নিজকিয়া সিরিজের কবিতা
নিজকিয়া ৭
গিরগিটি হতে চাইলেই গিরগিটি হওয়া যায়!
রঙ পরিবর্তণের সেই যন্ত্রণাদায়ক সেকেন্ডগুচ্ছ
ভুলিয়ে রাখে মানুষ অবয়ব, রক্তের ইউনিভার্সাল রঙ
অববাহিকায় ভাসানীয়া গান গাওয়ার বিরল মূহুর্তগুলো।
বহুরূপী হতে গেলে অসাধারণ প্রতিভার মালিক হতে হয়
রঙ পরিবর্তণের আগে পরে ভুলে যেতে হয়
অতীতের সবান্ধব উল্লাস, নির্মোক স্থিতিস্থাপকতায়;
বহুরূপী হতে চাইলেই হতে পারে না সবাই।
নিজকিয়া ৮
তোমার ঠোঁট আছে
থাক
অন্য কিছুই মেঘবেলায়
চাইনা
তোমার দ্রিঘাংচু রং চুল
মেলে
বস অবেলায় রোদ্দুরের নক্সাদার
ব্যালকনিতে
হালকা লাল শাড়ীর আঁচল
ওড়াও
সমস্ত পারিবারিক অনুব্রতার
শেষে
দু হাতের তালুতে আঁকা বাদামী
মেহেন্দী
দাও আমার কৃতাঞ্জলি ভরে
অবিরাম
এই শেষ বিকেলের আলোয় এই
শেষবার
আর কিছুই কোনো অসময়ে
চাইনা
আমার নারী আজ স্বপ্নে আঁচল
উড়াও
আমার পুরুষালী চেতনের খান্ডব
অরণ্যে।
নিজকিয়া ৯
আমি কি বিষণ্ণ হয়ে আছি?
আমি তো বিষণ্ণ হয়ে আছি।
ঠোঁটের ওপরে ভ্যানিশিং জলরংয়ে
এঁকে রাখা হাসির নকল টুকরো
হাতের মুঠোয় এগিয়ে দেওয়া
শুভেচ্ছা সন্দেশ কেউই বোঝেনি
ঠিক কতখানি ভেজাল ছিল।
আমি তো বিষগমণ করেছি
এই পান্থবেলায়, দুহাত জড়ো করে
ওয়েলকাম করেছি তোমার
অনাকাঙ্খিত গমণ; এই অবেলায়
দরজার বাইরে জুতো খুলে
কথারা অকালমৃত হয়:আমি তো
বিষণ্ণই আছি, বিষণ্ণ থাকবো
আমার বয়ে নেওয়া বাকী
অবসাদগ্রস্ত হলুদ বিকেল সময়।
স্বাগত নতুন বছরের প্রিয় রঙিন ক্যানভাস।
উত্তরমুছুন