আবদুর রাজ্জাক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আবদুর রাজ্জাক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

আবদুর রাজ্জাক-এর কবিতা

সান্ধ্য কুহকের ভুলে যেতে ভুল হয় না কখনো


তুমি তখন সন্ধ্যার বুকের ভেতর, তুমি তখন
দূর অপলক আকাশের ভেতর,
সন্ধ্যার অন্ধকার গভীর হলে, পানিশূন্য জলাধারে বিষণ্ণ বক এক একপায়ে 

দাঁড়িয়ে থাকবে।
তুমি প্রতিদিন নতুন থেকে নতুনতর হয়েও প্রাচীন কিংবা পুরাতন হবে না।

ক্ষতের পরশ থাকবে সমস্ত যাপনে, সমর্পিত হওয়ার দিনেও থাকবে বিহ্বল

স্বপ্নময় মোহ হয়তো বিষাদ রচনা করবে
গভীর কোনো ক্ষত বেদনার মতো।

কতো কথা, কতো গল্প রয়ে গেলো না বলা,
যা কখনই বলা হবে না, একটানা বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে সব বিস্মৃত হয়ে যাবে

আর তোমার আকুল বিরহ আখ্যান
শোনাও হবে না তেমন কোনো দিবসে।

মানুষ যতদূর যেতে চায়, যায়। তবে গন্তব্যে পৌঁছুতে পারে না,
ছায়াবৃক্ষ পর্যন্ত যেতেই ক্লান্তি তাকে জড়িয়ে ধরে।
তারপর সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে, সেই অধিকতর ঘুমে পৃথিবীর
কতো কিছু বদলে যায়, কতো কিছু থমকে দাঁড়ায়!


 

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

আবদুর রাজ্জাক-এর কবিতা


অনার্য পাথরের কেউ


তুমি আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলে, সেই আগুন এখনও জ্বলছে
তোমার সকল অপমান ভালোবাসি বলে তুমি কি আমাকে অপমানে রেখেছো।

পিপাসিত না হলেও আঁজলা ভরে জল দাও খেতে, আমি সেই জল পান না করে তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি,
আঙুল গলিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে,
আমার কেনো জলপানে অনিহা? আমার কেনো অনিহা?
তোমার অনিহা সমুদ্রে  আমাকে
ডুবিয়ে ভাসিয়ে দাও।
প্রবল পুলকিত হলে, আমি মানুষ থাকি না, একজন অমানুষ পথে পথে ঘুরি,
আমার দুঃখবোধ ক্রমশ  হলুদ হয়ে,  একটি
হলুদ ইচ্ছে হয়ে, বেড়ে বেড়ে বড় হতে থাকে।

আমার অপমানের অশ্রু মুছে দেয় কেউ, আমিও মুছে দিই।
পুনঃ তৃষ্ণার্ত হলে পাষাণ একটা হামি দিয়ে হাসি
তোমার জন্য একটি ভালোবাসা রেখে দিয়েছি।

তুমি বকুলবিহারে যাও, গিয়ে অপেক্ষা করো,  আমি

না গিয়েও দেখবে তোমার আমি সেখানেই রয়ে গেছি। 

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

আবদুর রাজ্জাক-এর কবিতা

অপ্রকাশিত সুন্দর


একজন মানুষকে কতোভাবে ভালোবাসা যায় তা

প্রতিদিন শিখে নিই তোমার থেকে।


নিত্যদিন আমি যা শিখি, প্রতিদিন সেই  ভুলগুলো সঞ্চয়ে থাকে,

আমি কি মুগ্ধ হইনি! 

মুগ্ধতার অনল ওই ভালোবাসার নাম ধরে প্রণাম করেছে, 

সখা এই শহর তোমাকে কিছু কি দিয়েছে? 

তোমার শৈশব, বাঁশঝাড়, সুবর্ণ গ্রাম আর এক শৈশবের কালভার্ট ....

হাওয়া ভরা চিঠি কিংবা আর কোনো পেখম গোধূলি?


বিষণ্ণ জ্যোৎস্নায় তোমার পায়ের ছাপ উজ্জ্বল হয়েছিলো,

আমার রাত্রিবাস। কাল ভোর হওয়ার আগেই বাস ধরে আমাকে –––

জ্যোৎনায় মুখ ঢেকে মর্মরিয়ে উঠেছে দুঃখ রাতের গান।


নিঃসঙ্গ হওয়ার আগেও তোমাকে হতাশ দেখেছি,

অশ্বরাতের দুঃখ ছেড়ে যেতে চায়নি, জোড় করে তাকে পায়েটানা 

গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে..... আহা যাওয়ার সময় সে কি কান্না, তার।

 

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আবদুর রাজ্জাক-এর কবিতা

স্মৃতি বড় প্রতারক

কেউ না কেউ স্মৃতিঘর উসকায়তখন আগুন জ্বলে ঘরে,
প্রতারিত আগুননির্ঘুম আগুন।

শাদা শাড়ির আঁচলভরা শুধু আগুন থাকেযেখানেই যাও
আঁচলের আগুন তুমি সাবধানে রাখো
যেন কেউ না নেয়।

সকল ভালোবাসা ভালো থাকে না কখনও,
সব হাসি উড়ায়ে দিয়েছোসমুদ্র প্রবাহেবাষ্পপ্রবাহে।
পৃথিবীর নদীগুলি একভাবে বয়ে যায়নিজের মুখ মুছে মুছে
ক্লান্তি হয়েছিধুলোজমা আয়না মোছার কথা কখনও মনে হয়নি।

শববাহক নিজেকে নিজেই বহন করছিআর—-
আমার ছায়া বহন করছে আমারই প্রতিচ্ছবি,
আমার শৈশবআমার কাঁটাবন।

ছায়া কিংবা শূন্যতার ভেতর আমি এক স্পর্শপালক,
তুমি আমার দুঃখকে উসকে দিও না,
স্মৃতি বড় প্রতারকজ্বালাতনে খুব উৎসাহ তার।