ভুবনবালা সিরিজের কবিতা
৫০
সেজে সেজে আছে পাতাগুচ্ছ
রোদমাখা কিছু
কিছু চিকচিক
কিছু চকচক পেলব পাতার বুকে
দু-কণা পরমাণুধরণ
টুকরো জলভেজা
কণা কণা মাখা ভুবনবালা
রোদ চুবড়ি মাথায় চলেছে
কোন অজানায়
এক কণা রোদ টিপ তার মুখে
৫১
ক্ষেত সবুজের পাশ কাটিয়ে
আরও দু'পা
চনমনে মাথাটি নেড়ে চলেছে সরব পরিযায়ী
পালকে পালক সাজিয়ে সেজে দু দশটি পাখি
চুপ বসবে বা আঁচলে এমনটাই
যেন সব মানুষের প্রার্থনা
নিয়ে ধ্যানমগন
সূর্য কখন থেমে যায়
স্নান শেষে জলোত্থিতা ভুবনবালা
আয়না হয়ে অপেক্ষায় সুয্যি বুঝি তাই
৫২
শীত জড়িয়ে শীতল পাড়া
টুপটুপিয়ে ভিজে
ঘুমিয়ে গেছে কি নিজেই
ডাক দেয় ভোর
ভুবনবালার চোখের পাতা মিটমিটিয়ে দেয় সাড়া
৫৩
উঠোনে আলপনা দেয় রোদ
কখনো গোলাপ হলুদ কখনো কমলা
কবেকার কাঁথাটি
সই সুতোয় ফুল ফুটিয়ে
এ পাতায় ও পাতায় নকশালতিকা জড়িয়ে ধরে ভুবনবালা
৫৪
সবজিবাগান তুলতুলে
কাঠ আঙুলে লালশাক দুপুর
সেদ্ধ ফ্যানভাতে কলাপাতা উপুড়
একপাশে হাপুস নয়নে তাকিয়ে
কিশোরী দুই কিশোর
কোলে কাখে ভাই বা বোন
সবাই আপনহারা
সবাই তো আপনজন
এগিয়ে দুহাতে খোরাক
ভুবনবালা
আসে সূয্যি, বলে, ভাত দে না মা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন