মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

"ঈষ ও উষ্ণীষে ধ্বনি লেগে থাকে"

এক. 
অরবধ্বনির খন্ডহর 
শূন্যপথের  পড়ন্ত 
পার্বতীপুরের বিকেল 
বৃষ্টির পরে  খালপোল ও টিনের ঘরে 
তার শ্বাসবায়ু হৃতফুলের মুখনিঃসৃত কুড়ানী
ব্যথা, অপ্রকাশিত রিরংসায় 
সেই মতো ব্যবহারিক 
আবক্ষ  মুরতি  নয় সমিধভূষণ 
 পরবাসী কোনও গ্রন্থি নয়, 
নেই  যূথবদ্ধ দারুমা সান 

তবুও হে কৈশোরযথা নৈশবিদ্যা 
বস্তুত বনস্থলী অক্ষরহীন 
ফোটে বন্ধুপত্নী 
এমন অন্তঃস্থ  সায়রা 
গুঁড়ো গুঁড়ো ক্যানভাস 
গুঁড়ো গুঁড়ো শ্বাপদ 
পাশের ফ্ল্যাটে নক্ষত্রলোক থেকে 
 অকূল চন্দ্রমল্লিকা ফুঁপিয়ে কাঁদছে ...
দ্বিবাহুতে জ্বালা 

বৃষ্টির পরে, পার্বতীপুর বিকেল হচ্ছে 


দুই.
হলুদ বাঘের অপেরা 

কণাটুকু  আলোর শব্দ 
আর ঘর 
খুলে যাচ্ছে  ঊর্ণনাভ 

নিরপেক্ষ  ফাঁদ 
পায়ের ধুলোয় তার ভঙ্গিটুকু 
কত বিহঙ্গে লহর 
অস্থির  বিষণ্ণ পাজি ছোকরারা 
ঢিল  ছুঁড়ছে মুলদেশে 
মূল আমূল উর্দ্ধপদে হেঁটমুন্ড 
এবং গার্হস্থ্যবিধি  
বুকের আরশিতে পানপাত্র, উদরের রতি, 
আজ  বড়ো কোমল নৈকষ্য ঢেলে মজিয়েছো লুলু 

পতনবিন্দুতে ঘোড়ার হর্সপাওয়ার 
লিঙ্গমূলে ঘন হয়ে উঠছে কত বুদ্ধিজীবী আলো
বিজনের সবুজ রক্ত খনিজ দুধ 
আমিষের  হৈয়াহো 
তুচ্ছ দলমন্ডল   আলোর সেলাই 
অধুনা কাঁপিতেছে জেলপুলিশসরকার 
এবং সেরিব্রাল,
 বিপুল তরঙ্গ রে 
 ওঠে শারীরিক ছায়ামায়ায় 
বর্ণ বিভাজন আর হিরণ্য উপাদান 
হিরণ্য আঁকা হরিণ 
মাঘের শীতে বাঘের ডাকে নড়ছে না!


তিন.
জতুগৃহ 

বিস্ফোরণে ছিটকে পড়ে হাওয়ার গাঁথুনি 
অথবা বিমূর্ত হাওয়ার স্নায়ুযুদ্ধে অভ্যন্তরীণ 
মানুষটা থামতে চাইছে, আঘাটায়  পড়ে থেকেছে হাওয়ার অষ্টপ্রহর 
 ধূলির আস্তরণ সরিয়ে শাশ্বতিক ছায়ালোকের নিবিড়ে কোথাও জিহাদের তুখোড় স্রোতে  নদী 
হারিয়ে রাগতরঙ্গিনী দম নিতে নিতে ফাঁস খুলতে খুলতে চিৎকার করে মধ্যস্থাপত্যে, ঊনপঞ্চাশমুখী হাওয়ার ভ্রান্তবিভাজনে 

বিবিধ মৃত্যুর মাঝে  বসন বল্কল খুলে সময়ের টুকরো, বৈরাগ্য বর্ষণে বায়ুর দক্ষিণপাড়ে 
 হাঁটছে গুমঘরের মানুষ, কুপি নিভছে নগরীর কদম্ব বনে, স্বয়ং জ্বলে ওঠা বাংলা ময়ূর ও স্বয়ং জ্বলে ওঠা বৃষ্টির ন্যায় অনির্দিষ্ট উপকরণগুলি মোহিতে পুলক  বসালো দূর প্রদেশের খোঁজে 

1 টি মন্তব্য:

  1. সুন্দর সব কবিতা পড়লাম। 'সময়'-কে দারুণভাবে ধরেছেন কবিতায়। ফুলেল শুভেচ্ছা, কবি।

    উত্তরমুছুন