মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বন্ধন পাল-এর কবিতা
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
বন্ধন পাল-এর কবিতা
রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
বন্ধন পাল-এর কবিতা
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
বন্ধন পাল-এর কবিতা
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
বন্ধন পাল-এর কবিতা
রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
বন্ধন পাল-এর কবিতা
শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২
বন্ধন পাল-এর কবিতা
অসাধারণের মুখ
আনন্দের দিনগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে যেন দীর্ঘদেহী
বাতিস্তম্ভ হয়ে,
রাত হলে নিজেদের আলো দিয়ে পরিচয় দেয়
সে আলোতে নামহীন গোত্রহীন নিজস্ব ভালোর স্মৃতিটুকু
ঝলমল করে।
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব যত
পার্থিব সুকৃতি দিয়ে নক্ষত্র হয়েছে,
নক্ষত্রে উজ্জ্বল শুধু নামজাদা অনন্যের মুখ!
অনন্যেরও ভালোলাগা আনন্দে আচ্ছন্ন কিছু
অবকাশ থাকে
উল্লম্ব উল্লাসস্নাত বাতিস্তম্ভে জ্যোতির জঠরে;
ব্যক্তিটি যখন যায় নির্জন রাতের আলোকিত রাস্তা দিয়ে
তখন সে ব্যক্তিগত, মজ্জাগত মঞ্জিমায় দিয়েছে অঞ্জলি
অন্তরের গৃহদেবতাকে,আনমনে হাঁটতে হাঁটতে।
সমগ্র বিশ্বের চোখ সুকৃতীর সুকৃতিতে অশেষ মুগ্ধতা
লক্ষ করে, নক্ষত্রের আলোককম্পনে —
নক্ষত্র নিভে গেলেও অগাধ আলোকবর্ষ দূরত্ব পেরিয়ে
নেমে আসে
অম্লানের মৌলিকতা —
সাধারণ আলো দিয়ে অসাধারণত্ব প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার।
শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
বন্ধন পাল-এর কবিতা
শূন্যতা শুধু
সে অন্ধকার তোমার ওপর পড়েনি
সে আলোকণা তোমার ওপর পড়েনি
শুধুই শূন্যতা পড়েছিল— বয়ে যাওয়া বাতাসের মতো।
পড়েছিল,পড়ে থাকেনি; বিস্তৃত হ'তে হ'তে
দীর্ঘদেহী এক স্রোতস্বতী
যেরকম স্রোতে ভেঙে গ্রাস করে ফেলে নির্জীবতা
তেমনই প্রবহমান তুমি।
চিত্রিত নানান রং বুকচাপা শূন্যতার তলদেশ থেকে
বুদ্বুদে ছড়িয়ে গিয়েছিল,
মন যাকে নিরুদ্দিষ্ট দেখতেই ব্যগ্র হয়েছিল
হৃদয় সে শূন্যতাকে রেখেছিল আগলে দু'হাতে।
যেখানে আভাস আছে,আর কোনওকিছু বেঁচে নেই
সেখানে হারিয়ে তবু সব নিয়ন্ত্রণ
বিস্তৃতির বন্যা আছে,আর আছে ভারাক্রান্ত বোধ
বয়ে যাওয়া বাতাসের স্রোতে।
থমথমে শোকাবহ নিশ্চুপ দিনের
রিক্ত কেন্দ্রবিন্দু থেকে তোমাকে তরঙ্গ টেনে আনে
