গুহায়িত সত্যের মতোই
জ্যোৎস্নার অনঙ্গ চাদরমোড়া কেন গো তুমি?
দাঁড়ের পাখিটি আর্ত-অধীর
কুয়াশার আড়াল যত ছিঁড়ে দিতে চায়
রুপোলী শুধু মাথার চুলেই
অঙ্গঢেউয়ে বেজে যায় বসন্তের গিটার
মায়াবী পরশ ফুরাতে চায়না
পেলবতার বর্তুলতা দেয় স্নিগ্ধতার হাতছানি
মগ্নচেতনার চাতালে আছি বসে
নতজানু অঞ্জলি পেতে
তপক্লিষ্ট ভক্ত আমি
নির্জলা উপবাসে এতদিন...
তন্ত্র-সায়রে স্নাত দাঁড়ালে তুমি
নিরালায় ঝিঁঝিঁ ডাকে, মীন পুচ্ছ নাড়ে
তন্ত্রসম্মোহনজড়ানো ডাক যে তোমার
সঞ্জীবনীসুধায় চুমুক দিতে চাই
পেয়ালায় পেয়ালায়
তৃষ্ণার্ত গিরিখাত তৃপ্তির স্বপ্নে ডুবে মগ্নতায়
উপত্যকার ঘাসজমি চিকন চিকন সবুজ সোনালি আবেশলীন
আলো-আঁধারি ধারাপাত প্রকৃতি-বর্ণমালায়
উৎকীর্ণ গিরিগাত্রে
গহীন গাঙ্গে চলো নীলজ্যোৎস্না মাখি
নিই সহজপাঠের দীক্ষা অঙ্গ ধারায়
প্রকৃতির আদিম উঠোনে দাঁড়াবো চলো
ছড়াবে মৃগনাভি গন্ধ
হারায়নি কিছুই, এখনো আছে গো সময়
সৃজনের বীজমন্ত্র অক্ষর লিখুক না চরাচর..
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন