অসাধারণের মুখ
আনন্দের দিনগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে যেন দীর্ঘদেহী
বাতিস্তম্ভ হয়ে,
রাত হলে নিজেদের আলো দিয়ে পরিচয় দেয়
সে আলোতে নামহীন গোত্রহীন নিজস্ব ভালোর স্মৃতিটুকু
ঝলমল করে।
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব যত
পার্থিব সুকৃতি দিয়ে নক্ষত্র হয়েছে,
নক্ষত্রে উজ্জ্বল শুধু নামজাদা অনন্যের মুখ!
অনন্যেরও ভালোলাগা আনন্দে আচ্ছন্ন কিছু
অবকাশ থাকে
উল্লম্ব উল্লাসস্নাত বাতিস্তম্ভে জ্যোতির জঠরে;
ব্যক্তিটি যখন যায় নির্জন রাতের আলোকিত রাস্তা দিয়ে
তখন সে ব্যক্তিগত, মজ্জাগত মঞ্জিমায় দিয়েছে অঞ্জলি
অন্তরের গৃহদেবতাকে,আনমনে হাঁটতে হাঁটতে।
সমগ্র বিশ্বের চোখ সুকৃতীর সুকৃতিতে অশেষ মুগ্ধতা
লক্ষ করে, নক্ষত্রের আলোককম্পনে —
নক্ষত্র নিভে গেলেও অগাধ আলোকবর্ষ দূরত্ব পেরিয়ে
নেমে আসে
অম্লানের মৌলিকতা —
সাধারণ আলো দিয়ে অসাধারণত্ব প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন