শীতের দুপুরে বসে রোদের উত্তাপে পিঠ দিয়ে
একটু যেন আরাম,স্বস্তি;
উত্তাপেও চোরা-ভয় থাকে? আবেশের দুর্বলতা
ঘনালে ভয়ার্ত বুকে হরিণ ছটফটিয়ে ওঠে;
দাবানলের ভয়, কিংবা খাদ্য-ঘাসের অনটন,
বাইরে উত্তাপ ও ভিতরে উদরাগ্নি— যুগপৎ।
আমাদের ঘর আছে আশ্রয়ের ছাদটুকু নেই
শরীরে কৌলিন্য আছে,আত্মদর্শী আবরণ নেই
চিৎকারে আছে তীক্ষ্ণতা, নেই বাক্যবাহী সম্মোহন
আছে ক্রোধাগ্নির শিখা, শুদ্ধিতপ্ত স্বর্ণচিত্ত নেই।
মানুষ হতে চেয়েও আমরা হরিণ হয়ে যাই...
অমন হরিণ দেখে বাঘ হয়ে জেগে ওঠে ঘুমোনো পশুরা
গলার হারে ঝোলানো বাঘনখ বুকময় ঘষ্টাতে থাকে।
ঘরহীন অসহায় ছাদহীন আশ্রয়ে চেষ্টা করে বাঁচতে
দেহের কৌলিন্য ভুলে বহিরঙ্গের পোষাকে নির্ভরতা চায়,
তীব্র হুঙ্কার দিয়ে হিংস্র শিকারী করে ফেলে সম্মোহিত
ক্রোধাগ্নি জ্বলার আগে সম্ভ্রম হারানো মনে ঝড়ের আভাস।
গভীর অরণ্যমনে মানুষ কুড়িয়ে পায় স্বগোত্রীয় হাড়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন