
পিরিতের রীতি - রঙ্গন 
ধরে রাখি খিলানের নীলচূড়া 
সামলে নেবার কিছু কিছু 
ধরে রাখি মাংসের শরীর, স্বরগ্রামখানি 

ভোরের  সাকিন আমার 
ঝড়ের দোটানায় কেমন ঝিমলাগা 
সুরকি - খসা জানলার গ্রিলে দুলছি 
শব্দ - পলার্ধ মুহূর্তের ধ্বনি মহামাংসে 
 হরিণের বাতিঘর চিনে তুমি ঠিক ফিরে আসবে 
বাতিমায়াবীর চোখমেলিয়ান ছবির বালুকায় 

বিষের গণভারত শিশিরবিনা রক্তে ছিটকে ওঠে,
আকাশে আইকনে মৌন পাখি 
পাতার মধ্যে অলিভ্রম না শৈবালসাঁজোয়া  দিয়ে ঢাকা পিস্তলের মুখে 
 দম ফাটছে আমাদের,
 ছলাৎছল  নীলাঞ্জন ছায়ার হাওয়ায় 
কার  পোড়া গন্ধ? 
কার হিয়ার গল্পে  হাওয়ায় নড়ছে না বুদ্ধক্ষেত?

 

দুই .

সুবর্ণনগরীর দক্ষিণপারে পরপর ময়ূর ফাটছে,
বাহুল্যা  নাচুনী  যে - পাখা ধরেছে ঘোড়াদের দুইপাশে 
তারালীন বলতে বলতেই যামিনী কেমন পাল্টে গিয়েছে দেখো!

 স্তরে স্তরে লোকায়ত, শকটের মোড়ক 
মুখিয়ে উঠছে দিগ্বিদিক ঘোড়াদের সরল  ভাঙনে 
পরস্পরের মধ্যে কথা বলতে বলতে দূর সুদূর মানুষ  থেমে যায় রাত্রিকালীন শিলং রেডিওর কাছে 

কিভাবে ছায়াপথের পাগল হারিয়ে গিয়েছিলো 
শহরতলীর শিউলিছড়ানো উঠোনে


তিন .

নিষাদের বিস্তারিত জেনেছি কাল 
শিকারের ব্যবহারবিধি 
ফুটো হয়ে আবার জুড়ে যাচ্ছে
 সারাংশ ও আকাশ 

ঘন বাদলের সমগ্রতা 
ভিজে যাচ্ছে জন্মমৌন পাখির জলছবি 
শান্ত হাওয়ায় গুঁড়ো হয়ে যাওয়া 
 আকালের আলো 
মুহূর্তের ব্যবধানে  রঙ বদলিয়ে বেরিয়ে আসছে 
চ্যুত সম্পর্কের হৃদশিল্পে 

 রঙদূষণের কিরাতকর্মে বাতাস মদ হয়ে ঝরছে
 
বাতাসের অশীতিপর সাঁকো পেরিয়ে যাচ্ছি বহুদূর,
এই মরণদশা ছেড়ে জন্ম নিচ্ছে ভালোবাসার কাটাকুটি 

 নিহিত ক্রমানুসারে বাতাস বিজড়িত একটি সমীরণ -  অশ্বে গতি লেগে আছে কতখানি ...


চার .
পেছনে তাকাই সন্ধিবাতায়নে 
জলের প্রকৌশল আছে, দেহাংশে নড়াচড়া 
নীলবয়নের  ভাঁজে ভাঁজে এ কার নাকচাবি 
ও টায়রার যন্ত্রণা নিয়ে উঠে আসে অনুচিত 
রিরংসা, 
চৈত্রে  ঝরা মুমূর্ষু ক্ষতমুখে বেঁধানো জন্তুর বিষ,
মাংসের  যন্ত্রণা  শুইয়ে রাখি, প্রান্তরসঙ্গিনী মেঘ 
বা  ভলক মদিরা অবাক করেছে অখণ্ড মৃগয়ায় 
তমসাবাহিত আলোর কথক 

হয়তো বিন্দুর মতো , জলের দাগের মতো ব্যবহৃত ঠোঁট, লাস্যজল, আলোছায়াবাসী, দিগন্তহীন ছাদে দেখবো তোমার কমলিনী
কতটা গভীর ছিল, কতটা শিশির বা প্রমিত বর্ষা জড়ানো হাহাকার তুলে ধরো অসমাপ্ত জৃম্ভনে ...

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

শেষরাতের খাজুরাহো...

এক.

এখানে শূন্যতা নেই বহুকাল,
শুধু  উষাকালে মেঘ ও বাতাস শুকোবার খুঁটিগুলো 

স্বপ্নের ভেতর বসবাসযোগ্য শীৎকার ও রাগিণী 

চিরবসন্তের দেশে শুশ্রুষাটুকু কাম 
অর্ধশ্রুত কলা'র সমব্যথী সৌষ্ঠব 
প্রাকৃত গুলাব গ্যাং কয়েকযোজন সরে গেছে,
মেঘ ও বাতাসের কাছে 

প্রাচীন বনবাংলো রন্ধ্রে রন্ধ্রে মহাস্থবির ...
মাছির চোখের মতো স্বতঃসিদ্ধ দায় এত নিরাকার, 
নির্জন জ্বেলে তাপ নিচ্ছে কামিনী,
কিছু কিছু শরীরী অঘোর গন্ধে পাখিরাও 
দুর্ভেদ্য, হুমড়ি খেয়ে নুয়ে পড়েছে পাথরের পয়োধরে !

আপৎকালীন পাখিরা কিছুক্ষণ দুর্মুখ কিচিরমিচির করে উড়ে যায় 

নানান রঙের স্ফুলিঙ্গ আগুনের অবয়ব নিঃসঙ্গ যোদ্ধার মতো 
এদিকে ওদিকে ঝাঁপ দিয়েই চলেছে 
অস্থিহীন শরীর ভেঙে ভেঙে ...


দুই.

সীমান্তে রক্তাপ্লুত প্রহরী ডাকছে, জাগতে রহ ...

অদৃশ্য ভাঙার পর অঙ্গিরা আঁধারে আঁকিজুকি
পাখিটার ধ্বনিগুণ এতটা বধির হয়ে যাবে?


পাখিদের মধ্যে শেষবেলার শীতের রোদের তাত পালা করে আসছে 

সে আসলে তুমি , তোমার উপেক্ষালগ্নে ওদের জন্ম 
ছায়াপথ নগ্ন নির্জনে হাঁটুমুড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে 
জড়িয়ে ধরে পরস্পর কনককান্তা ও হলাহল 

তাদের খিদে পায় 
অগণিত উপজীব্য বিষয় থেকে তুলে নেয়,
শাক সসেজ সব্জি  সালামি  সস মাখন পাউরুটি 

অপান শক্তিতে জেগে উঠছে তারা,
যূথবদ্ধ অনুপল রঙ বদলানো শরীরগুলোর মধ্যে 
তোমার কুড়ি কুড়ি বছর আগের ফেলে আসা মুখ 
ভেসে উঠলো,
অনড় আলতো পরকীয়ার ন্যায় অপস্রিয়মান  চুলের ধোঁয়ায় 
পুড়ে যাচ্ছে তামাটে মুখোশ,
চামড়া সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে ...

তিন.

সরু রেখা ধরে যেন দু 'জনার মধ্যে পান্থনিবাস তৈরী হচ্ছে 
ফোঁটা ফোঁটা বাতাস আলুনি দেয় 
যত্নে জড়ানো বদ হাওয়া ফিকির খুঁজে মাংসের কাঠামোয় উঁকি দিচ্ছে 

খিদে কি সরীসৃপ? 
এখন ভাঁজ খুলে, লাট হয়ে হায়নার মতো পড়ে আছে সে 
শাশ্বতিক কিশলয় ঘিরে রেখেছে ঘর গেরস্থালি 

ওরা স্বভাবত সরল, তাই বাড়ির নাম রেখেছে : পক্ষীকল্প 

পাখিদের স্রোতের মধ্যেও ছলাকলা মিশে যায় 

হয়তো অনেকদিন পর, বনময় ট্রেন ছুটছে,
সরে সরে যাচ্ছে গাছপালা 

ভুলে যাওয়া সমস্ত সম্পর্কের চোরাস্রোত ভরকেন্দ্রহীন  
নৈমিত্তিক নৌকাডুবি জেনেও এই গ্রীষ্ম বসন্ত 
রুদ্রবরন  বিচিত্র মস্তবা বা রক্তে মূক বধির 
টানাপোড়েনের ডাক মাঝে মাঝে শোনে উন্মাদ পর্যটক, 
হ্রেষা আর আবছায়ায় ...

 

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

আকবরি মোহর

এক.

স্থির তুমি, অবহেলা পাথরের উপমা তুমি 
ওই স্মৃতিহীন অপূর্ব পুষেছ 
শূন্য স্বাদ ফোটা, শ্বাসকষ্ট সেও তো শিকড়ের মতো বিঁধে আছে 
জাদু পানীয়র খোঁজে 
কেউ বলে রক্তমাংসের মহাপুরুষ তুমি! 
অব্যবহৃত বিজন, 
সাদা পাতার মতোই থাকো অসহ অভিঘাতে, 

সংক্রামিত ঐশ্বর্যের ভেতর জোছনায় ভিজে 
উদগ্র ঘোড়াগুলো, ক্রমাগত কুশলী মোচড়ে 
কী ভাবে আলো লেগে চাঁদ হয়ে ওঠে শঙ্খদ্বীপের বণিক, 
শব্দশীল মুহূর্ত, যারা কখনো অপ্রাপ্তিবোধের আলোয় 
জ্বেলেছিল আকাশচুম্বী কঙ্কালের নীচে রঙিন ফানুস 
ধ্বংসের সমবেদনায় উষ্ণ কফির কাপে মৃদু তিলের জন্মদাগ 
নিঃশব্দ শোণিতশ্রেণীর আমিষাশী সারেং,
তাদের ডেকে ডেকে চলে যায়, দূর নাজুক অবরেখায় 

ঈষৎ নুয়ে পড়া মধ্যপ্রাচ্যের ক্রীতদাসীর মাথায় 
কেমন স্বলজ্জ ফুল গুঁজে দিল হিরামন, 
সত্যি মিথ্যের দুরকম হাওয়ায় ওড়ে মায়াঅশ্ব 
একটি  অসংরক্ষিত মৃত্যুর জন্য  
 অলৌকিক মাদল বেজে চলে ...

নিরক্ষর সৎ সখ্যতায় মহুল  পুষ্পক ,আয়ুদীর্ঘ অমোঘের মুখ!


দুই.

জানো না কাজ, বেড়া বাঁধার, 
হৃদি - রত্নাকরের ভ্রুক্ষেপে যাকে খুঁজছো সেই স্বজন সংক্রমিত প্রথম বাল্মীকি 

শহরতলীর অন্ধ বনমালী শরীরের শতছিদ্র ভেঙে অন্তঃপুরে গড়ছে মহুয়া আসব, 
এ নেশা আলোছায়াবাসী, ছত্রাকে লবণে লাভায় খুলিজল বেয়ে প'ড়ে যায়,
স্বাস্থ্যশিকারিরা মাংস ভালোবাসে, ক্বচিৎ মানুষেরও 

আলেয়াবুদ্বুদ চলকে পড়ার রঙে শুকোতে শুকোতে বিজ্ঞাপনে উবে গেলো,
ওই বন্য সরোবর, অলীক জোনাকি কুয়াশায় সেজেছে উৎসবপ্রাঙ্গন, 
বেলা - অবেলার মধ্যবর্তী, কে যে বাড়ি, কে যে গাছ, বায়বীয় খড়ের বালিশে মাথা রেখে
 ঘুমোয়,  বিরহকালীন ছায়া পথের পাগল 
ছুটন্ত ভ্রাম্যের সুসমাচার, প্রভূত পসরা, 
তুমি  আনতমস্তক তীরন্দাজ, আমি খসে পড়া পাখি 

তিন.

১৯ভাদ্র আমার অন্য এক মুখোশের মৃত্যুবার্ষিকী ...
জ্যান্ত জিয়ো জায়মতি চুলের গন্ধে যে হারিয়ে গেছে জুনাগড়ে, তার একবিংশ মৃত্যুবার্ষিকীতে  পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট অনিকেত তামায় নড়ছে বসতবাটি | চিত্রকল্প - সমেত রুক্ষ অলক , স্বয়ং বাকদেবীর| বস্তু ও প্রতিবস্তুতে অদ্ভুত হাসেন তিনি , বরাভয় মুদ্রার আড়ালে দূরের গৃদ্ধকূট পর্বতে ফুঁসে উঠছে নারীবাদিনীরা| তাদের ছিন্ন স্তন মেঘের স্বীকৃতি 

চব্বিশ শেষ তীর্থঙ্কর বর্ধমান মহাবীরের নামে বৃষ্টি আসে| মাথায় বসে ক্ৰৌঞ্চ পক্ষিণী| 

রৌদ্রছায়ায় রাজগৃহের বন আলো - অন্ধকারে ফুটে থাকে| বেশ্যাগমনে পারঙ্গম যে যুবক এসেছে মহারাজ বিম্বিসারের লুকোনো ধনরত্নের সন্ধানে, সেও পাহাড়ে এসে অজানা এক জ্বরে অতলশায়ী বালকত্বে বিষাদিত| কোথায় জীবকের আম্রকুঞ্জ? প্রাকৃতিক এক ব্যথায় বিশাল এক স্বপ্নের মুখে খুলে যায় , লাল পাহাড়ি পথের প্রস্রবণ|
অবিনাশী নীলমন্ডল| সপ্তপর্ণী গুহার গায়ে এ কোন নক্ষত্রময়ের হ্রেষা!

এই পথ লিখনপ্রয়াসী| মহাশূন্যে আকাশ মগ্নপিলসুজ| অরণ্যশিখরে অলিভপাতার 
মেঘে, মিনারের খোপে খোপে ভেসে চলেছেন বর্ষাবাসে তথাগত ...

 

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

নাট্যকারের শেষ সংলাপ 

এক.

একটু আগেই শ্রাবণের ভেতর শুয়ে ছিলেন সুব্রত কুমারী | সেই সে কবে যেন বিলীন বিজনের এখনো মনে আছে বৃষ্টি পড়ছিল তার প্রাচীন রাজগৃহে ,  অশরীরী হাসছে ,  রক্তমাখা গৌরীপট হাতে | অথচ অগতির গতি আমি তো তার রীতিমুগ্ধ জীব ! 

তবু কেন স্বপ্নে পাওয়া মেঘলা আলো আবার নতুন করে নিভে যাচ্ছে , পাঁচ বাই তিন , বকুলবাড়ি রোডে ? বৃষ্টির ভেতর যাকে
 দেখেছি , কত বিস্তার ছিল তার হাতে | বৃষ্টির হালকা পর্দায় রোদের সাতরঙা আঁচড়ের মতো তার ফণায় কস্তুরীর গন্ধ কই ? মধ্যযুগের ডোম্বীর মত সাইকোপ্যাথের বাঁশি পড়ে আছে একপাশে , নৈশদীপগণ কোনওভাবে সে ভাস্কর্য ভেঙে কয়েকজন অন্ধ শিল্পীকে হত্যা করতে
 চায় ,  যারা ভুল করে বাঁশিতে বাজিয়েছে  আজ পুরিয়া ধ্যানেশ্রী 

একটু আগেই উদ্যানবাটিকামধ্যে ম্রিয়মান এই ইহজগতের বাইরে অবিকল্প তরঙ্গসংকুল শ্যাওলা ও মাছেদের জগতে আমাকে নিয়ে যান সুব্রত কুমারী | লাস্টসিনের আগে মিনার্ভা থিয়েটারের প্রম্পটার তখন   লুকোনো সিঁড়ির নীচে ছাই ওড়াচ্ছে গন্ধ ওড়াচ্ছে আমার বিগত দিনের ছায়া থেকে ...

দুই.

দুলছে বিজুর বনে মিশে যাচ্ছে মাখন নট্ট ঐ | অখণ্ড মন্ডলাকারে ঘুরে যাচ্ছে মাখন | দিগ্বিদিক মহুয়ার গন্ধে অফিসের ভাত ফোটে | অবেলার ভাত মাখা হয় | তারা একদিন ১৭ আশ্বিন , ২৮ অগ্রহায়ণ , ৬ পৌষ , ২১ ফাল্গুন অথবা ১১চৈত্রের মধ্যে যেকোনও  একটি দিনে একফালি নদীর আমন্ত্রণে নিয়ে যায় বনমুরগির অবিরাম প্রসব ক্ষমতা 

তাদের সুহাসিনী পমেটম অচেনা রাস্তার গন্ধে কখন যেন দেখতে পায় প্রায়ান্ধকার শীতলতায়  চৌদলে চেপে সুহাসিনী চলেছে স্বর্গে | পৃথিবী নামক যন্ত্রটিতে একাকিত্ব মনখারাপ মরীচিকা অনস্তিত্বের অস্তিত্বে ছ ' টি জলবায়ু হলুদ শস্য ও ঘুমন্ত শিশুদের মাঝে সরু নদী একজন সারাদিন রান্না করেন |  পৃথিবীর শেষ বিকেল কখন যেন সজোরে শ্বাস নিতে নিতে  মানুষ ও  সম্পর্কের ভেতর হারিয়ে যায় দু একটা কাকেদের মতো  ...

 

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

কালোবিড়ালের দস্তানা 

এক .

সরল শরীর জুড়ে হাওয়ার রেখা বুক অবধি ডুবে আছে | ছেলেটির নাম সরল না শিকারি হাওয়ার অপ্রাসঙ্গিক ঢেউয়ে ফুঁসে ওঠা চুলগুলো তার সারল্যে নিবেদিত , বুঝে উঠতে পারছে না সামনে বসে থাকা বেড়ালটি | বেড়ালটি কৌতুকে মাঝে মাঝে তুলে ধরছে মাথা | ছড়িয়ে থাকা বৈঠকি ছায়ার টুকরোগুলো তার খেলার গ্রীবা |
সময় : আগাগোড়া মোড়া সন্তাপে  অবিনত 


এখন প্রশ্ন হলো , সময় কেন  অবিনত ? তুমি কী দ্বিধার ভিজে ভিজে ঠোঁট তুলে ধরেছো নদীর অহৈতুকী আনন্দে ? তুমি কী ইশারাহীন শিকার হবার আগে ছায়ানট মেলে ধরেছো বিভাজিত বেড়ালের দ্বিভগ্ন যামিনীর জন্মমূক  অরবধ্বনির ভেতর ? 

স্বখাত সলিলে বসে পৃথিবী ছলকায় আর পানিপাঁড়ে জলের সঙ্গে আলো মেশানো রঙ ভরে ভোরের 


দুই .

এখন প্রশ্ন হলো , সারল্যের অতিরেক নির্জ্ঞানের অসম  তরঙ্গদৈর্ঘ্যে বিভাজিত বেড়ালটি কী করছে ? তারও আগে নির্মোহ মাংস আর রোগা কান্নার ভেতর ঢুকে পড়া রাতের আলো নিয়ে গ্রীষ্মের অবকাশে শ্মশান পরিক্রমায় গেছে দণ্ডবায়স 

শ্মশানে ফাঁকা দুপুর | সাহসিকাগুলো চলে যায় চুলের অস্ফুটে , দীর্ঘশ্ৰেণী কি নারী সে  জানে
 না |  সে জানে না কবে থেকে পিপীলিকা শ্রেণী তমসামুদ্রা জমিয়ে যাচ্ছে মৃত মানুষের মতো | তাদের ইহকাল আবার শুরু হলো তৃষিত জঠরের টানে 


তিন .

নতুন আরেকটা  সচ্ছল  চোখের  ছলাচ্ছলে নিরক্ষীয় মধ্যযাত্রা ভেঙে  দাঁড়িয়েছো | তাকে আদিম পল্লীতে পাঁচমুড়া পাহাড়ের কোলে বারবার পাল্টাতে হচ্ছিলো 

যেন সে আজ স্বর - উর্দ্ধচারী বেড়ালের যৌনাত্মক ব্যঞ্জনায় বন্ধুত্ব:প্রয়াসী | অদ্ভুত আলোর অলিম্পিকে কোনও পদক নেই | নেই মেঘেদের মেঘদূত ক্বচিৎ নিমগ্ন | নেশাগ্রস্ত অতিশয় তৃণাঙ্কুর বাবু শস্য হয়ে ঘোড়াকে বহন করেছে কৃষিসমাজের কাছে | এই শরণার্থী অন্ধকারে খুঁজি ঋতুভিত্তিক ধীবর জীবন | অজ্ঞাতবাসে হা করে দেখি , পরিপুষ্ট বালিকারা ঘোড়া দেখতে দেখতে গায়ের নশ্বর গন্ধ  স্তনাংশে গোপন করে কীভাবে ! 


অন্তরিক্ষের সঙ্গে আলো , মানুষের সঙ্গে মানুষ , মানুষীর সঙ্গে মানুষী যৌনতার জন্য অনুবাদ করে নি অস্ত্র 

সম্পর্ক আরোগ্যকালীন ভাঙাচোরা চন্দ্রমা,

কে সেই  কাঙাল , সাকীর শীতবোধে  শীৎকার করে ওঠে পান্থশালায়? 

সরলরৈখিক মাছেদের তৃষ্ণার্ত জিভে মানুষেরই রক্ত , ঘাম ! 

বিকশিত নয়ানজুলির স্রোতে মজঝিম মৃদু বাজার | বুক থেকে উড়ে যাচ্ছে , নববিন্দুজল ...


 

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

পৃথিবীর দিকে শ্রী হরিণ 

এক.

 

নির্লিপ্ত আহ্বান প্রকাশ্যে - ছায়ামুখী ওঠানামার ভাষায়,

যতটা পুরোনো সুহানা 

ভগ্ন হাত পা সেই রোদ্দুর সেঁকে সমস্ত দেহে ছড়িয়ে দেয়। 

পাখিদের দু' এক ফোঁটা জল ঝরে পঞ্চমের 

 

সে আমাকে টেনে নিচ্ছে 

অন্ধ তামস ঊর্ণাজলে বেঁচে আছি। 

যাত্রাগানে সখী নৃত্য| অতএব উন্মাদ অভিজ্ঞানসমূহ 

রহস্যগল্পের মেয়ে সঁপে দেয় ধারকের

 মরা লাভায় 

 

ওরা কী টের পেয়েছিলো 

রৌপ্যমুদ্রা হারিয়েছে শতদল প্রতিভা,

পুরোনো আলেয়ার হাসিতে রক্তঘামপুষ্টি 

যেখানে মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছি কিছুক্ষণ ...

বসন্তজড়িত সাঁজোয়াবন্ধনে 

 

কিছুদূরে চৈত্রের গাজনে আমি লেংটিপরা শিব সাজলাম 

নদীরা মুহূর্ত দিল 

নীল নৌকো,

 ফুল শাল্মলী



দুই.

 

নানারঙের কল্পনীয় ধ্বনিঠুঁটো নদীর জলে পা ডুবিয়ে ছড়িয়ে 

পড়ছেসূর্যাস্তের কাছে মৌন প্রতিবাদে কোথায় পালাবো। অবগাহনের 

আদলে গড়া এক মানুষ। বস্তুত ঘুণ লেগে তামাদি সময়ের 

উদীয়মান বহুতল বেয়ে দুটো কাক ঠোকরাচ্ছে নিজেদের মুখের খাবার 

 

সকাল বেলায় কাজে যাচ্ছে বিমূর্ত মানুষের 

ছায়া | কেমন সুন্দর ওই লোকঅপেরায় মাটির 

কমলিকা মাখা মানুষের মুকুট 

 

কী দিয়ে ভোলালে তুমিএকটু ভাঙা পাত্র একটুখানি 

হলুদমাখা খাবার নিয়ে বসতি উঠে আসছে 

হে দীর্ঘ - সুদীর্ঘ ময়ূর 

অধরা মেঘের তুলো উড়ে যাচ্ছে ভাঙার পরেই  



তিন.

 

বুকের কাছে মনোগ্রাম করা পুরোনো বকুল  কিশোরী মনের পটুয়া। 

মিহিন মেপে কথা। রতি বিরতির মাঝে লতা উঠছেলুপ্ত নদী 

চলে গেছে বায়ুর দক্ষিণ পাড়ে। খুব ধীরে মুখর প্রায়,

বাস্তুহারা প্রজাপতি ধরি 

 

ছবিতে  না আটকে তুমি ভেসে যাচ্ছ নীলকুঠি অথবা রিখিয়ায়। 

ঠিক বিশ বছর আগের এক বর্ষাদিনসুর  দেউল। 

সূরা   শবপীরের মাজারএখানে একটা সিঁড়ি ঝুলছে। 

জলে ভেজা চেয়ারএক কুচি মায়ের চিবোনো পানকখন গড়িয়ে

গন্ধ বিকেলযেন শরীর নয়বৃষ্টি পরে আছো। 

সাবলীল বৃষ্টি নিচ্ছ ফুসফুস ছাড়া 


চার.

 

কী ভীষণ গল্পের গরু গাছে ওঠেকী ভীষণ আলতু ফালতু 

কথা মাথায় রেখে ভূতেরা ভাবে, অফিসের লিফ্ট বন্ধ হয়ে গেলে 

দ্রুত সেরে নেওয়া যায় বিশ্বায়ন!

 

ভাবনা আসলে অ্যাসট্রেতে নিভে আসা সিগারের আলো। 

ধোঁয়াহরিণের হিরণ্যটুকু পেতে পেতে কুয়াশা হয়ে যায় 

 

কুয়াশা না কু আশা? দিলচোর গুনগুন গঞ্জ। 

পুরোনো আলোপোশ পুরোনো কানায় মহুলচুড়ির মহিষাদল 

 

বাসনা কাদের বাড়ি? লোহা বাঁধা বিদ্যুৎ

যেখানে পরকীয়া চিড় খাচ্ছে| একটা  অস্পষ্ট 

আলোর বৃত্ত থেকে পাতা ঝরে যাচ্ছে অঝোর। 

পুরোনো গোধূলির কদাচিৎ গন্ধমাখা পাললিক মহিষের মন্থর

বাথান পেরিয়ে ভেসে যায় পর্বতের গায়ে

পর্বত গলে যায় মহিষে আবার...



পাঁচ.

 

মুখ দাও নি, মুখর ধুলোশব্দ 

অনেকদিনের হাওয়া ঘুরে ঘুরে বিষয়ী হলো 

 

ছায়াটুকরো চিরেপাতার ভেতর 

গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মিশে থাকে বেহালা কাঠের এস্রাজ ...

 

কার রক্তে কত দামি লিয়রের কণিকা 

অলিভ ফুলের ঢল 

আমিষের অবসাদে ঝুরো টোল 

ছবিটি মুখস্ত কার

 

সুতোকল হিতার্থে তোমার প্রকল্প কী

 

গোটা দেশের চিৎকারে নিভে যায় ধূপ আর পিতলের প্রদীপ ...

 

পাখির আঠা গড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীর নাভিতে 

বিভিন্ন যুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে কাকপক্ষীর ভিড় 

 

তণুমুখে মেঘের কুকুর ডেকে ওঠে মেঘে 

কত রঙ ভোরে ধোওয়া

তার কাছে পৃথিবী আর কতটুকু গোলক