অপভাষ
আমাকে তুমি একটু একটু করে কাছে চাইছো
আমি বুঝতে পারছি, আর তাই আমি
অরণ্য, ফুল, পাখি, জ্যোৎস্না এসব
বিছিয়ে দিয়েছি তোমার বিছানায়
এদেরকে জড়িয়ে ধরো, চুমু খাও
দেখবে… আমাকেই পাবে।
এখন তুমি আমার সবটুকু দেখতে চাইছো
আমি বুঝতে পারছি, আর তাই…
খুব ধীরে ধীরে খুলে দিলাম আমার দক্ষিণের জানালা
ঐ যে দূরে কিছু অস্পষ্ট তারা দেখছো
ওর ভেতর দিয়ে আমি এখন দেখছি তোমাকে।
তোমার সবকিছু উন্মোচিত করছো মরালছন্দে
এখন অনেক রাত…
আমার বুকের ভেতরের শূন্যতা ভরিয়ে দিচ্ছো কোমল স্পর্শে।
ঠিক এ মুহূর্তে তুমি আমার হৃৎস্পন্দনে বেঁচে থাকা
দুঃখগুলো কুড়িয়ে নিতে চাইছো
আমি বুঝতে পারছি, ভীষণ বুঝতে পারছি
আর তাই আমি…
ধীরে খুলে দিলাম আমার চৌকাঠ, বাতিদান… অপেক্ষা
পুরোনো ঘৃণাদের হাততালি থেকে আলাদা করি
বশ্যতায় রাখি নানান অভ্যেসের অভিযোগ
আশ্লেষের বেলুনে লেগে যায় কোনারক জলছাপ
উত্তল, অবতল, গুহা, কন্দর পেরিয়ে তখন আমি
মার্জারছন্দে পারিজাত ইচ্ছেদের যাযাবর ছন্দে উপুড়…
অপভাষগুলি বর্ণীল করে রাখি আজ শয়নে… স্বপনে
যতটুকু পাই যখনি এবং যেখানে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন