শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২
ধীমান চক্রবর্তী-র কবিতা
সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২
ধীমান চক্রবর্তী-র কবিতা
ছায়া
এক চুমুক দু' চুমুক দরজা খুললে।
দশটি নখ এবং ঠোঁট। --
পরিবার নিয়ে বনভোজনে যায়।
লাস্যময়ী নাগরদোলার কাছেও।
এলার্ম কিংবা পাখিরূপ বাজলে।
সমস্ত জিভ থেমে যায়। এই শহরে
গাছেরা কথা বলে। মৃত মানুষের সাথে।
টুথপেষ্ট ভালোবেসে দাঁত মাজিয়ে দেয়
রবীন্দ্রসংগীতের। গানের তালে তালে।
উড়ছে অনেকের বেগমবাহার রাত্রিবাস।
পাখিসকাল জীবনের সঙ্গে সই পাতায়।
চেষ্টা করি প্রতিদিন। --
এলোচুল, ধূসর সিলিং অথবা
কারোর ভুল বা ঠিক হয়ে বেঁচে থাকার।
শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
ধীমান চক্রবর্তী-র কবিতা
একফোঁটা জল। সবে আনত- জানলায়।
অল্প লালনেও। আমাকে বিবাহ করলে
কলকাতা পর্যন্ত। নেই এবং আছির মধ্যে --
ভাসিয়ে দিলাম চোখ। একজন হ্যারিকেন।
লুকিং গ্লাসে নামা বৃষ্টি। দূরত্ব --
বাড়লেই অন্ধকার ধারণা।
আলোর ললিত লাবণ্য। শীত শীত
ক্যাশমিলন রাস্তা। রাসলীলা নামার শব্দে।
সন্ধেবেলা বাঁশিওয়ালা এবং যমজ পাখি।--
পাঁচলাইনের কাঞ্জিভরম হলো।
অন্যমনস্ক মুর্শেদের বেকারার দিল।
শূন্য আঁকা বালিকা আরশিতে।--
একজন গীতগোবিন্দ হলো।
শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
ধীমান চক্রবর্তী-র কবিতা
ব্যক্তিগত ১৯১
কুমারসম্ভব নিয়ে বউ কথা কও বিকেল।
হাসলো কয়েক টুকরো। মা' ভেঙে যায় স্তব্ধতায়।
হেমসলাই সারা জীবনের ঘুম। কখনো আলপনা।
আটপৌরে সোনাচড়াইয়ে লিপিময় আশ্বিন।
পাখির বুকপকেটে বোধহয় কোনও সাদাকালো
মুখোশ থাকে না।
দুর্গেশনন্দিনীও থাকে না। কারো কারো
ইসকুলের বন্ধু ছিল পয়েন্ট অব নো রিটার্ন।
শুভরাত্রিকে চুমু খায় অনুপস্থিত জীবন।
কারো কারো ইসকুলের বন্ধু ছিল , ফিরে
না আসা চাকা।
পদ্মাবতীর দু' একজন রঙিন বোতাম।
শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১
ধীমান চক্রবর্তী-র কবিতা
উড়তে উড়তে ভালোবাসা। দুঃখী
ডাকবাক্সকে তার গল্প শোনায়।
কিছুটা শোনায় শূলপাণি-কে। সাপেরাও
কোনো কোনও দিন।-- নিমন্ত্রণ রাখতে
ঢুকে পড়ে সোনালি নার্সের খোপায়।
আমার জ্বর। অল্প বৃষ্টি ভিজে নেয় সন্ধেবেলা।
ভিজে নেয় একটু গিরিশ ঘোষ।
সূর্যমুখীর সামনে হাঁটু মুড়ে একটি ড্রোন।
সমান্তরাল বর্ষাতির আলো খায়।
অচেনা পালকির তবে মাঘ মাস এলো।--
লজঝরে চাঁদ আর স্বপ্ন সেসময় একজন
দিওয়ানা হয়।
হয় পৌষসংক্রান্তি। ফর্সা নাভিতে আলতা
পরা হ্যারিকেন। অনেকটা কৃষ্ণকুমারী।
স্বপ্ন আর আগুনের আজ তবে বিবাহ।