পায়ে পায়ে চলতে চলতে থমকে দাঁড়াই
তোমার মূর্তি দেখি। আলম্ব দাঁড়িয়ে রয়েছ
তোমার দুহাতে ধরা গীতাঞ্জলির বুকে এফোঁড় ওফোঁড়
রক্ত গড়িয়ে পড়ছে মাটির ধুলোয়
এই পচনশীল দেশে আর ঠাঁই কোথায় তোমার ঠাকুর?
তুমি শিলাইদহ মঙপু ফিরে যাও। তোমাকে আমাদের আর চেনামুখ মনে হয় না
আজকাল বসন্তে তন্বীদের উন্মুক্ত পিঠজুড়ে চাঁদ ওঠে জানো কি ঠাকুর?
ঠোঁটমোটা কলমচি তোমার বিছানার নকশা আঁকে নিজের খুশিতে। তার আজ ভূবনডাঙায় বিরাট প্রাসাদ
তোমার সাধের বনভবন আজ শিকলে শিকলে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা
কী হবে নূতনকে ডেকে ঠাকুর। তুমি পুরনো হয়েছ।
তুমি আজ অচল ঘড়ির মতো। দ্রাঘিমা বেয়ে চলে আমার এ পথ তোমার পথের থেকে...
গেছে বেঁকে গেছে বেঁকে
ক্লান্তি নামে পায়ে পায়ে
আমার এ পথ।
Sir khub valo hoeche
উত্তরমুছুন