হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

 

শবসাধনা

নিজের ভেতরে ভৈরবী আর মালকোষ

আগলে রেখেছো শিবরঞ্জনী ঝঞ্ঝা 

উঠে এলো যত কড়ি ও কমলে সব দোষ

তোমার সঙ্গে  মিল দিতে তবু মন যায়  
   
তোমার সঙ্গে  মিল দিতে তবু মন চায় 

রাগ জীবনের সব চেয়ে বেশি জরুরি 
আঘাতে আঘাতে রৌদ্রপাতের মহিমা 
পারাপারহীন ভেসে থাকে জিন পরী
শুদ্ধ নি এর সঙ্গে মিশেছে কড়ি মা

এমন ই তো হয় শেকড় ছড়ায়  মাটিতে

এমন ই তো হল তোমার আমার জীবনে 

কত সহজেই দেয়া নেওয়া সারা

স্বপ্নের মায়া তছনছ সম্পর্কের হননে 

পাথর তবে  কি গড়িয়ে গেছিল জলে
শাখা নেই তবু আঁকড়ে ধরেছি পল্লব 
ধ্রুপদ ধামারে এমন কথায় বলে
প্রতি মুহূর্তে খুঁড়ে খুঁড়ে দেখি সেই শব ...

আজ প্রতি মুহূর্তে খুঁড়ে খুঁড়ে দেখি সেই শব.......

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

 


মুক্তসময় 

ভাবভালবাসা তুচ্ছ ছিল
সম্পর্কটা মুক্ত ছিল, অনেকটা ঠিক
জন্ম জন্মান্তরের মতন ছিল
দিনকেদিন বদলে গেছে  
টিভি চ্যানেল ফ্রিজ মোবাইলতো ছিলনা তখন  
ফেসবুকে আর ইনস্টাগ্রামের কম্পিউটার ও 
ল্যাপটপটের পাস ওয়ার্ড কোথায় ছিল? 
তবুও অগ্নিসাক্ষী ছিল,ছিল মনের মতন 
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ছিল 
চু কিত কিত খেলাও ছিল ,পুজো ছিল পুজোর মতন
গাজন ছিল আ্যমেচারের যাত্রা ছিল 
হাসি হুল্লোড় রাসমঞ্চর অন্যতর জয়ের পাথর
আর কি ছিল পাড়ার খেলা 
তোমার আমার মধ্যে  ছিল ভালবাসার একখানি ঘর

এখন অনেক বড়ো হয়েছি আমরা সবাই 
যত্ন করে ভেঙে দিচ্ছি এ ঘর ও ঘর
অনেক দিন পরে আবার দেখতে এলাম
সেসব ঠিক আগের মতন আছে কি নেই  
মুক্ত সময়  .......

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

সততার পক্ষে

সততার পক্ষে আজ আর কোনও সত্য নেই
শুধু আছে প্রত্যাক্ষান, কিন্তু কেন ?

কেন এত দ্বেষ, শুদ্ধ অপাপবিদ্ধ কোমলতার দিকে
পন্ডিতেরা যা বলেন,ক্লাসে যা পড়ানো হয়েছে

 জ্যোতির্গময় হে মাধব হে অথর্ববেদ 

তাহলে সব মিথ্যা, ঝুট ...আমরা ভুলে যাই সহজেই

একটি শিশুর মনে থরে থরে জমে ওঠে 
অকল্পনীয় ভালবাসা, সম্ভ্রম শ্রদ্ধাভাজন মণীষা 

বড়ো হয়ে সে যখন দেখে ভুল,এই সমস্ত বিচার ভুল
গভীর বেদনায় ছ্যাঁৎ করে ওঠে তার বুক 
বিস্মৃত এবং ভয়ঙ্কর এই দুঃখ প্রাকৃতজনের

ভুলতে সে বারে যায়,যৌনপল্লিতে যায়
অসৎ হ ওয়ার. তীব্ৰ আকাঙ্খায় ঝুঁকে পড়ে তার মন
শুকিয়ে যাওয়া ক্ষত উস্কে দিয়ে সে ভুলে যেতে চায়
সমস্ত শিল্প পুরনো বেদনাযন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয় ...
 
আকাশের বুকে বড়ো তারাটির মতো কিছু নয় ...

 

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

মনখারাপ 

মনখারাপ করে কোনো লাভ নেই
ইয়ার, দোস্ত শান্তি খুঁজতে খুঁজতে 
এ কোন শান্তিকল্যাণ? 

আমরা  কেউ বেঁচে নেই
রক্ত  মাংসহীন শব,ঘুরে বেড়াচ্ছে রাস্তায়  ঘাটে
বোমা গুলি খুন ,মনখারাপের কোনো জায়গা নেই

তুমি বাঁচলে বাপের নাম
এতো পুরনো কথা সারভাইভ্যাল অফ দ্যা ফিটেস্ট
তুমি দাঁড়িয়ে আছো তবু নির্জন স্টেশনে 
শান্তির পৃথিবী দেখবে বলে
সেই  কবে থেকে একটা  যৌথখামার
মানুষ  মানুষের  পিঠে হাত রেখে বলবে
চালাও পানসি বেলঘরিয়া ...

 

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

সঙ্গীত পরিক্রমা

আঙুরবালা অথবা গওহরজান কিংবা কে এল সায়গল 
আর তালাত মামুদের ঘুমের ছায়ায়
চাঁদের চোখে মনে পড়ছে,মনে কি পড়ে
বড়ে গুলাম আলি থেকে বিসমিল্লাহ
এস ডি বর্মন হেমন্ত মান্না লতা সন্ধ্যার 
সীমাহীন আকাশ সুমন কল্যাণপুর থেকে চৌরাশিয়া
হে সঙ্গীতের অনন্ত আকাশ তোমার অপরিচয়
তোমার নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও
আমি ঢুকে পড়েছি আর বেরোবার উপায় নেই
সবসময়য় দুঃখ ও বেদনা  নয়
অদ্ভুত সুন্দর আনন্দ উৎসবে সামিল করে তোলে 
সঙ্গীত, মহান গায়কদের যত নিষ্ঠুরতার কথাই
শুনিনা কেন সব কিছু সরিয়ে
তখনই এক বিমূর্ত এবং ভয়ঙ্কর সুন্দর
শ্বেতশুভ্র সরস্বতী সামনে এসে দাঁড়ায়
আমি পুরনো  বেদনা ভুলে যায় ..... 

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

কবিতা : হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

মনে পড়ে...

এখনো সে কথা মনে পড়ে আর স্নায়ু তরঙ্গ 
কাঁপতে থাকে...
আমার শরীরে তখন এক আকাশ ঝড়
এক আকাশ আগুন
আমার শরীরে তখন মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
এক সমুদ্র  গরল ....
মনে পড়ে আর কেঁপে কেঁপে উঠি
সে সব স্মৃতি
সমস্ত ধুয়ে মুছে গেলেও
এখনও কিছু রয়ে গেছে আদমসুমারিতে যা ধরা পড়ে

প্রেম বলে
 কিছু ছিল না তখন 
ভালবাসা আবিষ্কার হয় নি
পুরুষ বা রমণী তখনও আ্যমিবা হাইড্রা কিংবা
প্লাটিহেলমিনথেস....
স্বপ্নেও
 সেকথা মনে পড়লে এখনো স্নায়ু তরঙ্গ কাঁপতে থাকে, 

ভেঙে পড়ে সমস্ত কান্নার ট্যাঙ্ক
অশ্রুথলী ..পাখিদিবসের গান ...

 

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

বারের খেলা

হঠাৎ নেলকাটারের বদলে তরমুজ কাটার ছুরিটি
শূন্যে ছুঁড়ে দি
ঘুরতে ঘুরতে নেমে আসে, আলোয় চকমক করতে করতে

বৈকালিক চায়ের টেবিল জুড়ে তখন স্তব্ধতা
মা মেয়ের কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়
আমি নিজেও আতংকিত তবু নিজেকে খুব স্মার্ট গাই
প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে বলি 
এই সেই বারের খেলা
অলিম্পিক সার্কাসে ,আমাদের সময়...
মেয়ে ভয় কাটিয়ে উল্লসিত হয় ,হাততালি দিয়ে ওঠে
মেয়ের মা কিন্তু বোঝে নিষিদ্ধ পিপাসা একেই বলে

আমি বিষন্ন উটের মতোই মেয়ের কানে কানে
ফিসফিস করে বলি
অর্জুনকে প্রথম অস্ত্র চালনার শিক্ষা গুরু
দ্রোণাচার্য ঠিক এভাবেই দিয়েছিলো ...

 

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা

অন‍্যায়
তোমাকে দেখেছি কাল,তাতেই দুচোখ অন্ধ হয়ে গেছেফের সম্ভাবনা নড়ে চড়ে ওঠে
আকাঙ্খার ধাপগুলি স্বর্গে উঠে গেছে
অন‍্যায় চোখের নয়,জানি তবু এভাবে ডাক দিতে আছে?
চারিদিকে লালধুলো ঝরাপাতা কৃষ্ণচূড়া
না তাকিয়ে তার কোনো উপায় ছিল না
তবু কুড়িয়ে ছড়িয়ে দিলে তাস
ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে মাঝপথে ক্রীড়া
যেভাবে নদীর দুটি মুখ বয়ে যায়
যেভাবে আসঙ্গ লিপ্সায় দুটি ঠোঁট জেগে থাকে একা,তখন থেকেও নেই না থেকেও থাকা
শুধু দিনগত ক্ষয় 
 অন‍্যায় চোখের নয়সংবরণ করার কোনো উপায় ছিল না
সত্যিই ছিল না?
এক অন্ধ আরেক অন্ধের কাছে গিয়ে বলে
সত্যিই ছিল নানা?