অনেক পায়ের ছাপ মাটির বুকে। কাঁকড়ে কাঁটায় কাদারক্তে। আকাশের মুখে
চেয়ে থাকে ওরা আহত দৃষ্টির মতো। সেখানেই পথ খোঁজে মানবজিজ্ঞাসা।
কুড়ুলের ধারে ঝলসেছে জেদ, চোখ পুড়ে গেছে অসহ্য আগুনে।
সঙ্গে ছিল ভালোবাসা, শান্তিজল, সহ্যের অতীত দুঃখ সওয়া।
ওরা পণ করেছিল উপড়ে দেবে অন্যায়ের রক্তবীজ আগাছার মূল,
পুড়িয়ে নিঃশেষ করবে অবিচার অত্যাচারের আবর্জনা।
রক্ত, আর চোখের জলে গলে গেছে মাটি, আকাশ ঢেকেছে দুঃস্বপ্নের মেঘে।
বাজি ধরেছিল জীবন মরণ দুঃখ সুখ সবটুকু, এককণা সঞ্চয় না রেখে।
কখনো শান্তির জলে কখনও বা বিপ্লবের হাত ধরে রক্তের ধারায়
ধুয়ে দিতে চেয়েছে ক্লেদ, ঘৃণার আগুনে পোড়াতে চেয়েছে জঞ্জাল।
অন্যায়ের বংশ বাড়ে সূর্যরিক্ত অন্ধকারে, পোকার মতোন। হাওয়ার শরীর
পোড়ে বিষহুলে। ওরা ফিরে গেছে, রেখে গেছে বৃথা রক্তছাপ।
আশাচিহ্ন বুকে ধরে হাঁটুগেড়ে বসে আছি সূর্যভিক্ষা চেয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন