মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইউসুফ মুহম্মদ-এর কবিতা

কৃষ্ণের না দেখা বৃন্দাবন

তিথি না বুঝেই হরিণেরা ঘাস খেয়ে
রেখে গেছে অর্ধেক পা,
পদ ছাপ —
কার দেহের সুবাসে মরে নগর গণিকা
কার পায়ে জমা হলো চোখ
ভুলে যাই পথের ঠিকানা।
জলের জঙ্গলে ডুবে আছে অনাসক্ত চুম্বন
চোখের আড়ালে কাঁদে বাঁশের বাঁশরী-রাই...
কাঁদে কোন সুদূরের মন

কৃষ্ণের না দেখা বৃন্দাবন।  


স্পর্শ

একদিন শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি

কপালের ঘাম মুছে বলেছে, ‘তোমার সঙ্গে কথা আছে’

ও-রকম ব্যাকুলতা ভ্রমরেরও ছিল

দ্বিধাহীন বাতাসে চঞ্চল হিজল-বকুল-চাঁপা।

 

বলবো বলবো করে কিছুই না বলে

যার হাত ধরে সমুদ্রের ও-পারে গেলো, সে...

তার ঝিণুকের  জল ফুঁড়ে

জুঁইফুল মুক্তো যে ফলায়, ও-কী করজোড় ভালোবেসে?

 

ঝিনুকেরও অনুভূতি আছে,

আছে বুক ভরা জ্বালা ও যন্ত্রণার দাগ

তিথি না মেনেই

মানকচু ফুল দিলো সে কোন মন্ত্রণা!

ভাতঘুমে রাধারমনের দিস্তানে পাতিয়া কান-

নকশি কাঁথায় স্যুঁই ফুঁড়ে কে যেনো ব্যাকুল

পুরাতন নয়ন ও শিবের বিচিত্র বুনে।

 

সেই বৃষ্টি-শ্রাবণ ফেরেনি আর

কে বেসেছে ভালো, কে পেয়েছে স্পর্শ, পূর্ণ-অধিকার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন