সব যুদ্ধ জয় করা যায় না, নির্বোধ!
দেখিস না ঊর্মিমালা তটে এসে নিষ্ফল আক্রোশে
ফিরে যায় অহর্নিশ বিপ্লবী সলিলে;
এমন সমুদ্রজলে স্নান শেষে তটে এঁকে যাওয়া
প্রতিটি পদচিহ্নে গভীর অন্তর্দাহ,জ্বলে ওঠা জ্বালা—
অধোবদনের দেহে জমে থাকা শর্তহীন আত্মসমর্পণ,
প্রতিটি ভুলের নীচে গাঢ় লাল কালিদাগ দিয়ে
প্রবল অনুশাসন, রক্তচক্ষু চলেছে দেখিয়ে।
চোখের নীচে বয়স জমে কুঁচকে দিয়েছে চর্মের ঋজুতা
পান ক'রে লাবণ্য নির্যাস; সমুত্থিত মুখ্য রূপান্তরে—
পণ্ডিচেরির মাটিতে অবশেষে আশ্রম নির্মাণ করলেন
বোমা মামলায় মূল অভিযুক্ত বিপ্লবী শ্রী অরবিন্দ ঘোষ!
চোখের বিশুদ্ধ দৃষ্টি দিয়ে দ্যাখ,বুদ্ধু কোথাকার!
কোথাকার জল গিয়ে গড়িয়ে পড়ছে কোন স্থানে,
জলের বিভিন্ন রং— এককাল গিয়ে ত্রিকালের উপকূলে
বহু রূপে মিশে অতিক্রম করে গেছে ব্যতিক্রমী বিপত্তিকে।
তবুও তো নির্বুদ্ধিতা নিজেরই অনতিক্রম্য বর্ষীয়ান অনড় পর্বত,
যেন জেগে ওঠে মস্তিষ্কের কোষ থেকে কোষান্তরে,
সকল ত্রুটির মধ্যে একা বেঁচে থাকার স্পৃহায়
বন্ধ হয়ে আসে সীমাহীন উদ্যম ও উন্মাদনার অন্বয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন