সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
গোবিন্দ ধর-এর কবিতা
জানি তো আরোগ্যালয়ের ছুটি নেই।
যেমনটি ডাকঘরের নেই সেকেন্ড সেটারডে।
সকল হাসপাতালেই নিরাময় হয়
অকাল অসুখ।
আমার অসুখের তীব্রতা এতোই গভীরে
শিকড় ছড়িয়েছে চারদিকে।
হুটহাট উন্মাদনায় লোকজন মরে গেলে
আমার মনের অসুখ বাড়ে-নিদ্রাহীন প্রহরগুলো
মনে হয় কৃষ্ণগহ্বর থেকে কেউ এসে
গিলে নেবে আমার আমিকে।
ঠিক সেই মূহুর্তে আতংকিত আমার পাশে
একজন মানুষ চাই-কিন্তু বিশ্বাস করুন
সকল সেবিকারা তখন নিদ্রিত দেবী
তাদের জাগিয়ে দিলে পরদিন হাসপাতাল অচল হয়ে যাবে।
আমি আমার বুকের ভেতর অন্ধকার অসুখ চেপে
নিরাময় চাই নিরাময় চাই আকুতিভরা নিঃশব্দে
বিছানায় একবার এদিক তো আবার ওদিক
কেবল পাশ ফিরি।অসুখ এতোই গভীরে লুকানো
কাউকে বলি না-পরদিন ঠিকঠাক বৃহত্তর
মানুষের নিরাময় কামনা করতে করতে
সান্ত্বনা দিই-নিজের মাথায় নিজেই বিলি কাটি।
আমার অসুখ আরো তীব্র হতে হতে মরে গেলেও
ভালো থেকো প্রিয়জন এই মুদ্রায় হাত থাকবে চিরকাল।
২৯:০৬:২০২৩
সকাল:১০টা৫০মি
কুমারঘাট
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
গোবিন্দ ধর-এর কবিতা
শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২
গোবিন্দ ধর-এর কবিতা
সুতো ছাড়লাম উড়ো
শত্রুকে উড়ার স্বাধীনতা দিলাম, উড়ো।ভূকাট্টা হলে দায়িত্ব তোর
আকাশ ছুঁলেও আনন্দ তোর
ভাগ চাইনে, শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই
লাগাম হাতে আছে বেশি উড়োনা
কোথায় নামবে বিমান পাইলট জানে।
সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২
গোবিন্দ ধর-এর কবিতা
জলজীবন
জলে জলে গুলে গেলো গোটা এক জীবন।
স্মৃতি মুছে ফেলতে জলের কোন ভূমিকা নাই।
জলের কাজ নিচের দিকে গড়িয়ে যাওয়া
আর তৃষ্ণা বালকের ক্লান্তিতে আরাম দেওয়া।
তবুও মন ভালো নেই হলে আমাদের একমাত্র
গন্তব্য বলতে জল-ই শেষ আশ্রয়।
জলের নিকট যাই জলখেলি।
জল ডুব ডুব নিজের সাথে একটু চলি।
সাগর আমাদের মনের গভীর থেকে ক্লান্তি শুষে নেয়।
নদী শেখায় ভালোবাসা আর পাড় ভাঙার গাঙগাথা।
পুকুর সাঁতার শেখার যৌথ খুনসুটি শেখায়।
ধীরে ধীরে জমতে থাকা নানান রকম
পলি কেটে কেটে সামনে ভোরের স্বপ্ন দেখা যাপন
আর অসংখ্য দেওয়াল, পা পিছলে গেলে
খাবি খেতে খেতে পরিখায়ও ডুবে যায় স্বপ্নবিলাস।
অতিবৃষ্টি বন্যা ঝড় লকলকে জিভ ছুঁয়ে দিলে
গোটা জীবন থেকেই কেড়ে নিতে পারে : সুখপাখি।
বুধবার, ১ জুন, ২০২২
গোবিন্দ ধর-এর কবিতা
মা
ক-তে কাঁটাতার
আটকে আছে
এপার ওপার
দুপারে দুই-মা।
বাংলাভাষা মা
বর্নমালা মা
মাতৃভাষা মা
সব ক'টা তার উগলে চলো
বাংলায় ডাকি -মা।
২১:০২:১৭
বেলা:১১:২২টা
আগরতলা
শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১
গোবিন্দ ধর-এর কবিতা
তৃতীয় শ্রেণির আগে জ্যামিতিবাক্স দেখিনি।
বাক্স খুলে তাতে কাঁটা কম্পাস
চাঁদা স্কেল ত্রিভুজ তখনো নাম জানা নেই।
অবিরত নাড়াছাড়া নাড়াঘাঁটা করতেই থাকি।
অবশেষে খেলনা হয় গণিতের জ্যামিতি।
কাঠপেন্সিলে আঁকা শূন্য মুছতে মুছতে
এখন পুরোপুরি মনে হয় শূন্যজীবন।
জ্যামিতিবাক্সের রাবার মুছতে পারে না জীবনের শূন্য।
২০:০৬:২০২০
রাত:০৯টা০৭মি
কুমারঘাট
রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১
গোবিন্দ ধর-এর কবিতা
আমি আর কোত্থাও যাবো না
যে যায় তাকে যেতে দাও।
আমি আর কোত্থাও যাবো না।
চাতলার বর্ডার যখন ক্রস করে
ছেঁড়া মানচিত্র বগলে নিয়ে
ঠাকুরদা এই কাঁঠালত্রিপুরায় এলেন
আমি আর কোত্থাও যাবো না।
এই আমি ভূমিকায় অবতীর্ণ
ত্রিপুরা আমার মা
ত্রিপুরা আমার বাবা
ত্রিপুরা আমার দেওমনুশঙ্খশহর।
১৪:০৬:২০২০
রাত:০৯:১৭মি
কুমারঘাট