বন্যা ব্যানার্জী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বন্যা ব্যানার্জী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

বন্যা ব্যানার্জী-র কবিতা

আত্মরঞ্জন 

ভালো আছো তুমি! হ্যাঁ তুমি তোমাকেই বলছি। 
বড় ভয় তোমার সব কিছুতেই।দরজায় টোকা পড়লেই তোমার ভয় হয়। এই বুঝি চুরি হয়ে গেলে! 
চুরি হয়ে গেল সব মায়া। ওই ট্রাঙ্কে রাখা মায়ের বোনা সোয়েটার।
চুরি হয়ে গেলে তুমি! তোমার সব আলো।
একবার আঁধার থেকে বেরোও।
একবার খুলে দাও দরজা।দেখো কোথাও কোনো বিশ্বাসের আঘাত নেই। ভয়ের দেউড়ি পেরিয়ে তুমি আত্মরঞ্জনে এগিয়ে চলেছ ওই জ্বলন্ত রাস্তায়। ঘুরে দাঁড়িয়েছ সমস্ত অরাজকতা ভেঙে।অরাজনৈতিক এক প্রতিবাদে।

 

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বন্যা ব্যানার্জী-র কবিতা

নির্বাণ

সেই কবে যেন জন্মদিন এসেছিল
তুমি এতটা পথ!  মায়াকানন হাতে।
আমার দরজায় আল্পনা
দখিনের বাতাস ধুয়ে ছিল সব দাগ।
পুরনো আলসে! অশথের ঝুরি ধাপে ধাপে, পায়ে পায়ে।আর
আমার স্বপ্নে আজও বাটি ভরা পায়েস।
ঘুম ভাঙার নাম সকাল নাও হতে পারে।
তার‌ও নাম সুজাতা রাখেনি কেউ।

 

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

বন্যা ব্যানার্জী-র কবিতা

ক্যাপশন

খুঁজে চলেছি।একটা ভালো কবিতার জন্য। 
একটা ভালো কবিতা অনেকদিন পড়া হয়নি। কত কবি চলে গেলেন,
হারিয়ে গেলেন ও অজস্র কবি।তাদের নিয়ে কিছু লেখা হচ্ছেনা।
ক্যাপশন পাচ্ছিনা।
রোজ সকালে যে বৈষ্ণবী গান শুনিয়ে যেত বাপের বাড়ির উঠোন ঘেঁসে 
তার কথা মনে পড়ে।তেমন গান আর শুনিনা কখনো।
তাকে নিয়ে কিছু লিখতে চাই।ক্যাপশন খুঁজি।
বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ভালো লেখা মাথা নত করে হাতজোড় করে নুইয়ে পড়ছে 
তার সমস্ত অনুভব। ভাইবোনে কথা বন্ধ অনেকদিন। 
ধান খেত পেরিয়ে রেলের রাস্তা দেখার কথা মনে নেই কারো! 
হাঁড়িতে করে দই ফিরি করেনা কেউ, মালিনীর মেয়ে শহরে ফুলের দোকান দিয়েছে।
পসরা সাজিয়ে বসেছে তার যৌবন।
অমলকান্তি কবিতা হয়ে  সেই কবে ছাপার অক্ষরে বন্দী হয়ে আছে। 
তার গায়ে উজ্জ্বল রোদ্দুর।
এদের সবার জন্য একটি ভালো কবিতা লিখতে আমি হন্যে হয়ে 
খুঁজে চলেছি একটা ক্যাপশন।গোলাম হয়ে অপেক্ষায় রয়েছি

 

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

বন্যা ব্যানার্জী-র কবিতা

যন্ত্র

ছাদে এখনো টিনের আস্তরণ
তার নিচে অবিরাম ঘরোর ঘর, ঘরোর ঘর।
পুরনো মেশিন! আরো পুরনো সেলাই দিদিমুনি।
আধুনিক ডিজাইন আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে যতোনা সুতো ততো শব্দের মিছিল।
এই তার প্রতিবাদ,এই তার নিঃস্ব জ্বলে ওঠা।

 

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বন্যা ব্যানার্জী-র কবিতা

সংকেত

যে লেখাটি পাঠিয়েছিলাম

ডিলিট করেছি।

যদি আবারও পড়েন, তারপর আবারও!

যদি বারবার হাসেন

কতবার লজ্জা ঢাকা যায় বলুন!

