এক .
সরল শরীর জুড়ে হাওয়ার রেখা বুক অবধি ডুবে আছে | ছেলেটির নাম সরল না শিকারি হাওয়ার অপ্রাসঙ্গিক ঢেউয়ে ফুঁসে ওঠা চুলগুলো তার সারল্যে নিবেদিত , বুঝে উঠতে পারছে না সামনে বসে থাকা বেড়ালটি | বেড়ালটি কৌতুকে মাঝে মাঝে তুলে ধরছে মাথা | ছড়িয়ে থাকা বৈঠকি ছায়ার টুকরোগুলো তার খেলার গ্রীবা |
সময় : আগাগোড়া মোড়া সন্তাপে অবিনত
এখন প্রশ্ন হলো , সময় কেন অবিনত ? তুমি কী দ্বিধার ভিজে ভিজে ঠোঁট তুলে ধরেছো নদীর অহৈতুকী আনন্দে ? তুমি কী ইশারাহীন শিকার হবার আগে ছায়ানট মেলে ধরেছো বিভাজিত বেড়ালের দ্বিভগ্ন যামিনীর জন্মমূক অরবধ্বনির ভেতর ?
স্বখাত সলিলে বসে পৃথিবী ছলকায় আর পানিপাঁড়ে জলের সঙ্গে আলো মেশানো রঙ ভরে ভোরের
দুই .
এখন প্রশ্ন হলো , সারল্যের অতিরেক নির্জ্ঞানের অসম তরঙ্গদৈর্ঘ্যে বিভাজিত বেড়ালটি কী করছে ? তারও আগে নির্মোহ মাংস আর রোগা কান্নার ভেতর ঢুকে পড়া রাতের আলো নিয়ে গ্রীষ্মের অবকাশে শ্মশান পরিক্রমায় গেছে দণ্ডবায়স
শ্মশানে ফাঁকা দুপুর | সাহসিকাগুলো চলে যায় চুলের অস্ফুটে , দীর্ঘশ্ৰেণী কি নারী সে জানে
না | সে জানে না কবে থেকে পিপীলিকা শ্রেণী তমসামুদ্রা জমিয়ে যাচ্ছে মৃত মানুষের মতো | তাদের ইহকাল আবার শুরু হলো তৃষিত জঠরের টানে
তিন .
নতুন আরেকটা সচ্ছল চোখের ছলাচ্ছলে নিরক্ষীয় মধ্যযাত্রা ভেঙে দাঁড়িয়েছো | তাকে আদিম পল্লীতে পাঁচমুড়া পাহাড়ের কোলে বারবার পাল্টাতে হচ্ছিলো
যেন সে আজ স্বর - উর্দ্ধচারী বেড়ালের যৌনাত্মক ব্যঞ্জনায় বন্ধুত্ব:প্রয়াসী | অদ্ভুত আলোর অলিম্পিকে কোনও পদক নেই | নেই মেঘেদের মেঘদূত ক্বচিৎ নিমগ্ন | নেশাগ্রস্ত অতিশয় তৃণাঙ্কুর বাবু শস্য হয়ে ঘোড়াকে বহন করেছে কৃষিসমাজের কাছে | এই শরণার্থী অন্ধকারে খুঁজি ঋতুভিত্তিক ধীবর জীবন | অজ্ঞাতবাসে হা করে দেখি , পরিপুষ্ট বালিকারা ঘোড়া দেখতে দেখতে গায়ের নশ্বর গন্ধ স্তনাংশে গোপন করে কীভাবে !
অন্তরিক্ষের সঙ্গে আলো , মানুষের সঙ্গে মানুষ , মানুষীর সঙ্গে মানুষী যৌনতার জন্য অনুবাদ করে নি অস্ত্র
সম্পর্ক আরোগ্যকালীন ভাঙাচোরা চন্দ্রমা,
কে সেই কাঙাল , সাকীর শীতবোধে শীৎকার করে ওঠে পান্থশালায়?
সরলরৈখিক মাছেদের তৃষ্ণার্ত জিভে মানুষেরই রক্ত , ঘাম !
বিকশিত নয়ানজুলির স্রোতে মজঝিম মৃদু বাজার | বুক থেকে উড়ে যাচ্ছে , নববিন্দুজল ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন