জগন্ময় মজুমদার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জগন্ময় মজুমদার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

কেক -বাড়ি


তোমার জন্মদিনে কেক আনা হলো

সুন্দর এক কেক -বাড়ি 


বাড়ির উপরে তোমার নাম।


ঘরে দারুণ হইচই আনন্দ,

টেবিলে ছোট্ট ছুরি।


তোমার বয়স গুণে গুণে মোমবাতি জ্বলছে

তুমি ফুঁ দিয়ে নেভাও


জ্বালানোর চেয়ে নেভানোয় সুখ বেশি !


কেক কাটতে তুমি বিহ্বল হলে

তোমার নামের উপরে ছুরি বসাতে দুঃখ ছিল না

কেক- বাড়ি টি কাটতে কেন যে হাত সরে না

মাকে মনে পড়ে--- পায়েস খাওয়াচ্ছে মা

গন্ধে মম বাড়ি


ঘরে হ্যাপি বার্থডে' করতালি মুখরিত সুর

বাইরে তখন বাজছে :

           ছুটির বাঁশি বাজলো যে ওই নীল গগনে...

 

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

পালানোর আগের রাতে

পালানোর আগের রাতে দীর্ঘ স্মৃতিভার
দ্বিধার ওপরে বসে থাকে সাদা কাক
সংশয়ে কুয়াশাজ্যোৎস্নামেশা আনন্দ যন্ত্রণা।

কেন কাঁদছে কুকুর, সন্দেহজনক পাতার খসখস
বন্ধ না খুলছে দরজা হয় না ঠাহর।

আর যে সময় নেই ফিরে তাকানোর 
ঘড়ির কাঁটায় বিঁধে আছে সাংকেতিক চোখ
ঘন জাম্বুরা গাছের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে
যেন সাত জন্মের চেনা আলো অচেনা ছায়ার।

কে যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে পাড়ার পুকুরে
পাড় ভাঙছে. . .

এক পেতে ছাড়া যায় সব

ফনিমনসার পাতা বদলায় রঙিন কাঁটায়! 

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

না চাহিলে যারে

হাতের তালুর মত চিনি তাকে, এমন অহংকার নেই।

সবচেয়ে দুর্গম যে মানুষ আপন অন্তরালে
তাকে চেনা আমার কম্মো নয়।

মেলে না, মেলানো যায় না
মন চায় চক্ষু না চায়।

রাধা চূড়ায় বসতে বসতে বসেনা প্রজাপতি
 বসে রক্তদ্রোনে
জেনে শুনে করে বিষ পান প্রেমের নিয়তি।

সাক্ষাৎ মৃত্যু জেনেও সংগম পিপাসা
মেটেনা পুং মাকড়সার!

না চাহিলে যারে পাওয়া যায়
তার কাছে কে আর সহজে যায়।

হাত পাতে মাত্র।

 

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

শিকার

কতো অল্পে তুষ্ট আর কি  বিশ্বাস
সাহসের বলিহারি!
কী সহজে বলে : দেখতে বাউল
আসলে সংসারি।

কতো কি সামলে চলে ধরাকে সরা ভেবে
অধরাকে ধরা
কুড়িয়ে বাড়িয়ে এনে ফের ছুঁড়ে দেয়
বিষয় আশয়, অতিশয়।

বাইরে বরফ দাহ,ভিতরে আগুন
মৃত গাছের গুঁড়িতে ছত্রাকের চারা
আলো ছাড়া বেঁচে থাকা ক্লোরফিলহীন দিন
যে সয়  সে রয় মিথ্যে মোটে নয়।

শিকার না করে যদি পায় সোনার হরিণ
কেন সে হবে না অহংকারী?

 

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

আনন্দের জন্মদিন

বাড়িতে প্রথম টিভি আসার আনন্দ
মাটি হয়ে যায়।
টিভির কপালে চন্দন ,মাথায় ধানদূর্বা
তখনও শঙ্খধ্বনির রেশ।

সারাবাড়ি সরগরম । পড়শিরাও মেঝেতে মাদুর 
পেতে 
অপেক্ষাতরঙ্গ –––

শিশুর প্রথম কান্নার মতো যেকোনো শুরু- ই শিহরন 

আনন্দের জন্মদিন
সে আমার সাদাকালো দিন হয়নি রঙিন।

প্রিয় দল হেরে গিয়েছিল।

 

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

তিরন্দাজ

তাকে ভেদ করা যায় না জেনেও তির ছুঁড়ি।
বারবার ফিরে আসে
আমাকেই বিদ্ধ করে তির।

দূর থেকে তাকে খুব অস্হির লাগে
তিনিও যে হারতে পারেন ধারণা ছিল না।

জেতার অভ্যাসে স্বভাব পাল্টায়
নিজেকে অপরাজেয় ভাববার মতো পরাজয়
কিছু নেই।

বিদ্ধ হয়েও বেঁচে আছি
তার অবাক আমাকে করে না অবাক।

আমি আমার তিরের মুখে মাখিয়ে রেখেছি মধু

 

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

উৎসর্গ 

প্রথমে মানুষ তুমি পরে অন্যকিছু।

তোমাকে উৎসর্গ করি
তোমার নাম-ই যথেষ্ট, আগে বা পরে
পদবী বা উপাধির দরকার নেই।

রামধনুটির কাছে সবচেয়ে প্রিয় কোন্ রং 
এসব বাতুল প্রশ্ন

আজলা জলের মধ্যে ছায়া পড়ে পিপাসা ও ভালোবাসা
সুজাতা গৌতম।

 

শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

ছোটো বোনের জন্য

লাল পিঁপড়ে ছেড়ে দিই ক্ষতমুখে 
ঘুরন্ত মেশিনে ঢুকিয়েছি হাত 
 ইচ্ছে করে|

খুলেছি ব্যাণ্ডেজ, তীব্র খুঁটেছি।

হোক রক্তপাত| জমুক পুঁজ।
যদি কাটা যায় হাত ––– হোক।
যত বেশি বড়ো হবে ক্ষতমুখ 
ক্ষতিপূরণ পাবো তারও চেয়ে বেশি।

ছোটো বোনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।

 

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

মা রবিঠাকুর

 

যখন কোনো ভালো কথা শুনি

রবিঠাকুরের মুখে বসাই।

 

পরে জেনেছিঅজ্ঞাতনামাশব্দটিকে

মোটেও সেই ভদ্রলোক এমন বলেনি।

 

যখন শৈশবে কেউ কিছু প্রশ্ন করতো

বলতাম : মা জানে।

 

মায়ের মুখে যে কোনো গান মনে হত

রবীন্দ্রসঙ্গীত।

 

মায়ের সঙ্গে রবিঠাকুরের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা

জানিনা।

 

যার কেউ নেই তার ঈশ্বর আছে।

 

ঈশ্বরের নারী রূপ কি মা,

পুরুষ রূপ রবিঠাকুর?

 

ঈশ্বরের নিশ্চয় কাশ্যপ গোত্র

মহাশূন্যের কৃষ্ণকূপের মতো

সবাইকে বুকে টেনে নেয়।



 

শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা

সূর্য প্রদক্ষিণে আছি

 

আত্মোপলব্ধি মানে নিজের সীমানাকে খুঁজে পাওয়া

 

কথা বলার সময় কথাটি বোলো না

বললে মৃদঙ্গ বোঝে কৃষ্ণ বোঝো না

ওই তো তোমার দোষ

 

হয়নি কি হয়নি শেষ আমার কথাটি

হারিয়ে ফেলেছি সেই সুর লয় গান

নিজের কাছেই নিজে

আমি সেই না-বলা পরম।

 

হারায় হারিয়ে যায়

সূর্য প্রদক্ষিণে আছি আত্মগত

তোমার ছায়ায়।

 

মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

জগন্ময় মজুমদার-এর কবিতা


আদিগন্ত ধরে রাখি ছিপ

ধরা দেবে বলেছিল মিথ্যে কিছু সম্ভাবনা-মাছ

বসেছি ভেড়ির পাড়ে, খালিগায়ে ঊর্ধ্বে আমব্রেলা

একখানি ছিপ হাতে, টোপহীন কেটে যায় বেলা

দেবে কি দেবে না ধরা, স্বপ্নদেখা একমাত্র কাজ।

ধ্যানের বিন্দুতে মগ্ন, স্থির যেন কেহ নাহি বলে

তুমি আত্মপ্রবঞ্চক, ফাঁকিবাজ তোমাকে ধিক্কার

শিকারি হবার আগে হতে হয় নিজেই শিকার

হে​থা​ সব ছিল সুন্দর তুমি যবে নাহি ছিলে।

ধরা দেবে বলেছিল সে আশায় আজ গুড়ে বালি

হয়ত তেমন করে প্রয়োগের জানি না কৌশল

চোখ কবে দৃষ্টি হবে, ডাক হবে কবে আহ্বান

অভ্যাস জমলে পরে স্বভাবের হব বনমালি

নিজেই নিজের টোপ, আদিগন্ত ধরে রাখি ছিপ

অপেক্ষা কখন হয়, জানি না তো প্রতীক্ষার গান।