বালিকীর্ণ নির্দয় সৈকতে;যেন অস্থিরতা ঘেঁষা
স্থিরতার বিষন্নতা—
বিষাদের অস্থিরতা মেঘ হয়ে দূরে ভেসে গেছে
আর কোনও অন্ধকার তোমার ভেতরে ঝরেনি
আর কোনও আলোকণা তোমার ভেতরে ঝরেনি
শূন্যতা শুধু... শূন্যতা শুধু... অকূলদিগন্ত ছেয়ে ছিল।
বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১
বন্ধন পাল-এর কবিতা
ছুঁচের চোখের মধ্যে বিভিন্ন রঙের সুতো হয়ে
আমার দৃষ্টির যাওয়া আসা,
তারপর কাপড়ের বুকে ফুটে ফুটে
ফুটিয়ে তুলি কবিতা, কবিতার মতো ফুল-পাতা,
তার পাশে পাখি হয়ে বসে থাকি পাথর-স্থবির,
প্রাচীন কবির আশা ছুটে যায়,মাথা কুটে ফেরে
ছুঁচ ফোটাবার ব্যথা যেতে হয় সয়ে।
ঘুড়ির সুতোর টান অন্যের আঙুলে বাঁধা দেখে
অঙ্গুলিহেলনে চলা দাস্যভাবে সহাস্য নাচন
অক্লেশে বন্ধ করেছি, দিগন্তে অসীম হতে চেয়ে
বিপজ্জনক হয়েছি,ঝড়ের সান্নিধ্যে গেছি, প্রেমে ও অপ্রেমে
ভেঙেছি,ভেঙে দিয়েছি সর্বস্বান্ত সাত্ত্বিক প্রত্যয়ে
এমন অনুশাসন,সর্বস্তরে ছেয়ে আমি থেমে নেই আজ—
ব্যথার শোক জড়ানো শূন্যতার মুক্তি চাই কবিতায় অসীমকে রেখে।
রিক্ত শূন্যগর্ভ চিত্ত শোকের চাদর দিয়ে অনস্তিত্ব শরীরের স্মৃতি
আপ্রাণ চেষ্টায় ঢাকে, খোঁজে অবলম্বনের পথ,
কাছের মানুষ মরীচিকা হ'লে মনে হয় মরুভূমি বুঝি মরূদ্যান!
নশ্বরের দারিদ্রকে অশেষ কোরো না ; অনিঃশেষ অনন্তের হাতে
তোমার দেহকণাকে লীন হতে দাও—
আনন্দের রথ তুমি জুড়ে দাও চৈতন্যের অম্লান চাকাতে
সহনশীলতা ঘষে মোছা যাবে পোড়া দাগ ক্লান্ত প্রকৃতির।
শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১
বন্ধন পাল-এর কবিতা
অপবাদ
প্রতিশোধ নিতে চায় ধরাশায়ী অবিন্যস্ত
প্রতিবেশী মানুষের দল
নিন্দার প্রবণতাকে বাধা দিয়ে থামিয়েছে
অন্তঃস্থ নির্বাক মনোবল—
তাছাড়া উপায় নেই ; ধ্বংসকারী তীব্র জেদে
উজাড় হয়েও যেতে পারে
এ-পাড়া ও-পাড়া,আর,মনের মহল্লাগুলি
মিথ্যাজাত বোধে, নির্বিচারে।
প্রতিরোধ খুঁজে খুঁজে হয়রান অস্থিরতা
একাকী অবসাদের ঘোরে
খানিক দূরত্ব খোঁজে— দূরত্বের অভিকর্ষ
বলের বিরুদ্ধে যাওয়া জোরে,
শত শত জতুগৃহ! কেন যে গড়তে দাও
এও কি ধ্বংসের নির্দেশনা?
বিভক্ত চেতনা জুড়ে ঝরছে হলুদ পাতা—
বেছে ফেলে দাও আবর্জনা।
প্রান্তিক স্টেশনে এসে বিকল হওয়া এঞ্জিন
আশ্রয় পেলেও, বিপর্যয়ে
স্থবির চাকার কাছে বিপুল বিস্তৃত ক্রোধ
পাল্টে যায় ব্যথায় বিস্ময়ে;
এমন কত শৃঙ্খলে পদে পদে বাঁধা পড়ে
অসহ্য আঘাত অবসাদ,
সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজে ঢেকে যায়
দু-বাহুতে লিপ্ত অপবাদ।