রূপালি পদ্ম
আবার শান্ত ও শীতল হয়ে আসে রাত
বসন্তের প্রথম দিকের রাতের মতো।
এই বক্তৃতা তোমার বিরক্ত করছে?
আমরা এখন একা,
চুপচাপ হয়ে থাকার কারণ দেখি না।
দেখতে পাও বাগানের মাথার উপর পূ
চাঁদ।
পরের পূর্ণিমা দেখা ভাগ্য আমার
বসন্তে যখন চাঁদ ওঠে মনে হয় সময়
স্নোড্রপস ফুল পাপড়ি মেলে ধরে
আবার বন্ধ হয়ে আসে, ম্যাপেল বী
পাংশু বাতাসে ভেসে যায়।
সাদার ওপর সাদা,
বার্চ গাছের মাথার উপর চাঁদ।
দুই দিকে বাঁক নিয়ে
ভাগ হয় ডেফোডিলের প্রথম পাতা নর
রূপালী জোছনার আলোয়।
আমরা শেষের দিকে, এক সাথে অনেক
এখন শেষ নিয়ে ভয়।
এই রাত গুলো, আমি এখন আর
কোন ভাবেই নিশ্চিত নই। আমি জানি
এবং তুমি যে ছিলে এক পুরুষের সা
প্রথম কান্নার পর, ভয়ের মতো, আন
কোন শব্দ করে না?
[কবি লুইস এলিজাবেথ গ্লিক ১৯৪২ সালের ২২ এপ্রিল জন্ম নেন নিউ ইয়র্ক সিটিতে। বেড়ে উঠেন লং আইল্যান্ড সিটিতে। তাঁর মা রুশ দেশের। বাবার পূর্বসূরিরা এসেছে হাঙ্গেরি থেকে। বাবার নাম ড্যানিয়েল গ্লিক। আর মা বিয়েট্রিস গ্লিক।
২০২০ সালে লুইস গ্লুক সাতাশ বছর যাবত সৃষ্টি অসামান্য সাহিত্যে কর্মের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার আছে অবিশ্বাস্য কাব্যিক ক্ষমতা। সরল ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরেন তিনি নিজের অন্তর্লীন কথা যা ব্যক্তিগত অস্তিত্বকে ছাপিয়ে সর্বজনীন হয়ে ওঠে।
গ্লুকের কবিতার শব্দগুলো উঠে এসেছে নিজের অন্তর থেকে। সেই কবিতার কথাগুলো হয়তো হতাশা, প্রত্যাখ্যান, ক্ষতি এবং বিচ্ছিন্নতা সম্পর্কে কিন্তু পাঠক শেষে তৃপ্ত হয় অপরিসীম তৃপ্তিতে।
তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘ফার্টসবর্ন’ বের হয় ১৯৬৮তে। তিনি যে কতটা কল্পনাপ্রবণ কবি তার প্রমাণ পাওয়া যায় পরিষ্কার ভাবে The Wild Iris (১৯৯২) কাব্য গ্রন্থে। এই কাব্যগ্রন্থটা কবির অনেক প্রিয়। এক সাক্ষাতকারে তিনি বললেন, এই কবিতা গুলোর মত আমি আর কবিতা লিখতে পারি নি। এই কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি পান পুলিৎজার পুরস্কার ১৯৯৩ তে। ২০০৩ সালে তিনি ১২তম সম্মানিত মার্কিন পোয়েট লরেট মনোনীত হন। তাঁর সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ ‘ উইন্টার রেসিপিজ ফ্রম দি কালেক্টিভ’।তিনি ইয়েলে অধ্যাপক ও আবাসিক কবি হিসাবে কাজ করছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান ১৩ অক্টোবর ২০২৩ এ।]


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন