কোলাহলে ডুবে যাই
আজ আমাদের মধ্যে
উপস্থিত হয়েছেন পর্জন্য রায়
যিনি কত যত্নে কত দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলেন
এবার সামান্য সময় পেয়েছেন তাই তিনি এখন
তাঁর অনুভূতির স্তরের কিছু কথা
নিবেদন করবেন:
অন্যদিকে, আমরা বেশির ভাগ সময়েই
অন্যের কথা শুনিনা, শুধু
কোলাহলে ডুবে যাই
ভান করি ––– যেন আরো
গুরুত্বপূর্ণ কর্মে জমে আছি।
বোঁটা থেকে খসে পড়া ফুলের মত
নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখি
অথচ দেখাই মর্মলোকের স্পর্শের মত নিবিড়তা।
হাঁটা
সূর্যমন তোমায় এখন কোথায় খুঁজে পাবো
অপমানের হাওয়া লাগে গায়
ওই যে বিমল ছেলেটি হেঁটে যায়
ওর কি কোন উদ্দেশ্য আছে?
না শুধু হাঁটা আর হাঁটা ------
আমরাও তো মনে হয় প্রতি মুহূর্তে
হেঁটে বেড়াই
জীবন ভোর হেঁটে চলি----
কখনো প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য
কখনো আমার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বুঝবার জন্য
বীজ বোনার জন্য, ফসল তুলে আনার জন্য।
দিন রাতে শুধুমাত্র যেন এই চেষ্টা
একটা ছোটোখাটো হাঁটা আরো
কিংবা কোনো বৃহত্তর হেঁটে চলার দিকে
আমাদের চোখ ফেরাই।
যাত্রা
চৌচির, তুমি হাঁটু গেড়ে বসে থাকো
নীল আকাশের বুকে সংঘর্ষ দোপাটি ফুলের
কুঁড়ি দেখা যায়
ছড়ানো কালো মেঘের ব্যাপ্তি
ফ্যাকাশে চাঁদের আলোর ঢেউয়ে
পৃথিবী ভাসে
পোড়া গাছে ঝোলে সুন্দর পাথর ফল।
--- এই গরিমা বুকে, পিঠে, মাথায় নিয়ে হাঁটে
সময়ের পর ধরে
এগিয়ে যায় নিস্তরঙ্গ মানুষেরা
ছদ্মবেশে পেরিয়ে যায় অনন্ত জলাভূমির দিকে--
