ক।৷
রহিল না। অপরাপরের আলোয় আজ বিস্মৃত। বহুদূরে কেবল বহনের শব্দ। নির্বিকার এবং অবারিত। ফটোর কোন বর্ণ নাই। জল তাহাকে। কত অরূপে তাহাকে দেখিতেছি। রৌদ্রে, ছায়ায়, অচিন্ত্যে। সিঁড়ি কি কেবল আবাহনের! আমি দীপ জ্বালি, আমি আগুন, আমি পতনের ইতিহাস বর্ণন করি। লাল সুতো কতখানি আর বন্ধনে উপযুক্ত! অপূর্ব ছুরি এক সন্ধান করিতেছি।
খ।।
সে ঘরে কুয়াশা, জড়ির কলমা আর বিশদে হলুদ। ভাবিও না, মৃত্যুর সে গন্ধ উপভোগ্য ছিল না, বলিয়াছি। খুব বৃষ্টির পরে যে রিনিকঝিনিক, পায়ে সে ছন্দ তোমার, বাধিয়াছিলাম। অথচ চুম্বনে আলোক ছিল না। বস্তুত তুমি আগ্রহী ছিলে সিড়িতে, শ্যাওলার তিমিরে এবং পদ রচনায়। প্রথাগত নাভি এবং গন্ধের আলোকচিত্রে। সেইখানে অভিযান পাই নাই আমি।
গ।।
তৃণ বোঝে সেইসব। ওই আন্দোলন। ছায়া। প্রকৃতই অসামান্য নয়। কেবল জলের মনে হয়। নতুবা সে কেবল নতুন। ক্ষুধার্তের অন্য গল্প। শীতের, ঊষ্ণতার, ওমের। অথবা অনিকেতের। তুলসিমঞ্চের। কে যে কোথায় ভাল থাকে! ঝুঁকে পড়ে, নিচু হয়। যাতায়াত অবিরত। অশ্রুর ধারাপাত। অদ্যাবধি অসমাপ্ত। বোধ করি, সাম্রাজ্য এবং সে বৃক্ষের বিরোধ ছিল কিছু। ফলত অক্ষরসব দৃঢ় হয়। বৃষ্টি হয়। কালোকোলো বিন্দুসব ধরে রাখে শীষ। অসীম, এমত প্রাচীনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন