জো বাইডেন
লালশাক দিয়ে ভাত খেতে গিয়ে
রক্তভেজা
ফিলিস্তিন ছেলেটির কথা মনে পড়ে
সেই ভাত মুখে দিতে গিয়ে
নিজেকে নেতানিয়াহু বলে মনে হয়
মনে হয় আমিই সে জো বাইডেন
লালশাক দিয়ে ভাত খেতে গিয়ে
রক্তভেজা
ফিলিস্তিন ছেলেটির কথা মনে পড়ে
সেই ভাত মুখে দিতে গিয়ে
নিজেকে নেতানিয়াহু বলে মনে হয়
মনে হয় আমিই সে জো বাইডেন
বাঘের শরীর থেকে ডোরাকাটা দাগগুলো ঝরে গিয়ে সাপ হয়ে গেছে। একটি সবুজ পাখি উড়ে এসে বসছে জারুলগাছে, তাকে আর তীরন্দাজ খুঁজেই পাচ্ছে না। সে কি তবে পাতা হয়ে গেলো!
শনিবার, বুধবার দুইদিন দুপুরবেলা সাইকেলে ব্যাগ... বাবা হাটের দিকে যেতন। বাড়ির সামনে বুড়ো আমগাছ তলায় দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকতাম তার যাবার পথের দিকে
মাটির সড়কে অল্প ধুলো উড়িয়ে ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছেন বাবা। তারপর রায়গ্রাম মোড়ে বাঁক নিয়ে উধাও হয়ে যেতেন। ধুলো ওড়া একটি মাটির সড়ক হয়ে যেতেন
যাত্রি ছাউনির নিচে আটকা পড়েছি, তারপরও তীব্র বৃষ্টিজলে
গাড়িগুলো
হেডলাইট জ্বালিয়ে রাজহাঁসের মতো চলে যাচ্ছে
আর সেই ছাতায়ালি ট্রাফিক পুলিশ ছাতা ধরেও
যে প্রায় সম্পূর্ণ ভিজে যাচ্ছে
পাশে দাঁড়িয়ে তার হয়ে ছাতা ধরবার ইচ্ছে হলেও
ট্রাফিক ইশারা
এক পথকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দিচ্ছে
সুন্দরি ট্রাফিক তীব্রবৃষ্টি ও হাওয়াকে
কিছুতেই অন্যদিকে চালিয়ে দিতে পারছে নাতলোয়ার নেই; আবার আছেও- গর্দান নামিয়ে ফেলবে। দুপুরবেলা ফলচাষি ঘেমেনেয়ে সবুজ ডাব নামিয়ে আনছে গাছ থেকে। সবুজপাতা ভরা নারকেল গাছের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে- সবুজশড়ি পড়ে তোমাকে নির্জন জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ জাহাজটি কোনদিন বন্দরে ভিড়েনি- ডুবে গেছে
স্প্রে
৪ বছর বয়সের বিশপ দেখল, মা কাঁদছে। অল্প আগে একটি ফোন এসেছিল। চাপা কথাবার্তা হল ফোনটির ওপ্রান্তের সঙ্গে। তারপর ফোন রেখে নিজেকে জানালার পর্দার আড়াল করে মায়ের গোপন কান্না। জানালার ওপাশে সন্ধ্যামালতি ফুটে উঠছে তখন। সুবাস ছড়াতে থাকল সন্ধ্যার মলতিরা। বিশপ ভাবল, মায়ের চোখের জলের সুবাস সেটি।
সকালে ঘুম থেকে জেগে বিশপ দেখল, বাবার নাওয়া খাওয়া শেষ। অফিসের পথে বেরুনোর আগে প্রতিদিনের মতো ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়েছেন। সেন্টের বোতল খুলে স্প্রে করছেন শরীরময়। সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে ঘরময়। বিশপের মনে হল, গতসন্ধ্যায় মায়ের কান্না
সবুজ কাকাতুয়া এসে বসেছে কামরাঙাগাছটির ডালে। পাখিটির লাল ঠোঁট। বাঁকানো। মাথায় খোপা-ঝুঁটি। লাল পায়ের নখরগুলো কী আলতা মাখনো! সে ঠুকরে খাচ্ছে সবুজ কামরাঙা ফলগুলো।
দুপুরের ভারি নির্জনতা। জানালায় দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য যখন দেখছি, তখন কলোনির ভেতর থেকে মেটে সরু রাস্তাটি ধরে একজন হেঁটে আসছে। সবুজ জামা। চুড়িদার। মাথায় দু’বেনুনি দুলিয়ে দুলিয়ে সে আসছে। কাছাকাছি এসে সে জানালায় দিকে তাকাল।
আবার তাকাল
পৃথিবীর কোথাও কিছু ঘটে গেল কি এবার!
জানালার ওপাশে কামরাঙাগাছ ও কাকাতুয়া পাখিটির কথা বেমালুম ভুলে গেলাম। চোখ বন্ধ করে অনুভব করলাম, আমার বুকের ভেতর একটি কামরাঙাগাছ। থোকাথোকা সবুজ কামরাঙা ঝুলে আছে। একটি সবুজ কাকাতুয়া ঠুকরে খাচ্ছে ফলগুলো। নখড়ে ছিঁড়ে ফেলছে সবুজ ফলের শরীর
বিকেলের নদীর ও সন্ধ্যার নীলকুঠি
১.
ঢাল বেয়ে নেমে যাচ্ছি, হাততালি বাজিয়ে যাচ্ছে
দু’ধারে ধানগাছ
দূরে দাঁড়িয়ে দেখছি, ঘাসমাঠে এক গরু
লেজ উঁচিয়ে দৌড়চ্ছে
তার পিছে দৌড়ে গেল যে লোকটি সেও আমি!
নদীপারে শিশ্ন উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
এক বাবলা গাছ
তার শিশ্নের উপরে এসে বসেছে এক পাখি
২.
ফসল উঠিয়ে নিয়ে কৃষকরা ঘরে গেছে ––– এমন বিরানমাঠ
প্রান্তরে দুই শিরিষ চাপালিশ থেকে পাখি উড়ে আকাশ আঁকছে
দূরে ভেঙে পড়ে আছে নীল সাহেবের কুঠি
সেদিকেই উড়ে যাচ্ছে সন্ধ্যার কাক
হরর কবিতা
হরর মুভি শেষ। প্রেক্ষাগৃহ থেকে যারা বেরিয়ে এলো ওরা সবাই কী ড্রাকুলা?
শীতবৃষ্টির রাত। হাওয়া। বাইরে প্রেত্নি হাসছে
ইলেকট্রিসিটি নিভে গেলো। অন্ধকার বাড়ি জুড়ে মোমবাতিও লুকোচুরি
খেলে। তাকে খুঁজে পাওয়া গেলে যে দেশলাই তার দু’একটি কাঠি তা কেবল
স্পার্ক করে নিভে যায়
তখন রবীন্দ্রনাথ ফটোফ্রেম থেকে আমাকে ধমকে দিলো, -একটি মোমও
জ্বালাতে পারো না! যাও, ওঘরে ‘কংকাল’ গল্পের ডাক্তার মেয়েটি তোমার
বিছানায় শুয়ে আছে। ওর কাছ থেকে শিখে নিও