মাসুদ পথিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মাসুদ পথিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

মাসুদ পথিক-এর কবিতা

তিন বউ 


বউআপাতত আমার তিনটিই।

নৈঃশব্দ্য খাতুন  নৈরাজ্য বেগম;
ভোর হতে না-হতেই শুরু হয় তাদের চুলোচুলিবিবাদ।

ফলে আমি তৃতীয় বউ বিষন্ন দেবী' ঘরে
চুপিচুপি ঢুকে খিল এঁটে দিই।

তোএখন
আমার কান্না পড়শি'রা কেউ শুনতে পায় না।

সংসারের চারদিকে ঘুরছে কেবল পরশ্রীকতর হাওয়া  স্বজন

 

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

মাসুদ পথিক-এর কবিতা

চাষা হতে চাই

জেনেছি লাঙল থেকে শীষ চুরি করেছিলে
রাত থেকে মধ্যরাতটুকু
তুমি বাণিজ্য সচেতন কোনো প্রেয়সী

আঁচড়া নিড়ানি কাঁধে বয়ে নিয়ে এসে মাঠে শুনেছি কাদার কলরব
শিশিরের মিছিল থেকে ওঠে আসা রোদের ভেজা দেহ

সেইকবে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে তোমার দেহ
তোমার পলি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে মার্কেট ইকোনমি
প্রেম ও সহবাসের অনুভূতি পণ্য হয়ে উঠছে দূর নক্ষত্র বাজারে

তবু, ভেবেছো তুমি সর্বত্র জয়ী, সর্বত্র পল্লবিত
নেইলপালিশে এঁকেছো সর্ষে ক্ষেত
ব্রা'য়ে চে গোয়েভারা' দীর্ঘশ্বাস তার ঘামের থেকেও তুমি বড় বিপ্লবী 
স্বমৈথুন চাষের ভেতর ডুবে যাওয়া সৌকর্যের মেটাফিজিক্স
বিক্রি হতে হতে হতে বিক্রি হয়ে যায় ক্রেতার সব নীরবতা 
তো,
স্বমৈথুনে ক্লান্ত তোমার অঙ্গ প্রকৃত সঙ্গমে অনিচ্ছুক
অর্গানিকের নামে শিশু সন্তান চুষে খায় মিডিয়ার বালখিল্য 
বেডরুমের চারদেয়ালে হাইব্রিড অরণ্য 
নির্জনতার চাষ

মস্ত কোনো আয়না, সে হরণ করে নির্জনতার শস্য 
তবুও তুমি, নিজের কাছে প্রতিরাতে হও পরাজিত 
নতজানু দেহের ভারে
সভ্যতা পুড়ে যায়, জেগে ওঠে ইঁদুরের সিভিলাইজেশ্যন 

পিথাগোরাসের মারপ্যাঁচ বোঝ; কেমিস্ট্রি মোটেও বোঝ না 
সুতরাং কী  পিওর ব্যাচেলর বোধ!
আর বিজনেস সেন্স, আহা!

সেন্সবিহীন মাঠে ফ্রি ইকোনমির সেক্সি নায়িকা 
দোল খায় পশ্চিমা হওয়ায়, হাওয়ায়

যদিও গোলায় ইঁদুরের সাম্রাজ্য, মনে ধরেছে জং
পৃথিবীর ঠোঁটে ছাপ পড়েছে আগুনের
হৃদয়ে ঝরছে জল হাইব্রিড ঢোল কলমীর

প্লিজ একটা সুযোগ দিন সাঁতরে পেরোবার
এই খাল বিল নদী আর সমুদ্র বাজার
চুমুর ছাপ ফেলে দিযে যাই ––– বুনে দিয়ে যাই গর্ভে লাতা বোরোর ভ্রূণ

শোনো বিছানায় থরথর বীজ,ধানের কলরব
বোবা রাতের কনিষ্ঠ সন্তানের নাম শীৎকার! 

 

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

মাসুদ পথিক-এর কবিতা

প্রেমের কবিতা যখন হাইব্রিড 



আমি আমার কান্না তোমার বাড়ির পেছনে বসে থাকি

তুমি অবশেষে! ছাই ফেলতে এসে অবহেলাকে ফেলে যাও

আমি চোখভরা ছাই নিয়ে দশ জন্ম বসে থাকি



রাত্রি নেমে যায় রাত্রি ঘেমে যায়

আমরা বসে থাকি, জঙ্গলের জিভ জবজবে হেঁটে আসে তোমার প্রিয় নদী

বুনো খরগোশের লোমকূপ থেকে লাফিয়ে পড়ে সূর্য

তোমার প্রতীক্ষায় আমি আমার কান্না খুব পুড়ি



দিন ফিরে যায় দিন নীড়ে যায়

চাষিরা জমিনে বুনেছে যে বীজ তা এখন সুবর্ণ ধান

আকাশে ছিটানো মৌল তারকা, আলো ঝিলিমিলি



আমি আমার কান্না তোমার বাড়ির পেছন বসেই হই বুড়ো

দেখো অবহেলার চূড়া কেঁপে কেঁপে উঠছে

যতো প্রেম হচ্ছে বুড়ো, এমন গ্লাণি মাখা পাতা ভরা

ত্রিকালদর্শী বটবৃক্ষ যাচ্ছে হেঁটে আমাদের ইতিহাস কাঁধে



আমি আমার কান্না বসে আছি, আপেক্ষার নদীতে

বয়ে যাচ্ছে আজ ভীষণ বাণিজ্য তরী

আর করপোরেট মুদি



অবহেলারও আছে বাজার মূল্য জানে না কেবল আমার সন্তান সদ্যপ্রয়াত কান্না

আর তার নতুন ধান অনুভূতি, রবিশস্যগুলি



আমি আমার আগুন বসে থাকি কান্নাকে দেখবো বলে

তোমার জৈবঘর কেঁপে কেঁপে উঠে, শীৎকারে কেবলি

সঙ্গমের বর্ণিল ফোনেটিকস্, আহা উফ্



অতএব বিজ্ঞাপনপর্বে প্রশ্ন বুনি, 'হাইব্রিড নয়-কী!

আমি আমার কান্না এবং তোমার অবহেলা?'



যদিও, জঙ্গলের ভেতর অনন্ত সংসার গড়েছি...আর প্রিয়তম প্রিজম!



০২

সব বেদনা একই কোম্পানির তৈরি হলেও কালার ডিজাইন কিন্তু আলাদা

আমার কেবল কাঁদা কাদা!

 

বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১

মাসুদ পথিক-এর কবিতা


প্রেম, পিঞ্জিরা, ইনফিনিটি 

তথাপি দড়ি এসে বসে থাকে দরজায়

নদী এসে ঘুরে যায় শোবার ঘরে

ছেলেটি জীবন নিয়ে হতাশ 


আর বেঁচে থাকতে চায় না দিয়েছে ঘোষণা 


গলায় দড়ি দিবে নাকি নদীতে ডুবে মরবে

আছে সিদ্ধান্তহীনতায়

মা মারা গেয়েছিলো ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে

বাবা তীর্থের দিকে গিয়ে আর ফেরেনি


দিদি ডিভোর্সি, বিষন্নতার সঙ্গে ঘরকন্না 

থাকার মতো আর কেউ নেই যে থাকবে পিছুটান


ছেলেটি প্রায় সন্ধ্যাবেলা- 

নদীর তীরের গাবগাছে দড়ি ঝুলিয়ে বসে থাকে

জলে পা বিছিয়ে তীরে বসে 

অপেক্ষা করে অদৃশ্য কারো...


জলের ঢেউ এসে পা ভিজিয়ে যায় প্রতিবার


জল নিতে এসে নদীতীরে

ধোপার মেয়েটি লক্ষ্য করে তার কিছু, কখনো কখনো;


ঘর-ফেরত উড়ন্ত পরিযায়িটির ডানা থেকে 

ফেলে যায় পালক

কিছু-তো পালক ভেসে ভেসে যায়, দূর ইনফিনিটি 

আর 


দড়ি নদীর কোল ঘেঁষে ভেসে যেতে যেতে 

বেঁচে যায় অনেক জীবন, অনেক 


কেবল, মেয়েটি কেবল দেখেছিলো 

ছেলেটি কীরূপে হয়েছিলো নিঃসঙ্গ পাখি 

কূলচ্যূত মেয়েটির নামও ময়না, পাখি ----- গৃহ পিঞ্জিরায়।