এক.
স্থির তুমি, অবহেলা পাথরের উপমা তুমি
ওই স্মৃতিহীন অপূর্ব পুষেছ
শূন্য স্বাদ ফোটা, শ্বাসকষ্ট সেও তো শিকড়ের মতো বিঁধে আছে
জাদু পানীয়র খোঁজে
কেউ বলে রক্তমাংসের মহাপুরুষ তুমি!
অব্যবহৃত বিজন,
সাদা পাতার মতোই থাকো অসহ অভিঘাতে,
সংক্রামিত ঐশ্বর্যের ভেতর জোছনায় ভিজে
উদগ্র ঘোড়াগুলো, ক্রমাগত কুশলী মোচড়ে
কী ভাবে আলো লেগে চাঁদ হয়ে ওঠে শঙ্খদ্বীপের বণিক,
শব্দশীল মুহূর্ত, যারা কখনো অপ্রাপ্তিবোধের আলোয়
জ্বেলেছিল আকাশচুম্বী কঙ্কালের নীচে রঙিন ফানুস
ধ্বংসের সমবেদনায় উষ্ণ কফির কাপে মৃদু তিলের জন্মদাগ
নিঃশব্দ শোণিতশ্রেণীর আমিষাশী সারেং,
তাদের ডেকে ডেকে চলে যায়, দূর নাজুক অবরেখায়
ঈষৎ নুয়ে পড়া মধ্যপ্রাচ্যের ক্রীতদাসীর মাথায়
কেমন স্বলজ্জ ফুল গুঁজে দিল হিরামন,
সত্যি মিথ্যের দুরকম হাওয়ায় ওড়ে মায়াঅশ্ব
একটি অসংরক্ষিত মৃত্যুর জন্য
অলৌকিক মাদল বেজে চলে ...
নিরক্ষর সৎ সখ্যতায় মহুল পুষ্পক ,আয়ুদীর্ঘ অমোঘের মুখ!
দুই.
জানো না কাজ, বেড়া বাঁধার,
হৃদি - রত্নাকরের ভ্রুক্ষেপে যাকে খুঁজছো সেই স্বজন সংক্রমিত প্রথম বাল্মীকি
শহরতলীর অন্ধ বনমালী শরীরের শতছিদ্র ভেঙে অন্তঃপুরে গড়ছে মহুয়া আসব,
এ নেশা আলোছায়াবাসী, ছত্রাকে লবণে লাভায় খুলিজল বেয়ে প'ড়ে যায়,
স্বাস্থ্যশিকারিরা মাংস ভালোবাসে, ক্বচিৎ মানুষেরও
আলেয়াবুদ্বুদ চলকে পড়ার রঙে শুকোতে শুকোতে বিজ্ঞাপনে উবে গেলো,
ওই বন্য সরোবর, অলীক জোনাকি কুয়াশায় সেজেছে উৎসবপ্রাঙ্গন,
বেলা - অবেলার মধ্যবর্তী, কে যে বাড়ি, কে যে গাছ, বায়বীয় খড়ের বালিশে মাথা রেখে
ঘুমোয়, বিরহকালীন ছায়া পথের পাগল
ছুটন্ত ভ্রাম্যের সুসমাচার, প্রভূত পসরা,
তুমি আনতমস্তক তীরন্দাজ, আমি খসে পড়া পাখি
তিন.
১৯ভাদ্র আমার অন্য এক মুখোশের মৃত্যুবার্ষিকী ...
জ্যান্ত জিয়ো জায়মতি চুলের গন্ধে যে হারিয়ে গেছে জুনাগড়ে, তার একবিংশ মৃত্যুবার্ষিকীতে পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট অনিকেত তামায় নড়ছে বসতবাটি | চিত্রকল্প - সমেত রুক্ষ অলক , স্বয়ং বাকদেবীর| বস্তু ও প্রতিবস্তুতে অদ্ভুত হাসেন তিনি , বরাভয় মুদ্রার আড়ালে দূরের গৃদ্ধকূট পর্বতে ফুঁসে উঠছে নারীবাদিনীরা| তাদের ছিন্ন স্তন মেঘের স্বীকৃতি
চব্বিশ শেষ তীর্থঙ্কর বর্ধমান মহাবীরের নামে বৃষ্টি আসে| মাথায় বসে ক্ৰৌঞ্চ পক্ষিণী|
রৌদ্রছায়ায় রাজগৃহের বন আলো - অন্ধকারে ফুটে থাকে| বেশ্যাগমনে পারঙ্গম যে যুবক এসেছে মহারাজ বিম্বিসারের লুকোনো ধনরত্নের সন্ধানে, সেও পাহাড়ে এসে অজানা এক জ্বরে অতলশায়ী বালকত্বে বিষাদিত| কোথায় জীবকের আম্রকুঞ্জ? প্রাকৃতিক এক ব্যথায় বিশাল এক স্বপ্নের মুখে খুলে যায় , লাল পাহাড়ি পথের প্রস্রবণ|
অবিনাশী নীলমন্ডল| সপ্তপর্ণী গুহার গায়ে এ কোন নক্ষত্রময়ের হ্রেষা!
এই পথ লিখনপ্রয়াসী| মহাশূন্যে আকাশ মগ্নপিলসুজ| অরণ্যশিখরে অলিভপাতার
মেঘে, মিনারের খোপে খোপে ভেসে চলেছেন বর্ষাবাসে তথাগত ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন