দেবযানী বসু লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দেবযানী বসু লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

দেবযানী বসু-র কবিতা

নিপাতনে সিদ্ধ জীবন

শীতকাল এলে সাদা গোলাপের দেশে যাব। দরজা যোগী চিরকালের। কোনো কৈফিয়ত চায় না। পরাগধানী ভরা বাসমতীর বাস। কপালে তিলক আনন্দমরণের। মহা মহাকাশের বুকে মৃত্যুর ধ্রুবতারা বেঁচে আছে এখনও। অক্ষর আর আল্পনার যেখানে দুটি পথের বিদায়মোহনা সেখানে গোলাপ শ্বেতরঙা। হয় তো একবিন্দু যৌনতা নেই। অকাজের যৌনতা নিয়ে কারো হৃদয়ব্যথা নেই। অম্লজান কারো জান নিয়ে খেলা করবে কিনা তারও ঠিক নেই।

লাভেন্দির আশেপাশে আফেন্দী

এক চামচ পাতাল কুরে তুলে এনেছি। খবরে ঢেলে সাজানোর কথা মনে থাকে না। অষ্টচাঁদে ঘূণপোকা লেগেছে। গ্ৰহণ আর লাগবে না। সমাধি যা চাইবে দেহকেও তাই বলতে হবে। মহাকাশসমাধি। উজ্বল বরফের কুঠার বরফে পথ হারিয়েছে। বরফজেলি বানায় স্বপ্ন। স্বপ্ন ধাপে ধাপে সংকল্প হল। সংকল্প পচে পচে সমাধির গুণমান বাড়িয়েছে। শব্দের মানচিত্র ভরে গেছে মাছরাঙা আর পানকৌড়ির আব্দারে। টাকাগাছ মুড়িয়ে গেলে গল্প জল দেয়। চাহিদা জোগায়। গল্প কিন্তু অফুরান।

বশীকরণের পরে

রিমোটস্পর্শে পাশার দান এগিয়ে চলেছে। এটা হবেই। ভোরের নামাবলীর ভিতর কুঁড়ি লুকিয়ে। প্রাচীন কবিরা  ঘুরে ফিরে গায়ক উত্তরীয় দিয়ে ঢেকে দেন। প্রান্ত প্রান্ত জুড়ে চুল্লিলিঙ্গের চাষ। আবছা ছবিটি রঙরেখা পেয়ে তুমুল গলা তুলেছিল। তুমুল বন্ধুবাজি হল। তুমুল পোশাক পরেই ঘুমিয়ে পড়েছি। কাঁটাঝোপলাগা নক্ষত্রর দল নিজের পকেটে করে সুগন্ধি বমি নিয়ে ঘরে ফিরে গেছে। আতরদানীর মধ্যে এঁটে গেছে গোটা সংসার। শীতকালে জাহাজবাতির সন্ধানী আলোয় সমুদ্রের মরামাছ ধরা পড়ে যায়।  

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দেবযানী বসু-র কবিতা

লীলা সরোবর ও রমণসাথী

লেখার জন্য ঘাসের ডগায় শিশির সেলাইভা প্রস্তুত করে দিয়েছে। পতঙ্গের ক্রিয়াপদ আর মানুষের ক্রিয়াপদ পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা বিশেষত দাবনা লক্ষ্য করে বিপ্লবী সঙ্গীত যখন প্রাণ ফিরে পায়। হাত ধরা কাকুতি নিয়ে ছোট পত্রিকাটি শেষ শীতের আমেজ বজায় রাখছে। 'তৈল তুলা তনূনপাৎ তাম্বুলে তপনে' জমে উঠেছে মেলা। কফি চা কেক তপ্ত ক্লিভেজ এর শিককাবাব পতাকা ওড়াচ্ছে। মানুষ খাব বলে আমি ঝাঁপিয়ে পড়েছি সাদাচুলের ইউক্যালিপটাস। অসংখ্য মরা নদী নাব্য করে দিয়েছি। অন্য জীবনের পারদ ভারসাম্য রাখছে গড়াচ্ছে পাঁজরের এ খাঁজ ও খাঁজে ছাতারের কাঁই চেঁচামেচি সহ। লেখার জন্য কলমসাথী পত্রিকা কচ্ছপের মাংস সহ নিমন্ত্রণে ব্যস্ত। গুঁতিয়ে ইউক্যালিপটাসকে মন্ড পাকাবার শেষে ক্ষমা  চাওয়া ও দেওয়া ছাড়া এ অমঙ্গল গ্রহ পুরস্কারও দিচ্ছে। মেনু কার্ডে ফলাও করে প্রায় হাতখানেক ছোটগল্পে লেখাও তাই। ইতিশরীর ফেইথফুলি ইয়োর স্যর। 
 

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

দেবযানী বসু-র কবিতা

শাখাপ্রশাখায় বৈশাখ

সীতাসীতালী মায়ায় কুইন্সি আতা ফলের নীরব যাপন। বাবা থেকে পলাশের ঝরে যাওয়া রাধা চূড়া মা আঁচলে ধরে রাখে। সাইকেলের টুকরিতেও রাখে। অশ্রু নমিনি করে রেখে লাভ নেই। এক টুকরো কারাকোরামের বাতাস স্যুট টাই বুট নিয়ে খেলছে। ফুল স্টপেজ। এর উপর ক্রিয়াপদের মধুর খেলা। এর উপর পাতালসাপের ফণা। কোটের বোতামটি কারাকোরামের জীবাশ্ম। বোতামের জলবায়ুতে ঘৃণা, অপমান ও প্রতিশোধের লীলা। সন্তানের বিবাহ কোটের বোতামে আমাদের কৈশোর ছবি।


স্থবির পকেটকোষ

স্বপ্নগুলো ঘুমের ভিতরে ভাঁজ ফেলছে। ধাতব তার দিয়ে মুখে বিপন্নতা সম্পন্নতা ফোটায়। পুরনো নাচ আর গান দিয়ে কসরৎ করছি যদি নতুনেরা ফেরে। পুরনো হুতোম মুখে টিকিটের চড়া দাম আঁকা। বছর আরেকটা বছরকে বিইয়ে মরে যাচ্ছে। তুলনা পেতে পেতে পৃথিবীর রাগ হয় কমলালেবুর উপর। নিঙড়ানো শেষ হলে পৃথিবীর কী পড়ে থাকবে কে জানে। আমরা দোহারকি দিয়ে গান বাঁচিয়ে রাখি। পৃথিবী নিদ্রা গেলে গোলযোগ করার কে রবে? নাটকের মিসিং লিংক যুবকের ফাঁকা পকেটে কে দেবে?

 

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

দেবযানী বসু-র কবিতা

রাশিফল কামড়ে খাই

বাসি খবর বাসি লুচি সব ফুঁ দিলে ফুলে যাচ্ছে। প্রান্তিক পথ নীল অঞ্জন পরে হাজির। হাজার বছরের অতীত প্রেমিককে  দাদাভাই বলে ডাকব  কিনা এই প্রশ্নে  বেশি বিব্রত ঝরাবকুলের দল। ছুরির ধারে লাগা বিরহ বিচ্ছেদ প্রাণ পেয়ে হংসকলনাদে জলে নেমে যায়। পোষা কচ্ছপের উজ্জ্বল চোখ বিবাহ বাসর থেকে তুলে নিয়ে গাছাগাছি দেশের মানুষের চোখে বসিয়েছি। এই আবিষ্কারের পর শামুকের দরজায় কেউ পিন সেঁটে দিয়ে গেছে। মাছের জলাধারে মেডেল চুবিয়ে রাখো বরনারী। ওরাই একদিন প্রেমিক টাইটানিক হবে।

আমানত ভেঙে খাই

খুব একটা দূর নয় তবু প্রতিটি বাক্যের শেষে একটা করে ধ্বংসস্তূপ বসাতে বাধ্য আমি। আমরা নয়, তোমরাও নয়। তাতে করে হারছে সর্বনামের দল। রাগে মুখ লালও হচ্ছে কালোও হচ্ছে। অবুঝপনা কচুরিপানা চাষ করে বিখ্যাত। বোর্ডে লেখার বিষয় :কন্দহারা লিঙ্গরা নাতিশীতোষ্ণ বায়ুমন্ডল পাবে না কখনো। আর তুষার বলয়ে সাতগুরু চম্পা ফুটেছে। জামাকাপড় বারবিকিউ উষ্ণতায় দাঁড়িয়ে। ঠিক তখনই বাংলো বাড়িটি পাছা উপুড় করে নগ্নতা স্নিগ্ধ করে তুলেছে। আহা চিরস্থায়ী চিরকাল ইঁদুরদের সুসময়।


পূর্বপুরুষদের মাংস

দৃশ্য ভাঙতে ভাঙতে প্রোটন নিউট্রনের দল ক্লান্ত। ভীষ্মের শরশয্যায় লেগে থাকা পোকারা রাজা হল মন্ত্রী হল এত যুগ পরে। বায়োকেমিক ওষুধের ইনকিউবেটরে যমজ সন্তানের লাইন। আর দুটি সদ্যোজাত ছানার নাড়ি কাটা ব্যর্থ করার অভিসন্ধি শেখাচ্ছেন পিতামহ ভীষ্ম। আমরা নিজেদের ক্রুশকাঠ হাড়িকাঠ সবই বয়ে নিয়ে যাই। ডাকিনী যোগিনীরা বৃক্ষের ডালপালা কড়মড় করে খাচ্ছে। তাদের হাড়মড়মড়ি ব্যারাম তবু সারছে না। বেতালময়ী কৃষ্ণচূড়ার বুক চিরে নীল অতলান্ত পেরিয়ে যাবে। শুধু তার কষাইগিরির চিহ্ন আকাশের দিকে তাকিয়ে।  

 

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

দেবযানী বসু-র ঝুরোগল্প

অক্টোপাস
বোলেরো চলছে চড়াই উৎরাই পেরিয়ে। শৈল শহরটির শিরা উপশিরাময় রাস্তা সব চেনা রবীনদার। হ্যাঁ, রবীনদা বেঁটে খাটো গড়াপেটা চেহারার। শর্টস আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরেন বাড়িতে। স্ত্রী নেই বিশ বছর হল। বেশিরভাগ সময় কম্পিউটারে নিমগ্ন। বিকেলের অস্তগামী সূর্যের সঙ্গে কফিমগের ঘনিষ্ঠতায় অভ্যস্ত তিনি। যেমন শিক্ষক - ছাত্রী তেমনি ডাক্তার নার্স সমাপতন মনুষ্যজীবনে। কাজে ডুবে থাকা একক ডাক্তারের আনন্দ বলে কিছু থাকবে না? একটু ছুঁৎমার্গী রবীন ঘোষাল চড়া দামে সঙ্গিনী সঙ্গ করেছেন কিছুকাল। প্রেমট্রেমের ঝোঁকে পঞ্চাশের কাছাকাছি বয়সে অনেক টাকা গচ্চা দিয়েছেন। কেউ ধার নিয়ে স্রেফ ঝেড়ে দিয়েছে। সোমা, গার্গী, দেবযানী  কেউ ডিভোর্সী, কেউ বিধবা, কেউ অবিবাহিতা কেউ  স্থায়ী হয় নি। কি যে অহংকারের ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায় জীবন মাঝে মাঝে। ব্যবহারে রূঢ়তা, ভুল বোঝাবুঝি, সময়ের অভাব কতো কি যে ঘটে যায়। শেষে শূন্যতা। নার্স আর পেসেন্ট পার্টি ঘুরে ফিরে আসে।

এই তো দেবিকার হাত মুঠোয় নিয়ে ভরা ওয়ার্ডের মধ্যে মীরার ভজন গেয়ে উঠলেন। মধ্যবয়স্কা দেবিকা আর বছর কয়েক পরেই অবসর নেবেন স্কুলের চাকরি থেকে। খুবই মায়াময় স্নিগ্ধ চেহারার তিনি। রবীন ঘোষালের প্রতি ডোপামিন রসায়নে বাঁধা পড়লেন। ভদ্রমহিলার প্রচুর অসুখ, যা নেই তাও আছে। সকাল থেকে নেকুনেকু গলায় শুরু হতো আজ না লিভারে দপদপ ব্যথা করছে। বিশ্বাস করুন কানের ভিতর কিরকম চুলকানি হচ্ছে। প্লিজ রবীন হেল্প মি। রবীন ঘোষাল তার আদিকালের ওল্ড স্পাইসের সৌরভ নিয়ে হয় তো স্নান ঘরে ব্যস্ত আছেন।

যাইহোক এবার ঐ শৈল শহরে যাবার কথা। স্টিয়ারিং রবীনের হাতে। আর লং জার্নিতে যা হয় সিনেমার গল্প, ডাক্তারদের ট্যাক্স ফাঁকি দেবার গল্প, শোভন - বৈশাখী নিয়ে আলোচনা  আর প্রেমকরা চলতে থাকল। রবীনের বকবক করার ক্ষমতা দেখে দেবিকা আশ্চর্য হয়ে যায়। আর মাঝে মাঝে সেই আকুলতা : দেবী! আজ রাতে হাত পা ছুঁড়লে  চলবে না। অক্টোপাসের শুঁড় দেখেছ তো? পিছল, শীতল, স্যাঁতসেঁতে... যা জড়াব না... পুরো ভ্যাজাইনা মনোলোগ উজাড় করে দেব...  দেবিকা চন্দ্রমল্লিকা ফুলের মতো দুলে দুলে উঠল সিটের উপর। হোটেল পূর্ব পরিচিত, বুকড।
রবীনের এরকম তোলপাড় করা ক্রিয়াকলাপে দেবিকার ফ্লাইং সসারে চড়ার অনুভূতি হল। তার অচল বাঁ পাটাকে সে সচল করার চেষ্টা করছে , পারছে না। কি এক ব্যথাময় সঙ্গমের আশংকায় সে ছটফট করে উঠল। কিন্তু প্রবেশের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, রবীন নেই। এই তো ছিল বুকের উপর গেল কোথায়। দেবিকা জানলা দিয়ে বাইরে তাকাল। অচেনা জায়গা ঝরোখা কাটা কি সব বাড়িঘর। দেবিকা বিছানায় মোবাইল হাতড়াতে লাগলো। হঠাৎ তার মনে পড়ল মোবাইল ছাড়াই তারা বেরিয়েছিল...  এবার দেবিকার শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্ট হচ্ছে। কি একটা অক্টোপাসের সঙ্গে সে যেন ধ্বস্তাধস্তি করছে। রবীন রবীন চিৎকারে ঝাপটে পড়ছে দেবিকা। অথচ সেই চিৎকার তার গলা দিয়ে বেরোচ্ছে না। খুব ঘামের স্রোত সারা শরীরে।

দুম করে ঘুম ভেঙে গেলে  নিজের অসাড় বাঁ পা ছুঁয়ে বুঝতে পারল আবার যে রবীন দশ বছর হল ইহলোকে নেই। এই নিয়ে অগুন্তিবার...

 

শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১

দেবযানী বসু-র ঝুরোগল্প


অতএব তুই মিসলেনিয়াস

গোরে মুহ সো মোরে মন ভাওয়ে -- আমার চন্দ্রাকে চিনিস তুই? এত নারী এল গেল কিন্তু চন্দ্রাকে ভুলতে পারি না। হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে বেদনা জিইয়ে রাখতে ভালোবাসে মানুষ। মাঝে মাঝে সেই বেদনার স্থান ঝাঁপি খুলে দেখতে কত যে সুখ। এই যে তুই আমার এখনকার প্রেমিকা সচিব সখা , তোকে সব বলা যায়।
চন্দ্রা মানে ষোল সতেরো আঠারোর দিনগুলো। নকশাল আমল।কিছু লিফলেট জমে ঘরে। চন্দ্রার হারিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে না যে সে মারা গেছে। খেলার মাঠ ধানক্ষেত পোড়ো মসজিদ লক্ষ্মীকান্তদের ফলের বাগান  আর রামদাস বাবাজির মঠ ঘিরে প্রেমপর্ব। শুধু চুম্বন আর জড়িয়ে ধরা ছাড়া আর এগোই নি -- যেখানে হল না খেলা সে খেলাঘরে আজি নিশিদিন মন কেমন কেমন করে। আর একটা মানুষ সত্তরে পৌঁছতে পৌঁছতে , অনেক গোল দিতে দিতে , নারীকে নীরা করতে করতে প্রথম ধাপটা সিঁড়ির ভুলেই যায়। আদরী মনে হয় তুইই আমার শেষ প্রেমিকা। হৃদয়ের জোর কমে যাচ্ছে মানে মস্তিষ্কের জোর কমে যাচ্ছে। সেভাবে টানাপড়েন আর খেলতে পারি না। তোর সঙ্গে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেব শীঘ্র। তোকে নিয়ে আমার স্বপ্নটা শুরু হয়।
সেলিমপুরের এই বাড়িটা আমার ব্যক্তিগত বাড়ি। বসুন্ধরা বীরভোগ্যা না হলে চলবে কেন? নারী বাড়ি গাড়ি সুরা সম্রাট সব মিলিয়ে একাকার। বৌকেও সব দিই রে। ইদানিং বৌ খুব ঠাকুর ধর্ম করে বলে আস্তে আস্তে সরিয়ে দিয়েছে আমাকে। ফুলশয্যা নিয়ে ভাবালুতা ছিল বিয়ের সময়ে তা সে যত গন্ডা আপাদমস্তক ঘনিষ্ঠতা করার পর ফুটিয়ে দিই না কেন।
শোন্ চন্দ্রা আমি একসাথে স্কুলে পড়তাম।একই কোচিংয়ে পড়তাম।আদরী তোকে আমার কামসূত্র মুভিটার রেখার মতো মনে হয়। স্বপ্নে তোকে পেতে গিয়ে দেখি চন্দ্রা হাজির। তোকে জানি। কিন্তু চন্দ্রার শরীর তো অচেনা। খুব মুস্কিল। সেই অতীতের ফুলশয্যার ঘরে চন্দ্রা স্কুলের ইউনিফর্ম পরা কিশোরী হাসছে। আমার টোপর। ওর স্কুল শু। আমার ধুতি পাঞ্জাবি।ওর হাতে বইপত্র। ক্রমশ ফুলশয্যা ঘরের দরজা জানলা দেয়াল মিলিয়ে যাচ্ছে। এল স্কুলের বেঞ্চ টেবিল। শোব কোথায়!
চন্দ্রাকে তুই চিনিস আদরী? তুইও তো একই স্কুলের ছাত্রী ছিলিস।