শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

মারুফ আহমেদ নয়ন-এর কবিতা

পাহাড়ি নদীর গুহা

তোমার কথা ভুলে অরণ্য পথে দৌড়াচ্ছি। ঝড় বৃষ্টির দুপুর, বজ্রপাতের ঝলকানি। নিভে গেছে সূর্য কিরণ। ভূগর্ভস্থ মেঘদল উড়ছে আকাশে। এমন নিরালোকে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছি। ঢুকে পড়েছিলাম, পাহাড়ি নদীর গুহায়। সেখান থেকে পালিয়ে এসেছি ঘরে। থরথর কাঁপছি। যেন দেখে ফেলেছি হিংস্র প্রাণীর চোয়াল।

মুছে ফেলেছি স্মৃতির আদ্যক্ষর। মঙ্গোলিয়ার যাযাবর বন্ধুদের সাথে পোষ মানানো শিখেছিলাম, সোনালী ডানার ঈগল। এরা আমাকে ধরে এনে দেবে শিকার। পাথরের উনুনে চাপাব, খরগোশের মাংস। আহার শেষে ঘুমিয়ে পড়বো, আলতাই পর্বতের পাদদেশে। এক ঘুমে কাটিয়ে দেবো, শত-সহস্র কাল। তুমি এসে ঘুম থেকে জাগাবে! কপালে রাখবে গাঢ় চুম্বন।

আমাকে টেনে নিয়ে যাবে হাং সাং ডুতে। পরিচয় করিয়ে দেবে অন্ধ সরীসৃপ, মাছ ও চিংড়ির সঙ্গে। বলবে, অন্ধকার মেখে নিভে গেছে দৃষ্টির প্রদীপ। ক্ষয়ে গেছে ত্বকের লাবণ্য। জন্মান্ধ বালক আমি, না বুঝি তোমার কূটচাল। নির্বোধের মতো বলি, যদি হই পাথুরে ভূমির চক্ষু, তুমি হয়ো তৈদুছড়া ঝর্ণাধারা। আমাকে করিও শীতলতম রাত।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন