শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা

অডেরম্যটোগ্লিফিয়া    


আশ্চর্য আঙুল কোনও ছাপই রাখে না!

প্রেমহীন প্রেমিকার  প্রেমের মুকুট নিয়ে এই যে মাটির

ঘিরে থাকা লোকালয়,বালিখাদ,কাদাময় হেতাল কাঁটার মধ্যে লুকনো শৈশব

ধারকরা সময়ের কোনও রেখা নেই কোনো হাতের পাতায়

তবু এত দগ্ধ ঋতু! এত এত আলোময় আলোহীনতার থেকে

পা নিংড়ে হেঁটে যাওয়া অসভ্য জান্তব!

কাদের সে মেয়ে ছিল সততা ব্যাকুল এই গন্ধ উপকূলে

প্রত্যঙ্গের হাট বসা সততা উঠোনে! সেখানে কিসের ছাপ?

কোন রেখা ফুটে ওঠে চিহ্ন রেখে যায়?

    প্রতিক্রিয়ার ছাপ পড়ে না কখনও

                  জ্বলে ওঠে ভয়ংকর তীব্র এক আলো

যা তে ধ্বংস আঁকা যায় শুধু ! মৃত্যু লেখা যায়

 আশ্চর্ষ আঙুল  কোনও ছাপই রাখে না!



ওয়ার্মহোল 

আলোর পোকারা সব ঘিরে ঘিরে ঘিরে থাকে আলোর বলয়  

যেখানে থাকে না বিত্ত,থাকে না চটুল কথামধু-মেধা মিশ্র হলাহল  

পছন্দ নয় তাই আলো ঘেষাঘেষি মোক্ষ  কাঙ্ক্ষিত শ্রীফল     

কাম্য হয় ,প্রার্থনাও ,মিথ্যে অক্ষর খোঁজে  আলোর আলয়

চ্যাটজিপিটির লেখা পদকর্তা কৌতুহলে জ্ঞানদাসী খুঁজছে বলয়   

যা জেনেছে মিথ্যে চোখ,যা দেখেছে মিথ্যে কা্‌ন,সেটুকু সম্বল

দিয়ে যে কৃষ্ণবর্ণে অক্ষর নির্মিত হয় চম্বলাবতীর তীরে আদিম চম্বল      

তা দিয়ে যে ব্রহ্মযষ্ঠি রূপের নির্মাণ হয়,সেখানে কি পারমিতা দেবীর আশ্রয়?     


উপরে যা আঁকা হল সে গুলোর অর্থ খোঁজা সময়ের যান

দুকোটি আঠাশ লক্ষ আলোবছরের মায়া বাধাকে সরিয়ে 

যদি সে কখনও এসে পৌঁছায় এখানে সব আলোকে মাড়িয়ে

তখন হয়তো অন্ধ চেতনার অন্ত ছুঁয়ে জেগে উঠবে অন্য এক প্রাণ

যা দেখবে কালো গর্ত কালো মধ্যে নগ্ন আলো প্রাণস্বরূপিণী

সমস্ত অক্ষর গুলো ওয়ার্মহোল ভেদ করা জ্ঞান প্রবাহিণী          

 

1 টি মন্তব্য: