সময় অসময় শান দেয়
কিশোর কিশোরী, বাবুইয়ের বাসার
মতো ওদের ঘর, ওদের স্বপ্ন জানে বন টিয়া,
মাটির তৈজস খালি, ঘুম থেকে উঠে
জেনেছে দুজন, তারপর
ওড়া হাতে গমমাড়াইয়ের কাজে বেড়িয়ে পড়েছে,
খেতজুড়ে ঘাম-রক্তের ছিটেন,
শামুকখোলা সাক্ষী।।
শূন্য সংশয়
কেন বেঁচে থাকতে হয় জানো?
ফোঁটা ফোঁটা জল শরীর ছুঁয়ে দেবে, অবিরাম,
ওয়াশপুরের এক মেয়ে তার ব্যক্তিগত ডায়েরি
যেদিন আমার হাতে তুলে দিয়েছিল
সেদিনই একটা লক্ষ্মীপ্যাঁচা প্রথমবার
আমাদের ছাদে এসেছিল,
ছমছমে অরণ্য নশ্বর দেবকন্যা হয়েছিল,
তার কপালের ছোট বিশ্রী সেলাইয়ের দাগ
সমুদ্রের ফেনার মতো,
গালভর্তি শালুক হাসি,
কোকিলের পৃথিবী জন্ম
হেমন্ত খামে আবছায়া,
ঘূর্ণ্যমান জীবনসঞ্চার।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন