প্রেম, পিঞ্জিরা, ইনফিনিটি
তথাপি দড়ি এসে বসে থাকে দরজায়
নদী এসে ঘুরে যায় শোবার ঘরে
ছেলেটি জীবন নিয়ে হতাশ
আর বেঁচে থাকতে চায় না দিয়েছে ঘোষণা
গলায় দড়ি দিবে নাকি নদীতে ডুবে মরবে
আছে সিদ্ধান্তহীনতায়
মা মারা গেয়েছিলো ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে
বাবা তীর্থের দিকে গিয়ে আর ফেরেনি
দিদি ডিভোর্সি, বিষন্নতার সঙ্গে ঘরকন্না
থাকার মতো আর কেউ নেই যে থাকবে পিছুটান
ছেলেটি প্রায় সন্ধ্যাবেলা-ই
নদীর তীরের গাবগাছে দড়ি ঝুলিয়ে বসে থাকে
জলে পা বিছিয়ে তীরে বসে
অপেক্ষা করে অদৃশ্য কারো...
জলের ঢেউ এসে পা ভিজিয়ে যায় প্রতিবার
জল নিতে এসে নদীতীরে
ধোপার মেয়েটি লক্ষ্য করে তার কিছু, কখনো কখনো;
ঘর-ফেরত উড়ন্ত পরিযায়িটির ডানা থেকে
ফেলে যায় পালক
কিছু-তো পালক ভেসে ভেসে যায়, দূর ইনফিনিটি
আর
দড়ি ও নদীর কোল ঘেঁষে ভেসে যেতে যেতে
বেঁচে যায় অনেক জীবন, অনেক
কেবল, মেয়েটি কেবল দেখেছিলো
ছেলেটি কীরূপে হয়েছিলো নিঃসঙ্গ পাখি
কূলচ্যূত মেয়েটির নামও ময়না, পাখি ----- গৃহ পিঞ্জিরায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন