কৃষ্ণের না দেখা বৃন্দাবন
তিথি না বুঝেই হরিণেরা ঘাস খেয়ে
রেখে গেছে অর্ধেক পা,
পদ ছাপ —
কার দেহের সুবাসে মরে নগর গণিকা
কার পায়ে জমা হলো চোখ
ভুলে যাই পথের ঠিকানা।
জলের জঙ্গলে ডুবে আছে অনাসক্ত চুম্বন
চোখের আড়ালে কাঁদে বাঁশের বাঁশরী-রাই...
কাঁদে কোন সুদূরের মন
কৃষ্ণের না দেখা বৃন্দাবন।
স্পর্শ
একদিন শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি
কপালের ঘাম মুছে বলেছে, ‘তোমার সঙ্গে কথা আছে’
ও-রকম ব্যাকুলতা ভ্রমরেরও ছিল
দ্বিধাহীন বাতাসে চঞ্চল হিজল-বকুল-চাঁপা।
বলবো বলবো করে কিছুই না বলে
যার হাত ধরে সমুদ্রের ও-পারে গেলো, সে...
তার ঝিণুকের জল ফুঁড়ে
জুঁইফুল মুক্তো যে ফলায়, ও-কী করজোড় ভালোবেসে?
ঝিনুকেরও অনুভূতি আছে,
আছে বুক ভরা জ্বালা ও যন্ত্রণার দাগ
তিথি না মেনেই
মানকচু ফুল দিলো সে কোন মন্ত্রণা!
ভাতঘুমে রাধারমনের দিস্তানে পাতিয়া কান-
নকশি কাঁথায় স্যুঁই ফুঁড়ে কে যেনো ব্যাকুল
পুরাতন নয়ন ও শিবের বিচিত্র বুনে।
সেই বৃষ্টি-শ্রাবণ ফেরেনি আর
কে বেসেছে ভালো, কে পেয়েছে স্পর্শ, পূর্ণ-অধিকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন