শিবালোক দাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিবালোক দাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শিবালোক দাস-এর কবিতা


মিলিয়ে যায় সমস্ত দৃশ্য

লবণের স্বাদে বুঝি আজ কম পুড়েছে মাটি।
তবুও দুহাতে কেমন মিলিয়ে যায় সমস্ত দৃশ্য।

ও ভূমধ্যসাগর! তোমার দানে বিরত থাকতে
চায় না কুষ্ঠ, তাই তাকে আমি চুম্বন করি।
শান্ত সমীকরণে অঙ্ক কষলে সে দাগে কোনোদিন
কেউ হেঁটে যায় না, তাই ভুল হয়, আর‌ প্রতিদিন
আধখোলা চোখে কি সুন্দর স্পষ্ট হয়ে ওঠে
প্রতিটি পলক। আঃ তরঙ্গ দুলে দুলে ওঠে।

আমি তো নিজেই কোনো বীজ ফাটাইনি বুকে,
তাই রক্ত ঝরে পড়ে কম, তবু কেন চেপে ধরে
প্রতিটি শূন্যে ? কেন তোমার চোখের সামনে
ভেসে ওঠে একটি দেহ, যার প্রতিটি শ্বাসে
জমে উঠছে বালির পথ? বলো?

প্রতিটি দৃশ্যের জন্য দুটি রেখা আজ‌ মুছে
দেয় আড়ালে থাকা পিঁপড়ের বিষ।

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

শিবালোক দাস-এর কবিতা

মুর্শিদ 

ঘুম চেয়ে আজকাল বড় ধীর লাগে আমার। 
স্তব্ধতার উপর পা রাখি।
ভাসমান পদ্মমূলে পোড়াই অক্ষরজ্ঞান, ঋণ। 

মুর্শিদ মুর্ছিত হন না। 
নিঃশেষের সত্যিকারের কোনো পরিচয় আছে?

যে ছাই গায়ে মেখেছি,
সে ছাই উড়িয়ে আমি সূর্য দেখি রোজ। 
যে মন্ত্রে আগুন জ্বেলেছি, 
সে মন্ত্রে আমি নিজেকে ভেঙে নিই রোজ। 

জল, তুমি শান্ত হও। তোমার সিঞ্চনে চোখ ধুই।

মুর্শিদ মুর্ছিত হন না, বরং তার পায়ে হাত রাখি,
বুঝি তরঙ্গ নামছে, আর আমরা মানুষ হচ্ছি।

 

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

শিবালোক দাস-এর কবিতা

চক্র ঘোরে

চক্র ঘোরে সমগ্র রাত্রিতে,
যখন জলকে থামাতে গিয়ে
তুমি দেখো তোমার হাত বরফ,
অথচ কিছুক্ষণ আগেই তাপমাত্রা
স্বাভাবিক ছিল, কোনো কম্পন ছিল না।
চাদরে ঢাকা এক নিমিত্ত, কিন্তু পাঁজরে 
ভেঙে গেল তাসের ঘর, কাকে দায়ী করবে?
পায়ের তলায় তখনও ফুটে আছে নক্ষত্র, 
যারা তোমাকে সতর্কবাণী দিতে আসার 
আগেই মরে গেছে তিলে তিলে।