এক.
এখানে শূন্যতা নেই বহুকাল,
শুধু উষাকালে মেঘ ও বাতাস শুকোবার খুঁটিগুলো
স্বপ্নের ভেতর বসবাসযোগ্য শীৎকার ও রাগিণী
চিরবসন্তের দেশে শুশ্রুষাটুকু কাম
অর্ধশ্রুত কলা'র সমব্যথী সৌষ্ঠব
প্রাকৃত গুলাব গ্যাং কয়েকযোজন সরে গেছে,
মেঘ ও বাতাসের কাছে
প্রাচীন বনবাংলো রন্ধ্রে রন্ধ্রে মহাস্থবির ...
মাছির চোখের মতো স্বতঃসিদ্ধ দায় এত নিরাকার,
নির্জন জ্বেলে তাপ নিচ্ছে কামিনী,
কিছু কিছু শরীরী অঘোর গন্ধে পাখিরাও
দুর্ভেদ্য, হুমড়ি খেয়ে নুয়ে পড়েছে পাথরের পয়োধরে !
আপৎকালীন পাখিরা কিছুক্ষণ দুর্মুখ কিচিরমিচির করে উড়ে যায়
নানান রঙের স্ফুলিঙ্গ আগুনের অবয়ব নিঃসঙ্গ যোদ্ধার মতো
এদিকে ওদিকে ঝাঁপ দিয়েই চলেছে
অস্থিহীন শরীর ভেঙে ভেঙে ...
দুই.
সীমান্তে রক্তাপ্লুত প্রহরী ডাকছে, জাগতে রহ ...
অদৃশ্য ভাঙার পর অঙ্গিরা আঁধারে আঁকিজুকি
পাখিটার ধ্বনিগুণ এতটা বধির হয়ে যাবে?
পাখিদের মধ্যে শেষবেলার শীতের রোদের তাত পালা করে আসছে
সে আসলে তুমি , তোমার উপেক্ষালগ্নে ওদের জন্ম
ছায়াপথ নগ্ন নির্জনে হাঁটুমুড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে
জড়িয়ে ধরে পরস্পর কনককান্তা ও হলাহল
তাদের খিদে পায়
অগণিত উপজীব্য বিষয় থেকে তুলে নেয়,
শাক সসেজ সব্জি সালামি সস মাখন পাউরুটি
অপান শক্তিতে জেগে উঠছে তারা,
যূথবদ্ধ অনুপল রঙ বদলানো শরীরগুলোর মধ্যে
তোমার কুড়ি কুড়ি বছর আগের ফেলে আসা মুখ
ভেসে উঠলো,
অনড় আলতো পরকীয়ার ন্যায় অপস্রিয়মান চুলের ধোঁয়ায়
পুড়ে যাচ্ছে তামাটে মুখোশ,
চামড়া সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে ...
তিন.
সরু রেখা ধরে যেন দু 'জনার মধ্যে পান্থনিবাস তৈরী হচ্ছে
ফোঁটা ফোঁটা বাতাস আলুনি দেয়
যত্নে জড়ানো বদ হাওয়া ফিকির খুঁজে মাংসের কাঠামোয় উঁকি দিচ্ছে
খিদে কি সরীসৃপ?
এখন ভাঁজ খুলে, লাট হয়ে হায়নার মতো পড়ে আছে সে
শাশ্বতিক কিশলয় ঘিরে রেখেছে ঘর গেরস্থালি
ওরা স্বভাবত সরল, তাই বাড়ির নাম রেখেছে : পক্ষীকল্প
পাখিদের স্রোতের মধ্যেও ছলাকলা মিশে যায়
হয়তো অনেকদিন পর, বনময় ট্রেন ছুটছে,
সরে সরে যাচ্ছে গাছপালা
ভুলে যাওয়া সমস্ত সম্পর্কের চোরাস্রোত ভরকেন্দ্রহীন
নৈমিত্তিক নৌকাডুবি জেনেও এই গ্রীষ্ম বসন্ত
রুদ্রবরন বিচিত্র মস্তবা বা রক্তে মূক বধির
টানাপোড়েনের ডাক মাঝে মাঝে শোনে উন্মাদ পর্যটক,
হ্রেষা আর আবছায়ায় ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন