মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

দেবযানী বসু-র কবিতা

শাখাপ্রশাখায় বৈশাখ

সীতাসীতালী মায়ায় কুইন্সি আতা ফলের নীরব যাপন। বাবা থেকে পলাশের ঝরে যাওয়া রাধা চূড়া মা আঁচলে ধরে রাখে। সাইকেলের টুকরিতেও রাখে। অশ্রু নমিনি করে রেখে লাভ নেই। এক টুকরো কারাকোরামের বাতাস স্যুট টাই বুট নিয়ে খেলছে। ফুল স্টপেজ। এর উপর ক্রিয়াপদের মধুর খেলা। এর উপর পাতালসাপের ফণা। কোটের বোতামটি কারাকোরামের জীবাশ্ম। বোতামের জলবায়ুতে ঘৃণা, অপমান ও প্রতিশোধের লীলা। সন্তানের বিবাহ কোটের বোতামে আমাদের কৈশোর ছবি।


স্থবির পকেটকোষ

স্বপ্নগুলো ঘুমের ভিতরে ভাঁজ ফেলছে। ধাতব তার দিয়ে মুখে বিপন্নতা সম্পন্নতা ফোটায়। পুরনো নাচ আর গান দিয়ে কসরৎ করছি যদি নতুনেরা ফেরে। পুরনো হুতোম মুখে টিকিটের চড়া দাম আঁকা। বছর আরেকটা বছরকে বিইয়ে মরে যাচ্ছে। তুলনা পেতে পেতে পৃথিবীর রাগ হয় কমলালেবুর উপর। নিঙড়ানো শেষ হলে পৃথিবীর কী পড়ে থাকবে কে জানে। আমরা দোহারকি দিয়ে গান বাঁচিয়ে রাখি। পৃথিবী নিদ্রা গেলে গোলযোগ করার কে রবে? নাটকের মিসিং লিংক যুবকের ফাঁকা পকেটে কে দেবে?

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন