বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

বন্ধন পাল-এর কবিতা

শূন্যতার মুক্তি

ছুঁচের চোখের মধ্যে বিভিন্ন রঙের সুতো হয়ে 

আমার দৃষ্টির যাওয়া আসা,

তারপর কাপড়ের বুকে ফুটে ফুটে

ফুটিয়ে তুলি কবিতা, কবিতার মতো ফুল-পাতা,

তার পাশে পাখি হয়ে বসে থাকি পাথর-স্থবির,

প্রাচীন কবির আশা ছুটে যায়,মাথা কুটে ফেরে

ছুঁচ ফোটাবার ব্যথা যেতে হয় সয়ে।

 

ঘুড়ির সুতোর টান অন্যের আঙুলে বাঁধা দেখে

অঙ্গুলিহেলনে চলা দাস্যভাবে সহাস্য নাচন

অক্লেশে বন্ধ করেছি, দিগন্তে অসীম হতে চেয়ে 

বিপজ্জনক হয়েছি,ঝড়ের সান্নিধ্যে গেছি, প্রেমে অপ্রেমে

ভেঙেছি,ভেঙে দিয়েছি সর্বস্বান্ত সাত্ত্বিক প্রত্যয়ে

এমন অনুশাসন,সর্বস্তরে ছেয়ে আমি থেমে নেই আজ

ব্যথার শোক জড়ানো শূন্যতার মুক্তি চাই কবিতায় অসীমকে রেখে।

 

রিক্ত শূন্যগর্ভ চিত্ত শোকের চাদর দিয়ে অনস্তিত্ব শরীরের স্মৃতি

আপ্রাণ চেষ্টায় ঢাকে, খোঁজে অবলম্বনের পথ,

কাছের মানুষ মরীচিকা 'লে মনে হয় মরুভূমি বুঝি মরূদ্যান!

নশ্বরের দারিদ্রকে অশেষ কোরো না ; অনিঃশেষ অনন্তের হাতে

তোমার দেহকণাকে লীন হতে দাও

আনন্দের রথ তুমি জুড়ে দাও চৈতন্যের অম্লান চাকাতে

সহনশীলতা ঘষে মোছা যাবে পোড়া দাগ ক্লান্ত প্রকৃতির।

 

৩টি মন্তব্য:

  1. সুন্দর শব্দ চয়ন, ভালো লাগলো।

    উত্তরমুছুন
  2. ' শূণ্য দর্শন '-কে ঘিরে কবিতাটি এক প্রগাঢ় অনুভূতির ছোঁয়া আনে আমাদের মন আর মননে। কবি তাঁর জীবনদর্শন ভাবনা কাব্যময়তায় প্রকাশ করেছেন। অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাই ।

    উত্তরমুছুন
  3. ' শূণ্য দর্শন '-কে ঘিরে কবিতাটি এক প্রগাঢ় অনুভূতির ছোঁয়া আনে আমাদের মন আর মননে। কবি তাঁর জীবনদর্শন ভাবনা কাব্যময়তায় প্রকাশ করেছেন। অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাই

    উত্তরমুছুন