জল ভেসে যায় বাল্বের ভাঙা ভাঙা ইলেকট্রিক নিয়ে - লৌকিক আঁধারের দশমিক ভাগগুলো কালর্ভাটের সর্বনাশা কালো ত্বকের কাছে দাঁড়িয়ে নিবেদিত হতে চায়, আর ছপছপে বৃষ্টিরা মিথ্যে প্রজনন নিয়ে সমস্ত পোস্টার ভিজিয়ে দেয়
দাদু বলতেন - এর নাম শিয়াল তাড়ানো বৃষ্টি, জনগন প্রাণায়ামের পর তোমার সাথে ভেসে চলছে লবণ স্বাদ লবঙ্গ, যদিও প্রচন্ড অন্ধকার মেঘ ঢাকা সন্ধে
আর আমাকে অনুসরণ করে খোকনদার লিকার চা, ছিঁচ কাটা বেঞ্চি থেকে পিঠে পড়া গুড়োঁ বৃষ্টি ঝাড়তে ঝাড়তে হাত ভিজোচ্ছি , ভেজা মতবাদগুলি মনে আসছে কিছুতেই - কোন পায়ের ছাপ নেই - গড়িয়ে যাওয়া ঘোলা জলে কংক্রিট ভাইরাস
অথবা আমি কীই বা ধারণ করতে পারি নিজের নগ্ন শরীরে , তবে কি গড়িয়ে যাবার কাল এসে দাঁড়িয়েছ ইলেকট্রিক পোস্টের নিচে
তাহলেও তোমার ভয় পাওয়ার কিছু নেই — সমস্ত নোংরামো নিয়ে কাদা মুছে দিতে চুমুক দিতে থাকি সুতীব্র আত্মহননের লিপিতে
বৃত্ত খেলার ক্ষরণ
এই দুপুরের পোর্টেটে অপ্রস্তুত ছত্রাকের ভাঁজ দিয়ে দুঃখ আর সুরের পাতায় পাতায় আলতা জবার গান ভাসতে থাকে
এক ভয়ার্ত চোখ নিয়ে সেদিকে ছেঁড়া কিছু পঙক্তি আর্দ্র; যদিও আজ বৃষ্টি নেই, ধুয়ে যাবার ভয়ও নেই
তবুও সিগনেচার টিউনে অস্থির জলবিন্দুরা শূন্যতা নিয়ে পূনর্বাসনের পর্বগুলোয় বাবলা কাঁটার দিকে তাকায়
মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ঝিরিঝিরি হাওয়ায় যতটা পাতা উড়ে তার বেশি উড়ে শাড়ি; গোড়ালি চুঁইয়ে তৃষ্ণারা খাল পাড়ে হেঁটে যায় - নিদেনপক্ষে অঙ্গুরিমাল প্রাণীর মতো সংকোচন প্রসারণে বাসন-কোসনের শব্দ ভেসে আসে সাঁকো থেকে
তার তলায় সাপেরা শঙ্খ লাগায় – ভেসে ওঠে ভীত চিৎকার
হয়ত এ কারণেই দিদিমা বলেছিলেন — দাও, নতুন বস্ত্র দাও মিথুন দৃশ্যের উপর
এক নিরস্ত্র ছায়ার আশ্রয় নিয়ে আমি আদমের উত্তরপুরুষ
অস্থির সাঁকোর দিক নির্ণয় করতে না পেরেই একটার পর একটা ভূগোল প্রসারিত হবে জেনেও কামড় দিই আবরণহীন আপেলে – কিন্তু সেই মতো কিছুই হলো না
ঘোলাটে নীল বাস্পের ভিতর কলকল শব্দের রোদ খেলে যায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন