দুখানি পা
দুখানি পা মাটির দিকেই তাকিয়ে থাকে
যে মাটি কত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মজবুত আশ্রয় ।
জন্মগত শক্ত সাম্রাজ্য
ওই দুখানি পা গড়ে তুলছে স্বপ্নের ইমারত।
পা দুটো সেজে উঠলে মায়ের কথা মনে পড়ে
দেখতে দেখতে কেমন অভ্যেস হয়ে গেছিল ওই সুন্দর আলতা পড়া দুটো পা ।
অথচ পেডিকিওর করা হাই হিলে তুলে রাখা আমার পা দুটো হেরে গেছে।
গ্রামের মেঠো পথ পেরিয়ে কাঁখে একটা জল ভর্তি কলসি
আটপৌরে শাড়ি , পিঠে ঝোলানো একটা বেণী হয়তো বা হাত খোঁপা বৃষ্টির জমা জলে ছলাৎ ছলাৎ পায়ে হেঁটে যাওয়া দেয়ালে টাঙানো ছবিটা একখন্ড তৃপ্তির ছবি এঁকে দেয়।
আজও গুরুজনের দুটো পায়ের ধুলো আমাদের কাছে জীবনবিমা।
কেউ না মানলে ক্ষতি নেই।
সেকারণে ওই দুটো পা শুভকাজে সফলতার পদক্ষেপ।
অথচ ছোট্ট দুখানি নুপুর পায়ে আলুথালু চলা পা সারা ঘরময় জীবনীশক্তি বাজিয়ে চলে।
সেই জীবনীশক্তি থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ফসল জীবনের সারস্বত সাধনা।
আর সেই সাধনায় শ্রীমায়ের পায়ের ধুলো মাথায় করে এই ধুলোময় জীবনের বৈতরণী পার অনন্ত অনায়াস সাধ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন