শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

গৌতম রায়-এর কবিতা


তোমাকেই সহযাত্রী চাই

ওষ্ঠ-অধরের নৌকো আর চোখের খোলের জ্যোৎস্না দ্যোতনা পড়তে পড়তে আমি দামোদর––– 
রূপনারায়ণে ভেসে যাই। 
একটি ঘর্ষণ ধুনে পেতেছি কান 
হুগলি থেকে বঙ্গোপসাগর 
ন্যুব্জ কন্টক অতিক্রম করে 
আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে নগ্ন সাগরিকা মিড়মন্ডল? 
আমার কোবাল্ট তোমাকে দিতে চাই,
 তুমি কী নীল আইল্যান্ড হবে? 
আমি প্রবাল প্রাচীরের খাঁজে আশ্রয় চাই। জানি সমুদ্র কিছুই নেয় না, 
সব ফিরিয়ে দেওয়াই তার মহত্ব।
 
ব্যতিক্রমী হতে ইচ্ছে করে দেখতে ইচ্ছে করে ব্যতিক্রমের অলিন্দের কম্পোজ,  
ভেঙে যাচ্ছে প্রবাল প্রাচীর 
ভেঙে যাচ্ছে প্রবাল তোরণ 
দেখো আমার হাতে তো কোনো অস্ত্র নেই আমি তো পলিথিনে তোমার পাকস্থলী ভরাতে চাই না, 
আজ ধরিত্রী যুদ্ধবাজের কবলে 
তোমাকে ভালো রাখতে চাইলেও 
সমৃদ্ধি ক্ষমতার লোভ দূষণে দূষণে 
জরতী করে সাম্রাজ্য, 
আমার টক্সিনগুলো রোদ্দুরজলে বাষ্পীভূত করে দাও 
তোমার মহাতোরণে প্রতিধ্বনিত হোক আমাদের যৌথ ধরিত্রীপ্রেম, 
যেখান থেকে শুরু কৈলাস যাত্রা ট্রেকিং
এ যাত্রায় তোমাকেই সহযাত্রী চাই।

 

আমি মিথ্যাচার করতে পারিনি

দশম জলপ্রপাতের মতো পতিত জলে 
যে খনন ওঠে তার ওম ধুনে আমার গায়ত্রী। 
তোমার রক্ত মাংস ছেঁনে দেখিনি কোনদিন মেঘ ভাঙা বজ্র বৃষ্টি দেখেছি 
 নিরাপদ স্থান খুঁজেছি ব্যাপক যাত্রাকাল।
তোমাকে দেখেছি হৃদয় স্বরলিপিতে 
কথা সুরের কলাপে, 
এসেছে ক্ষরিত অম্ল এসেছে জারণ 
প্রাণিত খাতে দিয়েছি অগাধ সাঁতার 
একে তুমি অনুপ তালাও বলতে পারো 
বলতে পারো গোপী তালাওও 
পবিত্র সাঁতারে ঝরে গেছে সভ্যতার টক্সিন শরীরে কোন লুকানো যন্ত্রণার ছাপ নেই, 
আছে হ্যাঁ-নামাবলী 
আমার ভেতর রুদ্রাক্ষ জনম নিয়েছে লাগাতার 
আমি মিথ্যাচার করতে পারিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন