মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়-এর কবিতা

গুরুত্ব

অন্ধকারের গা বেয়ে নেমে আসে কঠিন সময়।
সেকারণে সেই কঠিন সময়ে গুরুত্ব হারিয়ে গেলে আলোয় খুঁজে নিতে হয় গুরুত্ব।
গুরুত্ব না দিলে গুরুত্ব পাওয়া যায় না
বলেছিলেন মাস্টারমশাই।
যোগ্যতার মাপকাঠিতে কোনো সানাইয়ের সুর বাজে না।
ভুল শুধরে এক ধাপ এগিয়ে গেলে যখন বেজে ওঠে 
ভীমপলশ্রী,
 তখন পিছনে পরে থাকে আর এক ধাপ।
আর সেই এক ধাপ যোগ হলেও পিছনের ধাপ বিয়োগ হয় না।
অথচ বর্ষার আকাশেও মাঝেমাঝে ঝকঝকে রোদে
সবটাই যোগ হয় গুরুত্ব পেতে গুরুত্ব দিতে।

 

বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১

মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়-এর কবিতা


 দুখানি  পা

দুখানি পা মাটির দিকেই তাকিয়ে থাকে
যে মাটি কত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য  মজবুত  আশ্রয় 
জন্মগত শক্ত সাম্রাজ্য
ওই দুখানি পা গড়ে তুলছে স্বপ্নের ইমারত।

পা দুটো সেজে উঠলে মায়ের কথা মনে পড়ে
দেখতে দেখতে কেমন অভ্যেস হয়ে গেছিল ওই সুন্দর আলতা পড়া দুটো পা 
অথচ  পেডিকিওর  করা হাই হিলে তুলে রাখা আমার পা দুটো হেরে গেছে। 

গ্রামের মেঠো পথ পেরিয়ে কাঁখে একটা জল ভর্তি কলসি
আটপৌরে শাড়ি , পিঠে ঝোলানো একটা বেণী হয়তো বা হাত খোঁপা বৃষ্টির জমা জলে ছলাৎ ছলাৎ  পায়ে হেঁটে যাওয়া   দেয়ালে  টাঙানো ছবিটা একখন্ড  তৃপ্তির ছবি এঁকে দেয়।  

আজও গুরুজনের  দুটো পায়ের ধুলো  আমাদের কাছে জীবনবিমা।
কেউ না মানলে ক্ষতি নেই।
সেকারণে  ওই দুটো পা শুভকাজে সফলতার পদক্ষেপ।

অথচ ছোট্ট দুখানি নুপুর পায়ে আলুথালু চলা পা সারা ঘরময় জীবনীশক্তি  বাজিয়ে চলে।
সেই জীবনীশক্তি থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর  ফসল  জীবনের সারস্বত সাধনা।

আর সেই সাধনায় শ্রীমায়ের পায়ের  ধুলো মাথায় করে  এই ধুলোময় জীবনের  বৈতরণী পার অনন্ত  অনায়াস সাধ্য।