হলুদের উজ্জ্বল রঙ ছড়িয়ে
বেনেবউ প্রায় রোজই আসে
সামনের ঐ লিচুগাছটায় বসে।
এডাল-সেডাল করে আর খুব
মিস্টিসুরে ডাক দিয়ে যায়।
আমি সতৃষ্ণনয়নে দেখি পাখিটিকে।
তার একটা জুতসই ছবি তুলব বলে
ক্যামেরা হাতে বসে থাকি বারান্দায়।
কিন্তু সদাচঞ্চল সে অপরূপ পাখি
ক্যামেরায় ধরা দেয়না কিছুতেই।
হঠাৎই আনমনে আশ্চর্য-প্রদীপ
আমার হাতে লেগে পড়ে যায়-
একরাশ ধোয়াঁর মেঘ তুলে
জিন-দৈত্য সামনে এসে দাঁড়ায় ।
‘আজ্ঞা করুন প্রভু, ধরে নিয়ে আসি
বেয়াদব নির্লজ্জ পাখিটাকে।’
আমি সে কথা শুনে চমকে উঠে বলি-
‘কি করে তা হবে ?
বেনেবউ-কে আমি পেতে চাই
ঐ লিচুগাছেরই ডালে,
তার নিজস্ব জগতের ঘেরাটোপে;
হাতের তালুতে নয়, বন্দিদশাতেও নয়
চাই তাকে আমি মুক্ত পরিবেশে।’
জিন-দৈত্য কুর্নিশ জানিয়ে
ফিরে গিয়ে ঢোকে প্রদীপগর্ভে।
বেনেবউ রয়ে যায় অধরাই
তার সতত চঞ্চল স্বভাবে।

বেশ ভালো লাগলো কবিতাটি ভাবনাটা ভারী মধুর
উত্তরমুছুনগল্পের পাতা থেকে উঠে এসেছে কবিতার খাতায়।— যযাতি দেবল
উত্তরমুছুনBa ba Rantida
উত্তরমুছুনপ্লিজ নাম টা জানাও। আমি বুঝতে পারছি না।
উত্তরমুছুনতুই সত্যই বাঁচতে জানিস ...kub e সুন্দর ...তোর ai গুণী মন টা আমার ojana
উত্তরমুছুন