এখন আর আমি সর্বত্র সভায় যাই না।
মুখ নয়, বুকের ভেতরে যতটুকু টান বুঝি—
বুঝি, যে মনন জ্ঞান সহমরণে যাবে আমার,
তাদের আহ্বানে সাড়া দিই।
দোয়েলের শিস দিয়ে ভোর ডাকে পাঁচিলের
ওই পাশ থেকে,
পা-টিপে এগিয়ে যাই— ভাবতে ভাবতে
সে-ডাকে পাঠানো যে-সঙ্কেত
ঠিক ক'পা গেলে পাঁচিলের ধারে তার দেখা
পেতে পারি, গণনায় কাল্পনিক পদক্ষেপ মাপি।
এতদিন পথের যে ধুলোবালি মেখে গেছি চলে
অক্লেশে সে সব ফেলে যাব রাস্তার ওপরে,
কলুষিত করে যাওয়া তমো-র বর্জ্যকে
তমসায় রেখে যেতে হয়।
দোয়েল তো ডেকে চলে বুকের খাঁচারও কারাগারে
শুধুই ভোরবেলা যখন স্তব্ধতায় শ্বাস ও নিঃশ্বাসে
সে শিসের প্রতিধ্বনি হয়—
তখন জাগর দিন অর্থহীন ধোঁয়াশার ঘুমন্ত শরীরে
নাম লেখে ভৈরবীর বন্দিশ শুনিয়ে।
👏👏👏
উত্তরমুছুন