কিম্বা 

যদি মিলে যায় অনেককিছুই

হতেই তো পারে। যদি সত্যিই কথা বলা বারণ হয়ে যায়!

ডিলিট অপশন না থাকে

তার চেয়ে এই ভালো।

নিয়মমাফিক সবুজ থাকুন।

যেন কোথাও কোন কবিতা পাঠানোর কথা বলা হয়ে ওঠেনি কারো।

অথচ বলতে চেয়েছিলাম। 

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

বন্যা ব্যানার্জী-র কবিতা

নিরুপায়

এই সমস্ত আলো আঁধারির রূপকথা,অভিনব মঞ্চ, কবিতা পাঠ, লাইক কম্যান্টসের আত্মভিলাষ ছেড়ে বেরিয়ে পড়বো নিরুদ্দেশে।
ক্ষমতার দম্ভ ভেঙে তুমি দাঁড়িয়ে থেকো তীব্র হ্যলোজিনের নীচে। প্রতিটা দীর্ঘশ্বাসের হাত রেখে ম্যাজিক হয়ে উঠবে জোনাকির স্নান। আশ্চর্য গানে ভরে দেব বন্ধ্যা সকাল। বদলে যাওয়া সম্পর্কগুলোর আরশিনগরে ক্ষমা বেড়ে উঠুক।
শুধু আমার একটা শাণিত অস্ত্র চাই। একটা বিপ্লব লিখতে যতটুকু দরকার।জমে ওঠা শ্যাওলা সরাতে গভীর এক ক্ষার স্নান।

 

রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

বন্যা ব্যানার্জী-র কবিতা

মিছিল

ওরা গন্তব্যের খোঁজ রাখে না।
কেবলই হেঁটে চলে স্লোগানের দায় মেখে।
ওদের ইচ্ছা আর স্বপ্নের নাম বুদবুদ।
ক্ষিদেয় প্রলেপ দিতে ওদের কেউ কেউ
অবরোধ জমায়,ধর্নায় বসে।
মাঝে মাঝে ঘটে যায় ভয়ংকর বিস্ফোরণ।
খবরের হেডলাইনে বিপ্লব জমা হয়।
ফেসবুকে ঝড় ওঠে।
বাবুরা আসেন,আশ্বাস রাখেন।
মাঝরাতে ব্যারিকেড ভেঙে ওদের কথা‌রা দাঁড় বায়।
বেসামাল ইতিহাস উত্তরাধিকার খোঁজে।
ওদের জুতো রা বাতিল হয় না
বারবার সেলাই হয়।ঘাম জমা পোষাকে মৃত চাঁদ ঝলসে ওঠে।
বাড়িয়ে দেওয়া টুকরো সিগারেটে টান দিয়ে ওরা সেঁকে নেয় ক্ষতের মুখ।
আমরা ওদের মিছিল বলেই জানি।যাদের শর্ত আদি অকৃত্রিম ক্ষিদে।
 

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

কবিতা : বন্যা ব্যানার্জী

শব্দ

 

এভাবেই চলে যাবে দিন,মাস,বছর।

আমাদের বয়ে চলা বিশ্বাস আর ছাপোষা আবেগ ধূয়ে

স্নান সেরে নেবে নতুন শতাব্দী।

পুরনো উনুন বাতিল হলে মায়ের চোখে জল গড়াবে না।

শাড়িতেও আর ধোঁয়ার গন্ধ ভাসবে না!

নতুন আগুনে সেঁকে উঠবে ক্ষিদের জৌলুস।

বহুদিন উঠোন জুড়ে বৃষ্টি নামেনি।

তুমিও আসোনি যেন অনন্ত কাল।

নাহ্।অভিযোগ নেই। মান অভিমান,ঝগড়া ঝাঁটি 

সোনাঝুরির গোধূলিতে প্রদীপ হয়ে‌ জ্বলে গেছে 

সেই কবে

আঁকড়ে আছি পুরনো গীটার। ববডিলান

ভাঙা পথে শুধুই রাতের স্তব্ধতা। স্তব্ধতা 

চিড়ে বিপ্লবের নকশী কথা।মনে মনে।

নিবে যাওয়ার আগে দু চারখানা সুর শোনাতে চাই

কাল সময় হবে!দেরী করো না।

আজকাল বড় ঘুম পায়।

ঘুমের মধ্যে মিছিলের শব্দ। কেবলই এগিয়ে আসছে।