বৃষ্টির জমজমাট ঘেরাটোপে ঘনঘন বাজ পড়ে পরিত্যক্ত গোরস্থানে
বিদ্যুতের আখর আছড়ে পড়লে এক কালের শূন্য কবরভূমির অনুভূতি রুদ্ধ বুকে আঁকা হয় নিটোল চোখ
সময়ের ফাঁকা গহ্বর থেকে উঠে আসা চকিত হৃদয়পিন্ডের লুকোচুরি খেলায় টুপ করে ডুব দিলেই
চোখের ভেতর থেকে ডানা মেলে উড়ে আসে সফেদ বরফে মোড়া রহস্যময় কারাকোরাম
চোখ বড় নিটোল স্বজন, চোখের পাতায় নকশিকাঁথার দিগবিস্তৃত ঠাকুরমার ঝুলির মাঠ
অদৃশ্য এক শ্বেতপাথরের রাজপ্রাসাদের কোনো গোপণ কক্ষে ঘুমন্ত রাজকন্যার মৌসুমী চুলের আলপনা
ঘুম ঘুম কল্পবিলাসী চোখে চুমু খেলে খুল্ যা সিম্ সিম্ ঝনঝনাত্ চল্লিশ চোরের অন্নপূর্ণার কোষ ঝলমল ঝলমল
কারাকোরামের বরফের ফাটল অনায়াসে টপকে হেঁটে যায় বিগত শতকের অন্যমনস্ক ইয়েতি আর গর্বিত ইউনিকর্ণ
বাজ পড়ে, চোখের পল্লবে –––
বাজ পড়ে, আইবলের মধ্যপ্রদেশে –––
বাজ পড়ে, ঘুমন্ত কিশোরীর কোলে ঠাকুরমার ঝুলির অন্তিম গল্পের শেষ চরণে
শূলের ছুঁচলো ডগায় বসে থাকা তাপস প্রেতের গাল ছুঁয়ে ছুটে আসে ঘুমন্ত ভেজা শৈশব।
স্বাগত রঙিন ক্যানভাস।
উত্তরমুছুন